ঢাকা ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মগবাজারের হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু ফরিদপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হোতা কুটি মিয়া অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার এইচএসসি পরীক্ষায় দ্বিতীয় দিনে অনুপস্থিত ২২ হাজার শিক্ষার্থী, বহিষ্কার ৪১ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সম্মান এবং পারস্পরিক স্বার্থে: আমীর খসরু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন দাবি বিএনপির, আপসের প্রশ্ন নেই: দুদু ইরানে আইএইএ মহাপরিচালকের মৃত্যুদণ্ডের দাবির কড়া প্রতিক্রিয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে নতুন করে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু নেই বিসিবির সভা আগামীকাল, এজেন্ডায় থাকছে কী? আজ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় তিন শিশুসহ নিহত ১৪ জন শীর্ষক: রেমিট্যান্স প্রবাহে ঊর্ধ্বগতি: জুনের ২৮ দিনেই এসেছে ২৫৩ কোটি ডলার

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী: পরমাণু অস্ত্র ব্যবস্থাপনায় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:২৪:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
  • / 18

ছবি: সংগৃহীত

 

ভারতের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের পর পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত সংস্থা ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির (এনসিএ) কোনো বৈঠক হয়নি এবং এমন কোনো বৈঠকের সময়সূচিও নেই বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।

শনিবার (১০ মে) পাকিস্তানি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এআরওয়াই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির কোনো বৈঠক ডাকা হয়নি। এ ধরনের কোনো বৈঠকের পরিকল্পনাও নেই।”

তবে এর আগেই পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দাবি করেছিল, ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা শুরুর প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এনসিএ বৈঠক আহ্বান করেছেন।

এ প্রসঙ্গে দেশটির তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে এখন পর্যন্ত তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, শনিবার সকালে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটি পাকিস্তানের তিন বাহিনীর মধ্যে যৌথ কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে সংস্থাটির প্রধান দায়িত্ব হলো দেশটির পারমাণবিক অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ।

এনসিএ’র বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদন বিষয়কমন্ত্রীও এই সংস্থার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়া কমিটিতে রয়েছেন জয়েন্ট চীফ অব স্টাফ, তিন বাহিনীর প্রধান এবং স্ট্রাটেজিক প্ল্যানস ডিভিশনের (এসপিডি) মহাপরিচালক। এসপিডি পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থাপনার মূল দায়িত্বে থাকা সংস্থা হিসেবে কাজ করে আসছে।

পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যে এই ধরনের খবর ঘিরে আলোচনার ঝড় ওঠে দেশ-বিদেশের সংবাদমাধ্যমে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এবারের মতো বিষয়টি স্পষ্টভাবে অস্বীকার করা হলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী: পরমাণু অস্ত্র ব্যবস্থাপনায় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি

আপডেট সময় ০১:২৪:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

 

ভারতের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের পর পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত সংস্থা ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির (এনসিএ) কোনো বৈঠক হয়নি এবং এমন কোনো বৈঠকের সময়সূচিও নেই বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।

শনিবার (১০ মে) পাকিস্তানি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এআরওয়াই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির কোনো বৈঠক ডাকা হয়নি। এ ধরনের কোনো বৈঠকের পরিকল্পনাও নেই।”

তবে এর আগেই পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দাবি করেছিল, ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা শুরুর প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এনসিএ বৈঠক আহ্বান করেছেন।

এ প্রসঙ্গে দেশটির তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে এখন পর্যন্ত তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, শনিবার সকালে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটি পাকিস্তানের তিন বাহিনীর মধ্যে যৌথ কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে সংস্থাটির প্রধান দায়িত্ব হলো দেশটির পারমাণবিক অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ।

এনসিএ’র বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদন বিষয়কমন্ত্রীও এই সংস্থার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়া কমিটিতে রয়েছেন জয়েন্ট চীফ অব স্টাফ, তিন বাহিনীর প্রধান এবং স্ট্রাটেজিক প্ল্যানস ডিভিশনের (এসপিডি) মহাপরিচালক। এসপিডি পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থাপনার মূল দায়িত্বে থাকা সংস্থা হিসেবে কাজ করে আসছে।

পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যে এই ধরনের খবর ঘিরে আলোচনার ঝড় ওঠে দেশ-বিদেশের সংবাদমাধ্যমে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এবারের মতো বিষয়টি স্পষ্টভাবে অস্বীকার করা হলো।