০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
‘পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত এক দখলদার দানব’ — যুক্তরাষ্ট্রকে কটাক্ষ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে সম্মত পাকিস্তান-আফগানিস্তান, তুরস্ক-কাতারের মধ্যস্থতায় সমঝোতা প্রথম উড্ডয়ন সম্পন্ন করল নাসার নীরব সুপারসনিক জেট X-59 ‘হ্যাঁ’–‘না’ পোস্টে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া ইবতেদায়ী শিক্ষকদের মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দিলো পুলিশ জুলাই সনদে সাইন করে ভুল করেছেন, এখন কাফফারা দিন: বিএনপিকে নাসীরুদ্দীন ব্রাজিলে মাদকবিরোধী অভিযানে নিহত কমপক্ষে ৬০ জন বিপিএলে দলের নাম ঠিক করে দেবে বিসিবি, করা যাবে না পরিবর্তন যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত অন্তত ১৮ কেউ এককভাবে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে পারবে না: নাহিদ ইসলাম

দিনাজপুরে বোরো ধানে মাজরা পোকার আক্রমণ, উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা

দিনাজপুর, বোরোধান, মাজরাপোকা, কৃষক
  • আপডেট সময় ১১:২০:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • / 137

ছবি সংগৃহীত

 

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে বোরো ধানের মাঠে দেখা দিয়েছে মাজরা পোকা ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ। এতে ধানের শীষ শুকিয়ে সাদা হয়ে যাচ্ছে এবং ধানের গাছ কেটে ফেলার মতো অবস্থায় পৌঁছেছে পোকার উপদ্রব। ফলে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কায় ভুগছেন কৃষকরা। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, এখন ধান পাকার সময় হওয়ায় এ আক্রমণ খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না।

উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে শোভা পাচ্ছে বোরো ধানের সবুজ ক্ষেত। অধিকাংশ জমিতে ধানের শীষ বের হয়েছে, কোথাও কোথাও আগাম লাগানো ধান পেকে যাওয়ায় কাটা শুরু হয়েছে। তবে যেসব কৃষক আগে আলু ও সরিষার চাষ করে পরে বোরো ধান রোপণ করেছেন, তাদের জমিতে শীষ বের হতে একটু দেরি হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

ছাতনী চারমাথা এলাকার কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, “আমার জমির ধানে এখন শীষ বের হচ্ছে, তবে একই সময় মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ নিয়ে কীটনাশক স্প্রে করছি, কিন্তু সমস্যা পুরোপুরি কাটছে না।”

একই এলাকার কৃষক মাজাহার জানান, “মাজরা পোকা ধান গাছের গোড়া কেটে দিচ্ছে। এতে শীষ শুকিয়ে যাচ্ছে, অনেক ধান পাতান হয়ে যাচ্ছে। কীটনাশক দিয়েও উপকার পাচ্ছি না। খরচ বাড়ছে, আবার ফলন নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আলুর ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে বোরো ধানে ভরসা করেছিলাম, এখন এখানেও ক্ষতির মুখে পড়ছি।”

উপজেলা কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম বলেন, “কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আলোক ফাঁদ, কীটনাশক স্প্রে ও জমির পরিচর্যার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আবহাওয়ার অবস্থা ভালো রয়েছে, এই ধারাবাহিকতা থাকলে কৃষকরা আশানুরূপ ফলন পাবেন।”

এ বছর হাকিমপুর উপজেলায় ৭ হাজার ৬২৪ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। এর থেকে প্রায় ৩৪ হাজার ৯৯৪ টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে মাজরা পোকার আক্রমণ যদি নিয়ন্ত্রণে না আসে, তাহলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাধা সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় কৃষকরা।

 

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

দিনাজপুরে বোরো ধানে মাজরা পোকার আক্রমণ, উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা

আপডেট সময় ১১:২০:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

 

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে বোরো ধানের মাঠে দেখা দিয়েছে মাজরা পোকা ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ। এতে ধানের শীষ শুকিয়ে সাদা হয়ে যাচ্ছে এবং ধানের গাছ কেটে ফেলার মতো অবস্থায় পৌঁছেছে পোকার উপদ্রব। ফলে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কায় ভুগছেন কৃষকরা। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, এখন ধান পাকার সময় হওয়ায় এ আক্রমণ খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না।

উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে শোভা পাচ্ছে বোরো ধানের সবুজ ক্ষেত। অধিকাংশ জমিতে ধানের শীষ বের হয়েছে, কোথাও কোথাও আগাম লাগানো ধান পেকে যাওয়ায় কাটা শুরু হয়েছে। তবে যেসব কৃষক আগে আলু ও সরিষার চাষ করে পরে বোরো ধান রোপণ করেছেন, তাদের জমিতে শীষ বের হতে একটু দেরি হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

ছাতনী চারমাথা এলাকার কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, “আমার জমির ধানে এখন শীষ বের হচ্ছে, তবে একই সময় মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ নিয়ে কীটনাশক স্প্রে করছি, কিন্তু সমস্যা পুরোপুরি কাটছে না।”

একই এলাকার কৃষক মাজাহার জানান, “মাজরা পোকা ধান গাছের গোড়া কেটে দিচ্ছে। এতে শীষ শুকিয়ে যাচ্ছে, অনেক ধান পাতান হয়ে যাচ্ছে। কীটনাশক দিয়েও উপকার পাচ্ছি না। খরচ বাড়ছে, আবার ফলন নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আলুর ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে বোরো ধানে ভরসা করেছিলাম, এখন এখানেও ক্ষতির মুখে পড়ছি।”

উপজেলা কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম বলেন, “কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আলোক ফাঁদ, কীটনাশক স্প্রে ও জমির পরিচর্যার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আবহাওয়ার অবস্থা ভালো রয়েছে, এই ধারাবাহিকতা থাকলে কৃষকরা আশানুরূপ ফলন পাবেন।”

এ বছর হাকিমপুর উপজেলায় ৭ হাজার ৬২৪ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। এর থেকে প্রায় ৩৪ হাজার ৯৯৪ টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে মাজরা পোকার আক্রমণ যদি নিয়ন্ত্রণে না আসে, তাহলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাধা সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় কৃষকরা।