ঢাকা ০১:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নেইমার-ভিনিসিয়ুসদের সঙ্গে ব্রাজিল অক্টোবরের এশিয়া সফরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেশনাল কোর্সে ভর্তি আবেদন চলবে আরও ২ দিন কারাগারে সন্তান জন্ম, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা–শিশু রাজধানীর সব বাস একীভূত ব্যবস্থায় পরিচালনার ঘোষণা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল রায়: চারটি রিভিউ আবেদনের শুনানি আজ আপিল বিভাগে যারা নির্বাচন বয়কট করবে, নিজেরাই মাইনাস হয়ে যাবে: সালাহউদ্দিন আহমদ শ্রীবরদীতে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্পেইন অস্ট্রেলিয়ার ১০ বিলিয়ন ডলারের উইন্ড ফার্ম প্রকল্প বাতিল কোস্টগার্ডের হাতে ধরা পড়ল ৪১৩ কোটি টাকার অবৈধ জাল ডাকসু প্রচারণায় কঠোর শৃঙ্খলা জারি, প্রার্থীদের জন্য নতুন নির্দেশনা

৭-১ ব্যবধানে বিলবাওকে উড়িয়ে ফাইনালে ইউনাইটেড, সঙ্গী টটেনহামও

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৩২:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
  • / 45

ছবি: সংগৃহীত

 

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং টটেনহাম হটস্পার ইউরোপা লিগের ফাইনালে উঠেছে। দুটি দলই সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে। এর ফলে আগামী ২১ মে বিলবাওয়ের সান মামেস স্টেডিয়ামে একটি উত্তেজনাপূর্ণ অল-প্রিমিয়ার লিগ ফাইনাল দেখার জন্য ফুটবলপ্রেমীরা প্রস্তুত।

প্রথম লেগে আথলেতিক বিলবাওয়ের মাঠে ৩-০ গোলের বড় জয় পাওয়ায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফাইনালের টিকিট প্রায় নিশ্চিতই ছিল। ওল্ড ট্রাফোর্ডে অনুষ্ঠিত ফিরতি লেগেও তারা ৪-১ গোলের সহজ জয় তুলে নেয়। দুই লেগ মিলিয়ে ৭-১ ব্যবধানে স্প্যানিশ ক্লাবটিকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালের মঞ্চে জায়গা করে নেয় রেড ডেভিলসরা।

ম্যাচের ৩১ মিনিটে হ্যারি মাগুইরের একটি ভুল পাসে মিকেল জাউরেগিজার দূর থেকে দুর্দান্ত এক গোল করে বিলবাওকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। তবে ইউনাইটেড শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়। ৭২ মিনিটে লেনি ইয়োরোর পাস থেকে ম্যাসন মাউন্ট গোল করে সমতা ফেরান। এর সাত মিনিট পর ক্যাসেমিরো একটি ফ্রি-কিক থেকে গোল করে ইউনাইটেডকে লিড এনে দেন। ৮৫ মিনিটে রাসমুস হয়লুন্দ দলের তৃতীয় গোলটি করেন। অতিরিক্ত সময়ে মাউন্ট আরও একটি গোল করে ইউনাইটেডের বড় জয় নিশ্চিত করেন।

অন্যদিকে, টটেনহাম হটস্পার তাদের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে নরওয়েজিয়ান ক্লাব বোদো/গ্লিমটকে তাদের ঘরের মাঠে ২-০ গোলে পরাজিত করেছে। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ৩-১ গোলে জেতার সুবাদে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে স্পার্সরা। ডোমিনিক সোলাঙ্কে এবং পেদ্রো পোরো টটেনহামের হয়ে গোল দুটি করেন। ৬৩ মিনিটে সোলাঙ্কে গোল করে ডেডলক ভাঙেন, এবং ছয় মিনিট পর পোরো ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।

এই ফাইনালটি কেবল ইউরোপা লিগের শিরোপার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং উভয় দলের জন্যই আগামী চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার সুযোগ এনে দিতে পারে। প্রিমিয়ার লিগে রেড ডেভিলস ১৫তম এবং স্পার্স ১৬তম স্থানে থাকায় শীর্ষ পাঁচে থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা তাদের জন্য কঠিন। তাই ইউরোপা লিগের ফাইনাল জয় তাদের জন্য চ্যাম্পিয়নস লিগের দরজা খুলে দিতে পারে।
টটেনহামের কোচ রুবেন আমোরি জানিয়েছেন যে তারা ফাইনাল না জেতা পর্যন্ত কোনো উদযাপন করবেন না। তিনি পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৮-১৯ মৌসুমে ইউরোপা লিগে অল-প্রিমিয়ার লিগ ফাইনাল দেখা গিয়েছিল, যেখানে চেলসি ৪-১ গোলে আর্সেনালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবার দেখার পালা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড নাকি টটেনহাম শেষ হাসি হাসে।

নিউজটি শেয়ার করুন

৭-১ ব্যবধানে বিলবাওকে উড়িয়ে ফাইনালে ইউনাইটেড, সঙ্গী টটেনহামও

আপডেট সময় ০৪:৩২:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫

 

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং টটেনহাম হটস্পার ইউরোপা লিগের ফাইনালে উঠেছে। দুটি দলই সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে। এর ফলে আগামী ২১ মে বিলবাওয়ের সান মামেস স্টেডিয়ামে একটি উত্তেজনাপূর্ণ অল-প্রিমিয়ার লিগ ফাইনাল দেখার জন্য ফুটবলপ্রেমীরা প্রস্তুত।

প্রথম লেগে আথলেতিক বিলবাওয়ের মাঠে ৩-০ গোলের বড় জয় পাওয়ায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফাইনালের টিকিট প্রায় নিশ্চিতই ছিল। ওল্ড ট্রাফোর্ডে অনুষ্ঠিত ফিরতি লেগেও তারা ৪-১ গোলের সহজ জয় তুলে নেয়। দুই লেগ মিলিয়ে ৭-১ ব্যবধানে স্প্যানিশ ক্লাবটিকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালের মঞ্চে জায়গা করে নেয় রেড ডেভিলসরা।

ম্যাচের ৩১ মিনিটে হ্যারি মাগুইরের একটি ভুল পাসে মিকেল জাউরেগিজার দূর থেকে দুর্দান্ত এক গোল করে বিলবাওকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। তবে ইউনাইটেড শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়। ৭২ মিনিটে লেনি ইয়োরোর পাস থেকে ম্যাসন মাউন্ট গোল করে সমতা ফেরান। এর সাত মিনিট পর ক্যাসেমিরো একটি ফ্রি-কিক থেকে গোল করে ইউনাইটেডকে লিড এনে দেন। ৮৫ মিনিটে রাসমুস হয়লুন্দ দলের তৃতীয় গোলটি করেন। অতিরিক্ত সময়ে মাউন্ট আরও একটি গোল করে ইউনাইটেডের বড় জয় নিশ্চিত করেন।

অন্যদিকে, টটেনহাম হটস্পার তাদের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে নরওয়েজিয়ান ক্লাব বোদো/গ্লিমটকে তাদের ঘরের মাঠে ২-০ গোলে পরাজিত করেছে। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ৩-১ গোলে জেতার সুবাদে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে স্পার্সরা। ডোমিনিক সোলাঙ্কে এবং পেদ্রো পোরো টটেনহামের হয়ে গোল দুটি করেন। ৬৩ মিনিটে সোলাঙ্কে গোল করে ডেডলক ভাঙেন, এবং ছয় মিনিট পর পোরো ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।

এই ফাইনালটি কেবল ইউরোপা লিগের শিরোপার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং উভয় দলের জন্যই আগামী চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার সুযোগ এনে দিতে পারে। প্রিমিয়ার লিগে রেড ডেভিলস ১৫তম এবং স্পার্স ১৬তম স্থানে থাকায় শীর্ষ পাঁচে থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা তাদের জন্য কঠিন। তাই ইউরোপা লিগের ফাইনাল জয় তাদের জন্য চ্যাম্পিয়নস লিগের দরজা খুলে দিতে পারে।
টটেনহামের কোচ রুবেন আমোরি জানিয়েছেন যে তারা ফাইনাল না জেতা পর্যন্ত কোনো উদযাপন করবেন না। তিনি পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৮-১৯ মৌসুমে ইউরোপা লিগে অল-প্রিমিয়ার লিগ ফাইনাল দেখা গিয়েছিল, যেখানে চেলসি ৪-১ গোলে আর্সেনালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবার দেখার পালা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড নাকি টটেনহাম শেষ হাসি হাসে।