ঢাকা ০৪:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জবি শিক্ষার্থীদের ওপর টিয়ারশেল-সাউন্ড গ্রেনেডে আহত শতাধিক শিক্ষার্থী ক্ষমতার সময় ফুরিয়ে এসেছে: হুঁশিয়ারি শাজাহান খান চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৮ দফা দাবিতে রেলপথ অবরোধ ও মানববন্ধন মানিকগঞ্জে অসময়ের যমুনার ভাঙন: হুমকির মুখে শতাধিক ঘরবাড়ি শীর্ষ আদালতে জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ফেরতের রায় ১ জুন ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এক দিনে নিহত আরও ৫৬ জন দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেন ডা. জুবাইদা রহমান তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি নিয়ে মালয়েশিয়ায় বিএনপির কর্মশালা ঢাবি ভিসিকে দোষী দেখিয়ে মূল সত্য আড়াল করার পাঁয়তারা: সারজিসের অভিযোগ চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়া অর্থনীতির নতুন দিগন্ত সম্ভব নয়: ড. ইউনূস

নিপীড়িত মানুষদের অধিকারের কণ্ঠস্বর বব মার্লের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:১৮:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • / 17

ছবি সংগৃহীত

 

অধিকার, ভালোবাসা আর মানবতার পক্ষে গলা তুলে গেছেন তিনি। নিপীড়িত, অবহেলিত মানুষের কথা বলাই ছিল যার গান, সুর আর কণ্ঠের মূল শক্তি। তিনি বব মার্লে—জ্যামাইকান কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও গিটারিস্ট। আজ ১১ মে তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী।

১৯৮১ সালের এই দিনে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে পৃথিবীকে বিদায় জানান এই মহৎ শিল্পী। ১৯৪৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জ্যামাইকার সেইন্ট অ্যান এলাকার ‘নাইন মাইল’ নামক একটি বস্তিতে জন্ম নেন বব মার্লে। দুর্দশাগ্রস্ত, নিগৃহীত মানুষের অধিকার নিয়ে গান গেয়েই অল্প সময়েই জ্যামাইকানদের হৃদয় জয় করে নেন তিনি। তৃতীয় বিশ্ব থেকে উঠে আসা প্রথম সুপারস্টার হিসেবে বিশ্বমঞ্চে তাঁর পরিচিতি।

মাত্র ১৮ বছর বয়সে স্কুলজীবনের বন্ধুদের নিয়ে গঠন করেন ‘বব মার্লে অ্যান্ড দ্য ওয়াইলার্স’ নামের একটি ব্যান্ড। পরে ব্যান্ডটি বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জন করে। বব মার্লে, পিটার টশ, বানি ওয়েইলারসহ আরও কয়েকজন ছিলেন এই দলের সদস্য।

১৯৭৪ সালে ব্যান্ডটি ‘বার্নিন’ নামে একটি অ্যালবাম প্রকাশ করে। সেখানে থাকা গান ‘গেট আপ অ্যান্ড স্ট্যান্ড আপ’ রীতিমতো বিদ্রোহের প্রতীক হয়ে ওঠে। ষাট ও সত্তরের দশকে যখন জাতীয়তাবাদ ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলন বিশ্বজুড়ে তুঙ্গে, তখন এ গান সাহস যুগিয়েছে লাখো আন্দোলনকারীর হৃদয়ে।

এরপর এককভাবে এবং ব্যান্ডের হয়েও একের পর এক অ্যালবাম উপহার দিয়েছেন তিনি। তাঁর বিখ্যাত গানগুলোর মধ্যে রয়েছে—‘নো ওম্যান নো ক্রাই’, ‘বাফেলো সোলজার’, ‘ওয়ান লাভ’, ‘রিডেম্পশন সং’, ‘ব্ল্যাক প্রগ্রেস’ ইত্যাদি। এসব গানে উঠে এসেছে পুঁজিবাদ, বর্ণবাদ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদী সুর।

বব মার্লে বিশ্বাস করতেন, মানুষের হৃদয়ে ভালোবাসা ও সংগীত পৌঁছে দিলে ঘৃণার জায়গা সরে যাবে। এ বিশ্বাস থেকেই তিনি যুক্ত ছিলেন ‘রাসতাফারি’ আন্দোলনের সঙ্গে। শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে জ্যামাইকা, ইউরোপ ও আমেরিকায় অংশ নিয়েছেন অসংখ্য কনসার্টে।

১৯৯৯ সালে টাইম ম্যাগাজিন তাঁর ‘বব মার্লে অ্যান্ড দ্য ওয়েইলার্স’ অ্যালবামকে বিশ শতকের সেরা অ্যালবাম ঘোষণা করে। ১৯৯৪ সালে ‘রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেম’-এ অন্তর্ভুক্ত হন তিনি এবং রোলিং স্টোন ম্যাগাজিনের সর্বকালের সেরা ১০০ শিল্পীর তালিকায় ১১তম স্থানে জায়গা করে নেন।

মৃত্যুর ৪৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও বব মার্লের গান বাজে প্রতিবাদ, প্রেম আর মানবতার বার্তাবাহক হয়ে। তাঁর গান আজও কোটি মানুষের অনুপ্রেরণা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

নিপীড়িত মানুষদের অধিকারের কণ্ঠস্বর বব মার্লের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আপডেট সময় ০২:১৮:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

 

অধিকার, ভালোবাসা আর মানবতার পক্ষে গলা তুলে গেছেন তিনি। নিপীড়িত, অবহেলিত মানুষের কথা বলাই ছিল যার গান, সুর আর কণ্ঠের মূল শক্তি। তিনি বব মার্লে—জ্যামাইকান কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও গিটারিস্ট। আজ ১১ মে তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী।

১৯৮১ সালের এই দিনে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে পৃথিবীকে বিদায় জানান এই মহৎ শিল্পী। ১৯৪৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জ্যামাইকার সেইন্ট অ্যান এলাকার ‘নাইন মাইল’ নামক একটি বস্তিতে জন্ম নেন বব মার্লে। দুর্দশাগ্রস্ত, নিগৃহীত মানুষের অধিকার নিয়ে গান গেয়েই অল্প সময়েই জ্যামাইকানদের হৃদয় জয় করে নেন তিনি। তৃতীয় বিশ্ব থেকে উঠে আসা প্রথম সুপারস্টার হিসেবে বিশ্বমঞ্চে তাঁর পরিচিতি।

মাত্র ১৮ বছর বয়সে স্কুলজীবনের বন্ধুদের নিয়ে গঠন করেন ‘বব মার্লে অ্যান্ড দ্য ওয়াইলার্স’ নামের একটি ব্যান্ড। পরে ব্যান্ডটি বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জন করে। বব মার্লে, পিটার টশ, বানি ওয়েইলারসহ আরও কয়েকজন ছিলেন এই দলের সদস্য।

১৯৭৪ সালে ব্যান্ডটি ‘বার্নিন’ নামে একটি অ্যালবাম প্রকাশ করে। সেখানে থাকা গান ‘গেট আপ অ্যান্ড স্ট্যান্ড আপ’ রীতিমতো বিদ্রোহের প্রতীক হয়ে ওঠে। ষাট ও সত্তরের দশকে যখন জাতীয়তাবাদ ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলন বিশ্বজুড়ে তুঙ্গে, তখন এ গান সাহস যুগিয়েছে লাখো আন্দোলনকারীর হৃদয়ে।

এরপর এককভাবে এবং ব্যান্ডের হয়েও একের পর এক অ্যালবাম উপহার দিয়েছেন তিনি। তাঁর বিখ্যাত গানগুলোর মধ্যে রয়েছে—‘নো ওম্যান নো ক্রাই’, ‘বাফেলো সোলজার’, ‘ওয়ান লাভ’, ‘রিডেম্পশন সং’, ‘ব্ল্যাক প্রগ্রেস’ ইত্যাদি। এসব গানে উঠে এসেছে পুঁজিবাদ, বর্ণবাদ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদী সুর।

বব মার্লে বিশ্বাস করতেন, মানুষের হৃদয়ে ভালোবাসা ও সংগীত পৌঁছে দিলে ঘৃণার জায়গা সরে যাবে। এ বিশ্বাস থেকেই তিনি যুক্ত ছিলেন ‘রাসতাফারি’ আন্দোলনের সঙ্গে। শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে জ্যামাইকা, ইউরোপ ও আমেরিকায় অংশ নিয়েছেন অসংখ্য কনসার্টে।

১৯৯৯ সালে টাইম ম্যাগাজিন তাঁর ‘বব মার্লে অ্যান্ড দ্য ওয়েইলার্স’ অ্যালবামকে বিশ শতকের সেরা অ্যালবাম ঘোষণা করে। ১৯৯৪ সালে ‘রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেম’-এ অন্তর্ভুক্ত হন তিনি এবং রোলিং স্টোন ম্যাগাজিনের সর্বকালের সেরা ১০০ শিল্পীর তালিকায় ১১তম স্থানে জায়গা করে নেন।

মৃত্যুর ৪৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও বব মার্লের গান বাজে প্রতিবাদ, প্রেম আর মানবতার বার্তাবাহক হয়ে। তাঁর গান আজও কোটি মানুষের অনুপ্রেরণা।