ঢাকা ০৭:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাগরিকার হ্যাটট্রিক: শ্রীলঙ্কাকে গোলবন্যায় ভাসাল বাংলাদেশ বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ: পাবনায় ১০ নেতাকর্মীর বহিষ্কার কর্ণফুলী ইপিজেডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: আগুন নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিটের অভিযান চারদিন সাগরে ভেসে থাকা ৯ জেলেকে উদ্ধার: এখনও নিখোঁজ ৩ বাংলাদেশে প্রথমবার মুক্তি পাচ্ছে নেপালি ছবি: ‘ন ডরাই’ এর বিনিময়ে ফয়জুল করীম: ‘দেশের রাজনৈতিক সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়’ বিশ্বাসীদের কবি আল মাহমুদের ৯০তম জন্মদিন আজ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের পথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন হাসপাতাল নিতে বলায় গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা: আতঙ্কজনক ঘটনা ডেঙ্গু আতঙ্ক: মৃত্যু ২, হাসপাতালে ভর্তি ৩৩৭

সুন্দরবনের ১০ কিমিতে শিল্প স্থাপনায় নিষেধাজ্ঞা, সরকারী প্রজ্ঞাপন জারি

সুন্দরবন, নিষেধাজ্ঞা, শিল্পস্থাপন, সরকারিপ্রজ্ঞাপন
  • আপডেট সময় ০৭:১১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • / 18

ছবি সংগৃহীত

 

সুন্দরবন সংলগ্ন ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নতুন কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা প্রকল্প স্থাপনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। সোমবার (১২ মে) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ নির্দেশনা জারি করে।

প্রজ্ঞাপনটি স্বাক্ষর করেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সাবরীনা রহমান। এতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ধারা ৫ অনুযায়ী সুন্দরবন রিজার্ভ ফরেস্টের চারপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকা ‘প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ)’ হিসেবে ঘোষিত। ওই এলাকার পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় নতুন কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা প্রকল্প স্থাপনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

তবে এই এলাকায় পরিবেশ সংরক্ষণ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশগত মান উন্নয়ন ও টেকসই ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব ও পরিকল্পিত কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ইসিএ হিসেবে ঘোষিত এলাকাগুলোতে এমনিতেই পরিবেশগত নিয়ন্ত্রণ কঠোর। কিন্তু বাস্তবে সেখানে নানা শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, যার ফলে সুন্দরবনের প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। এই প্রেক্ষাপটেই সরকার নতুন করে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

এর আগে গত ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত জাতীয় পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন কমিটির নির্বাহী কমিটির ১৬তম সভায় এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতেই ১২ মে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

সরকারের এই উদ্যোগকে পরিবেশবাদীরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তাঁদের মতে, সুন্দরবনের আশপাশে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন রোধে এ সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি শুধু বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ সুন্দরবন রক্ষাই নয়, পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের জীবিকা ও ভবিষ্যৎ পরিবেশগত নিরাপত্তা নিশ্চিতেও সহায়ক হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুন্দরবনের প্রতিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা করতে হলে এর আশপাশের অঞ্চলকে সুরক্ষিত রাখা অত্যন্ত জরুরি। এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি এবং স্থানীয় জনগণের সচেতন অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

সুন্দরবনের ১০ কিমিতে শিল্প স্থাপনায় নিষেধাজ্ঞা, সরকারী প্রজ্ঞাপন জারি

আপডেট সময় ০৭:১১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

 

সুন্দরবন সংলগ্ন ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নতুন কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা প্রকল্প স্থাপনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। সোমবার (১২ মে) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ নির্দেশনা জারি করে।

প্রজ্ঞাপনটি স্বাক্ষর করেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সাবরীনা রহমান। এতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ধারা ৫ অনুযায়ী সুন্দরবন রিজার্ভ ফরেস্টের চারপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকা ‘প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ)’ হিসেবে ঘোষিত। ওই এলাকার পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় নতুন কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান বা প্রকল্প স্থাপনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

তবে এই এলাকায় পরিবেশ সংরক্ষণ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশগত মান উন্নয়ন ও টেকসই ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব ও পরিকল্পিত কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ইসিএ হিসেবে ঘোষিত এলাকাগুলোতে এমনিতেই পরিবেশগত নিয়ন্ত্রণ কঠোর। কিন্তু বাস্তবে সেখানে নানা শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, যার ফলে সুন্দরবনের প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। এই প্রেক্ষাপটেই সরকার নতুন করে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

এর আগে গত ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত জাতীয় পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন কমিটির নির্বাহী কমিটির ১৬তম সভায় এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতেই ১২ মে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

সরকারের এই উদ্যোগকে পরিবেশবাদীরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তাঁদের মতে, সুন্দরবনের আশপাশে অপরিকল্পিত শিল্পায়ন রোধে এ সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি শুধু বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ সুন্দরবন রক্ষাই নয়, পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের জীবিকা ও ভবিষ্যৎ পরিবেশগত নিরাপত্তা নিশ্চিতেও সহায়ক হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুন্দরবনের প্রতিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা করতে হলে এর আশপাশের অঞ্চলকে সুরক্ষিত রাখা অত্যন্ত জরুরি। এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি এবং স্থানীয় জনগণের সচেতন অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।