ঢাকা ০৪:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আটারি সীমান্তে ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে একজন করে সেনা বন্দিবিনিময় দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে রাজশাহী নার্সিং কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা প্রবাসী ইস্যুতে মালয়েশিয়ায় কূটনৈতিক তৎপরতায় আইন উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে ডি-লিট ডিগ্রি প্রদান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জবি শিক্ষার্থীদের ওপর টিয়ারশেল-সাউন্ড গ্রেনেডে আহত শতাধিক শিক্ষার্থী ক্ষমতার সময় ফুরিয়ে এসেছে: হুঁশিয়ারি শাজাহান খান চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৮ দফা দাবিতে রেলপথ অবরোধ ও মানববন্ধন মানিকগঞ্জে অসময়ের যমুনার ভাঙন: হুমকির মুখে শতাধিক ঘরবাড়ি শীর্ষ আদালতে জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ফেরতের রায় ১ জুন ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এক দিনে নিহত আরও ৫৬ জন

সিভিল সার্জনদের উদ্যোগেই স্বাস্থ্যসেবায় ২৫% উন্নতি সম্ভব: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:১২:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • / 10

ছবি: সংগৃহীত

 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করলে সীমিত সম্পদেও দেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবায় ২৫ শতাংশ উন্নয়ন সম্ভব। শুধু স্বাস্থ্যখাতে প্রচলিত নিয়ম-কানুন যথাযথভাবে মেনে চললেই এই অগ্রগতি নিশ্চিত করা যায়।

সোমবার (১২ মে) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রথমবারের মতো আয়োজিত সিভিল সার্জন সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “জনবল বা যন্ত্রপাতির অভাবের অজুহাতে হাত গুটিয়ে বসে থাকা চলবে না। যা কিছু আছে, তাই দিয়ে চিকিৎসাসেবা চালিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে।”

সিভিল সার্জন সম্মেলন নিয়ে তিনি বলেন, “এতদিন এই ধরনের সম্মেলন কেন হয়নি, তা সত্যিই বোধগম্য নয়। এই সম্মেলনের মাধ্যমে সরাসরি মতবিনিময় ও সমস্যার সমাধানের পথ তৈরি হবে।”

স্বাস্থ্যখাতকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের আদলে এবারই প্রথমবার ৬৪ জেলার সিভিল সার্জনদের নিয়ে দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সম্মেলনে স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন সমস্যা, চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এ সম্মেলনে অংশ নিতে সিভিল সার্জনদের পূর্বেই নিজ নিজ জেলার স্বাস্থ্যসেবার চিত্র তুলে ধরে মতামত পাঠাতে বলা হয়। তারা সেইমতো প্রতিবেদনও দিয়েছেন।

সম্মেলনের বিভিন্ন অধিবেশনে অংশ নেবেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের উপদেষ্টা, সচিব, সিনিয়র কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা। তারা স্বাস্থ্যসেবার কাঠামো উন্নয়নে বাস্তবভিত্তিক পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেবেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এই সম্মেলন দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ভেতর থেকে উঠে আসা অভিজ্ঞতাকে নীতিনির্ধারণে কাজে লাগানোর এক অনন্য সুযোগ করে দেবে। এতে করে মাঠপর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার কাঠামো আরও সুসংহত ও কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে এই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং ভবিষ্যতেও এমন আয়োজন নিয়মিত করার দাবি উঠছে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সিভিল সার্জনদের উদ্যোগেই স্বাস্থ্যসেবায় ২৫% উন্নতি সম্ভব: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

আপডেট সময় ০১:১২:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করলে সীমিত সম্পদেও দেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবায় ২৫ শতাংশ উন্নয়ন সম্ভব। শুধু স্বাস্থ্যখাতে প্রচলিত নিয়ম-কানুন যথাযথভাবে মেনে চললেই এই অগ্রগতি নিশ্চিত করা যায়।

সোমবার (১২ মে) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রথমবারের মতো আয়োজিত সিভিল সার্জন সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “জনবল বা যন্ত্রপাতির অভাবের অজুহাতে হাত গুটিয়ে বসে থাকা চলবে না। যা কিছু আছে, তাই দিয়ে চিকিৎসাসেবা চালিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে।”

সিভিল সার্জন সম্মেলন নিয়ে তিনি বলেন, “এতদিন এই ধরনের সম্মেলন কেন হয়নি, তা সত্যিই বোধগম্য নয়। এই সম্মেলনের মাধ্যমে সরাসরি মতবিনিময় ও সমস্যার সমাধানের পথ তৈরি হবে।”

স্বাস্থ্যখাতকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের আদলে এবারই প্রথমবার ৬৪ জেলার সিভিল সার্জনদের নিয়ে দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সম্মেলনে স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন সমস্যা, চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এ সম্মেলনে অংশ নিতে সিভিল সার্জনদের পূর্বেই নিজ নিজ জেলার স্বাস্থ্যসেবার চিত্র তুলে ধরে মতামত পাঠাতে বলা হয়। তারা সেইমতো প্রতিবেদনও দিয়েছেন।

সম্মেলনের বিভিন্ন অধিবেশনে অংশ নেবেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের উপদেষ্টা, সচিব, সিনিয়র কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা। তারা স্বাস্থ্যসেবার কাঠামো উন্নয়নে বাস্তবভিত্তিক পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দেবেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এই সম্মেলন দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ভেতর থেকে উঠে আসা অভিজ্ঞতাকে নীতিনির্ধারণে কাজে লাগানোর এক অনন্য সুযোগ করে দেবে। এতে করে মাঠপর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার কাঠামো আরও সুসংহত ও কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে এই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং ভবিষ্যতেও এমন আয়োজন নিয়মিত করার দাবি উঠছে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে।