ঢাকা ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ভূমি সেবায় হয়রানির অবসান ঘটাতে মন্ত্রণালয় অঙ্গীকারাবদ্ধ: সিনিয়র সচিব কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধে ১ ভারতীয় সেনা নিহত: নতুন করে বাড়ছে উত্তেজনা তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে ‘বাধা সৃষ্টি করছে’ সরকারের একটি অংশ: রিজভী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত পরিবেশ উপেক্ষিত থাকলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়: রিজওয়ানা হাসান রামগড়ে সীমান্তে ৫ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ শক্তিশালী মেঘমালায় উত্তাল বঙ্গোপসাগর, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জাপানে ৫০ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ট্যাক্সিচালক গ্রেপ্তার, ৩০০০ ছবি-ভিডিও উদ্ধার সরকারি চাকরি আইন সংশোধনে বড় পদক্ষেপ, অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমালো বিটিআরসি

ভারতের হামলায় উত্তপ্ত পাকিস্তান, জরুরি নিরাপত্তা বৈঠকে বসছে ইসলামাবাদ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:০১:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
  • / 5

ছবি: সংগৃহীত

 

ভারতের সামরিক হামলার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে পাকিস্তানে। এই ঘটনার জেরে জরুরি বৈঠকে বসছে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ আজ (বুধবার) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় এ বৈঠকের আয়োজন করেছেন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বুধবার মধ্যরাতে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তান এবং পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের অন্তত নয়টি স্থানে বিমান হামলা চালায়। ভারত সরকারের দাবি, কাশ্মীরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন সৈন্য নিহত হওয়ার প্রতিশোধ হিসেবেই এই হামলা চালানো হয়েছে।

পাকিস্তান ভারতের এই সামরিক অভিযানকে ‘কাপুরুষোচিত হামলা’ বলে অভিহিত করেছে। এক বিবৃতিতে ইসলামাবাদ জানিয়েছে, “আমরা আমাদের ইচ্ছেমতো স্থান ও সময়ে এই হামলার জবাব দেব।”

ভারতের এই হামলায় পাকিস্তানের অন্তত ৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩৫ জন। পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করেছে, পাল্টা প্রতিরোধে তারা ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে।

অপরদিকে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং যুদ্ধ পরিস্থিতি এড়াতে উভয় দেশকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘসহ একাধিক দেশ।

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতি দুই দেশের মধ্যকার পুরনো শত্রুতির নতুন রূপ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে এ ধরনের সংঘাত আরও বড় পরিসরে গড়ালে তা সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এর আগেও সীমান্তে বারবার সংঘর্ষ এবং পাল্টা অভিযানের ঘটনা ঘটেছে, তবে এবারের হামলার ব্যাপ্তি এবং তীব্রতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

এখন নজর রয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তের দিকে যেখানে ভারতের এ হামলার জবাব ও ভবিষ্যৎ কৌশল নির্ধারণ হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারতের হামলায় উত্তপ্ত পাকিস্তান, জরুরি নিরাপত্তা বৈঠকে বসছে ইসলামাবাদ

আপডেট সময় ১২:০১:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

 

ভারতের সামরিক হামলার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে পাকিস্তানে। এই ঘটনার জেরে জরুরি বৈঠকে বসছে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ আজ (বুধবার) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় এ বৈঠকের আয়োজন করেছেন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বুধবার মধ্যরাতে ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তান এবং পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের অন্তত নয়টি স্থানে বিমান হামলা চালায়। ভারত সরকারের দাবি, কাশ্মীরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন সৈন্য নিহত হওয়ার প্রতিশোধ হিসেবেই এই হামলা চালানো হয়েছে।

পাকিস্তান ভারতের এই সামরিক অভিযানকে ‘কাপুরুষোচিত হামলা’ বলে অভিহিত করেছে। এক বিবৃতিতে ইসলামাবাদ জানিয়েছে, “আমরা আমাদের ইচ্ছেমতো স্থান ও সময়ে এই হামলার জবাব দেব।”

ভারতের এই হামলায় পাকিস্তানের অন্তত ৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩৫ জন। পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করেছে, পাল্টা প্রতিরোধে তারা ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে।

অপরদিকে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং যুদ্ধ পরিস্থিতি এড়াতে উভয় দেশকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘসহ একাধিক দেশ।

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতি দুই দেশের মধ্যকার পুরনো শত্রুতির নতুন রূপ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে এ ধরনের সংঘাত আরও বড় পরিসরে গড়ালে তা সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এর আগেও সীমান্তে বারবার সংঘর্ষ এবং পাল্টা অভিযানের ঘটনা ঘটেছে, তবে এবারের হামলার ব্যাপ্তি এবং তীব্রতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

এখন নজর রয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তের দিকে যেখানে ভারতের এ হামলার জবাব ও ভবিষ্যৎ কৌশল নির্ধারণ হতে পারে।