ঢাকা ০২:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কোস্টগার্ডের হাতে ধরা পড়ল ৪১৩ কোটি টাকার অবৈধ জাল ডাকসু প্রচারণায় কঠোর শৃঙ্খলা জারি, প্রার্থীদের জন্য নতুন নির্দেশনা চীন সফরে যাচ্ছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধি দল ঢাকা অঞ্চলের ৩১৬ দাবি-আপত্তির শুনানি করছে নির্বাচন কমিশন ফেডারেল রিজার্ভ গভর্নর লিসা কুককে অপসারণের ঘোষণা ট্রাম্পের “প্রত্যাবাসনের পথ: যুক্তরাষ্ট্র-চীনের দ্বন্দ্বে রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ” যুদ্ধ শেষ হলেও রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে : ফিনল্যান্ড আবাসন ভাতাসহ তিন দাবিতে জবি ছাত্রদলের মানববন্ধন প্রথমবারের মতো হাফতার নিয়ন্ত্রিত লিবিয়ায় ভিড়ল তুর্কি যুদ্ধজাহাজ ফেসবুকে প্রেম, বিয়ে করতে কুষ্টিয়ায় চীনা যুবক

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩৮:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • / 32

ছবি সংগৃহীত

 

ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির উদ্যোগে নতুন করে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (১৪ মে) তেহরানের বিরুদ্ধে আবারও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ট্রেজারি বিভাগ জানায়, ইরান সরকারকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে অভ্যন্তরীণ সহায়তা এবং গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ সরবরাহ করার অভিযোগে ছয় ব্যক্তি ও ১২টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ইরান এবং চীনে অবস্থান করছে।

বিভাগটি আরও জানায়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা ব্যক্তিরা ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) একটি উপ-সংগঠনকে সহায়তা করেছে। তারা আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কার্বন ফাইবার উন্নয়নের কাজ তদারকি করছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছে। এবারও সেই কৌশলের অংশ হিসেবেই নতুন নিষেধাজ্ঞা এসেছে। অন্যদিকে, তেহরানের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা চললেও নিষেধাজ্ঞা আরোপে হতাশা প্রকাশ করেছে ইরান।

মঙ্গলবার তেহরান জানিয়েছিল, পারমাণবিক আলোচনায় অগ্রগতি হলেও যদি নিষেধাজ্ঞা আরোপ অব্যাহত থাকে, তাহলে সেই সমঝোতা গ্রহণযোগ্য হবে না।

এদিকে, একই দিন মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ আরও একটি বড় পদক্ষেপ নেয়। একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে ২০টিরও বেশি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ট্রেজারি বিভাগ দাবি করেছে, এই নেটওয়ার্কটি দীর্ঘদিন ধরে ইরানি তেল চীনে পাচার করে আসছিল।

এর আগে গত সপ্তাহে, ইরানি তেল আমদানির দায়ে চীনের একটি স্বাধীন ‘টিপট’ তেল শোধনাগার এবং কয়েকটি বন্দর টার্মিনাল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ওয়াশিংটন।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধারাবাহিক নিষেধাজ্ঞা ইরানের প্রতিরক্ষা খাত ও বৈদেশিক বাণিজ্যে বড় ধরনের চাপ তৈরি করবে। তবে ওয়াশিংটনের এমন পদক্ষেপ পারমাণবিক আলোচনার ভবিষ্যতকে কতটা প্রভাবিত করবে, তা এখনো অনিশ্চিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত

আপডেট সময় ১০:৩৮:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

 

ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির উদ্যোগে নতুন করে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (১৪ মে) তেহরানের বিরুদ্ধে আবারও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ট্রেজারি বিভাগ জানায়, ইরান সরকারকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে অভ্যন্তরীণ সহায়তা এবং গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ সরবরাহ করার অভিযোগে ছয় ব্যক্তি ও ১২টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ইরান এবং চীনে অবস্থান করছে।

বিভাগটি আরও জানায়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা ব্যক্তিরা ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) একটি উপ-সংগঠনকে সহায়তা করেছে। তারা আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কার্বন ফাইবার উন্নয়নের কাজ তদারকি করছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছে। এবারও সেই কৌশলের অংশ হিসেবেই নতুন নিষেধাজ্ঞা এসেছে। অন্যদিকে, তেহরানের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা চললেও নিষেধাজ্ঞা আরোপে হতাশা প্রকাশ করেছে ইরান।

মঙ্গলবার তেহরান জানিয়েছিল, পারমাণবিক আলোচনায় অগ্রগতি হলেও যদি নিষেধাজ্ঞা আরোপ অব্যাহত থাকে, তাহলে সেই সমঝোতা গ্রহণযোগ্য হবে না।

এদিকে, একই দিন মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ আরও একটি বড় পদক্ষেপ নেয়। একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে ২০টিরও বেশি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ট্রেজারি বিভাগ দাবি করেছে, এই নেটওয়ার্কটি দীর্ঘদিন ধরে ইরানি তেল চীনে পাচার করে আসছিল।

এর আগে গত সপ্তাহে, ইরানি তেল আমদানির দায়ে চীনের একটি স্বাধীন ‘টিপট’ তেল শোধনাগার এবং কয়েকটি বন্দর টার্মিনাল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ওয়াশিংটন।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধারাবাহিক নিষেধাজ্ঞা ইরানের প্রতিরক্ষা খাত ও বৈদেশিক বাণিজ্যে বড় ধরনের চাপ তৈরি করবে। তবে ওয়াশিংটনের এমন পদক্ষেপ পারমাণবিক আলোচনার ভবিষ্যতকে কতটা প্রভাবিত করবে, তা এখনো অনিশ্চিত।