ঢাকা ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলের প্রস্তাব ডিএমপি আবারো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যান চলাচল বন্ধ, যমুনা সেতুতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার হামলা নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাস যেন ক্রস না করে : শামসুজ্জামান দুদু ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট, শুনানি ১৭ আগস্ট ত্রিদেশীয় জয় শেষে ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল

রমনা বটমূলে বর্ষবরণে বোমা হামলার হাইকোর্টের রায় ঘোষণা আজ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:২৬:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
  • / 34

ছবি সংগৃহীত

 

২০০১ সালের পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে সংঘটিত ভয়াবহ বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের চূড়ান্ত রায় আজ বৃহস্পতিবার (৮ মে) ঘোষিত হচ্ছে।

বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ এই আলোচিত মামলার রায় ঘোষণা করবেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার রায় ঘোষণা করে। সেখানে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান, তার ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনসহ ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং আরও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন। আজ সেই আপিলের রায় ঘোষিত হতে যাচ্ছে।

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল, বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ছায়ানট আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে রমনা বটমূলে ভোরে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এই নৃশংস হামলায় ১০ জন নিহত হন এবং অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। বাঙালির অন্যতম বৃহৎ সাংস্কৃতিক আয়োজনকে লক্ষ্য করে এ হামলায় গোটা দেশ স্তব্ধ হয়ে পড়ে।

পরে রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত শেষে ২০০৮ সালে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ১৪ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ার পর ২০১৪ সালে বিচারিক আদালত রায় ঘোষণা করে।

হাইকোর্টের আজকের রায় দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সন্ত্রাসবিরোধী মামলার একটি নতুন অধ্যায় রচনা করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, দীর্ঘ ২৩ বছর পর হলেও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে, আর এই রায় হবে ভবিষ্যতে এমন হামলার বিরুদ্ধে শক্ত বার্তা।

এদিকে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা বলছেন, ছায়ানটের মতো সাংস্কৃতিক সংগঠনের ওপর এমন হামলা শুধু নিরীহ মানুষের জীবনই কেড়ে নেয়নি, তা ছিল দেশের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের ওপর এক নির্মম আঘাত।

আজকের রায়ের মাধ্যমে এই নির্মম হামলার দায়ী ব্যক্তিরা উপযুক্ত শাস্তি পাবে এটাই প্রত্যাশা দেশের সচেতন জনগণের।

নিউজটি শেয়ার করুন

রমনা বটমূলে বর্ষবরণে বোমা হামলার হাইকোর্টের রায় ঘোষণা আজ

আপডেট সময় ১২:২৬:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

 

২০০১ সালের পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে সংঘটিত ভয়াবহ বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের চূড়ান্ত রায় আজ বৃহস্পতিবার (৮ মে) ঘোষিত হচ্ছে।

বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ এই আলোচিত মামলার রায় ঘোষণা করবেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার রায় ঘোষণা করে। সেখানে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নান, তার ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনসহ ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং আরও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন। আজ সেই আপিলের রায় ঘোষিত হতে যাচ্ছে।

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল, বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ছায়ানট আয়োজিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে রমনা বটমূলে ভোরে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এই নৃশংস হামলায় ১০ জন নিহত হন এবং অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। বাঙালির অন্যতম বৃহৎ সাংস্কৃতিক আয়োজনকে লক্ষ্য করে এ হামলায় গোটা দেশ স্তব্ধ হয়ে পড়ে।

পরে রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত শেষে ২০০৮ সালে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ১৪ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ার পর ২০১৪ সালে বিচারিক আদালত রায় ঘোষণা করে।

হাইকোর্টের আজকের রায় দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সন্ত্রাসবিরোধী মামলার একটি নতুন অধ্যায় রচনা করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, দীর্ঘ ২৩ বছর পর হলেও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে, আর এই রায় হবে ভবিষ্যতে এমন হামলার বিরুদ্ধে শক্ত বার্তা।

এদিকে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা বলছেন, ছায়ানটের মতো সাংস্কৃতিক সংগঠনের ওপর এমন হামলা শুধু নিরীহ মানুষের জীবনই কেড়ে নেয়নি, তা ছিল দেশের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের ওপর এক নির্মম আঘাত।

আজকের রায়ের মাধ্যমে এই নির্মম হামলার দায়ী ব্যক্তিরা উপযুক্ত শাস্তি পাবে এটাই প্রত্যাশা দেশের সচেতন জনগণের।