ঢাকা ১১:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা-বিরোধী দুটি গোষ্ঠীর তীব্র সংঘর্ষ, পালিয়ে আসছে হাজারো মানুষ চলতি মাসের ৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক সাভারে বিশেষ অভিযান শীর্ষ সন্ত্রাসী টুটুল গ্রেপ্তার, বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার কিশোরগঞ্জে সবাইকে অচেতন করে ‘দুর্ধর্ষ চুরি, ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট রাজনৈতিক পরিবর্তন ছাড়া কোনো নীতিই ব্যাংক খাতকে শক্তিশালী করতে পারবে না: গভর্নর গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, নতুন ভর্তি ৪৯২ ঝিনাইদহে এসআই মিরাজুল হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন নির্বাচনের বিলম্বে দেশের অগ্রগতি ব্যাহত হবে: মির্জা ফখরুল দায়িত্বশীলভাবে কাজ করলে কর্মকর্তাদের জন্য ভয়ের কিছু নেই: এনবিআর চেয়ারম্যান বধিরতা জয় করল বিজ্ঞান: শ্রবণশক্তি ফেরাতে জিন থেরাপির নতুন কৌশল

ইটভাটার বিষে ঝরছে সোনালি ধান, বিপাকে পাবনার কৃষক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:২৭:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
  • / 62

ছবি সংগৃহীত

 

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় একটি ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে নষ্ট হয়ে গেছে প্রায় ৭০ বিঘা জমির ফসল। অন্তত অর্ধ শতাধিক কৃষক এই ক্ষতির মুখে পড়েছেন। শুধু ধান নয়, পচে গেছে গাছের আমসহ অন্যান্য ফলও।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, উপজেলার বেড়হাউলিয়া এলাকায় অবস্থিত এইচআরএম ব্রিকস নামের একটি ইটভাটা থেকে নির্গত বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশ্রিত গ্যাসের কারণেই মাঠের ধান ও গাছের ফল পুড়ে গেছে। দুই বছর ধরেই ভাটার কারণে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ তোলেন।

একজন কৃষক বলেন, “একটি জমি আবাদ করতে আমাদের অনেক খরচ হয়। সার, বীজ, শ্রম—সব মিলিয়ে খরচ পুষিয়ে ওঠা দায় হয়ে পড়ে। যেখানে প্রতি বিঘায় ২০ মণ ধান হওয়ার কথা, সেখানে এখন মাত্র ৭-৮ মণ ধান পাচ্ছি। আমরা চাই ভাটাটি বন্ধ করা হোক, যাতে ভবিষ্যতে আর কারও এমন ক্ষতি না হয়।”

অপর একজন বলেন, “ভাটা থেকে যে গ্যাস বের হয় তা রাতে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। সকালে মাঠে গেলে দেখা যায়, ধানের পাতা ঝলসে গেছে, আমে পচন ধরেছে। এটা তো চোখে দেখা যায়।”

এ বিষয়ে এইচআরএম ব্রিকসের মালিক হাসান আলী বলেন, “ভাটার কারণে এই ক্ষতি হচ্ছে নাকি অন্য কোনো কারণে, সেটা যাচাই করে দেখতে হবে। যদি প্রমাণিত হয় আমার ভাটার কারণেই এমনটা ঘটেছে, তাহলে আমি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।”

ভাঙ্গুড়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শারমিন জাহান জানান, “কৃষক এবং ইটভাটা মালিক উভয় পক্ষকেই ডাকা হয়েছে। তাদের বক্তব্য শোনা হবে এবং আলোচনার মাধ্যমে যে সিদ্ধান্ত হবে, সেটা আমরা গ্রহণ করবো।”

স্থানীয় কৃষকদের দাবি, প্রশাসন যেন দ্রুত তদন্ত করে যথাযথ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করে এবং প্রয়োজন হলে ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। তাদের মতে, কৃষি নির্ভর এই অঞ্চলে পরিবেশবান্ধব নীতিমালা না মানলে আরও বড় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

সচেতন মহল মনে করছেন, এ ধরনের ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা না নিলে কৃষকদের আগ্রহ কমবে এবং খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ইটভাটার বিষে ঝরছে সোনালি ধান, বিপাকে পাবনার কৃষক

আপডেট সময় ০৭:২৭:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

 

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় একটি ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে নষ্ট হয়ে গেছে প্রায় ৭০ বিঘা জমির ফসল। অন্তত অর্ধ শতাধিক কৃষক এই ক্ষতির মুখে পড়েছেন। শুধু ধান নয়, পচে গেছে গাছের আমসহ অন্যান্য ফলও।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, উপজেলার বেড়হাউলিয়া এলাকায় অবস্থিত এইচআরএম ব্রিকস নামের একটি ইটভাটা থেকে নির্গত বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশ্রিত গ্যাসের কারণেই মাঠের ধান ও গাছের ফল পুড়ে গেছে। দুই বছর ধরেই ভাটার কারণে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ তোলেন।

একজন কৃষক বলেন, “একটি জমি আবাদ করতে আমাদের অনেক খরচ হয়। সার, বীজ, শ্রম—সব মিলিয়ে খরচ পুষিয়ে ওঠা দায় হয়ে পড়ে। যেখানে প্রতি বিঘায় ২০ মণ ধান হওয়ার কথা, সেখানে এখন মাত্র ৭-৮ মণ ধান পাচ্ছি। আমরা চাই ভাটাটি বন্ধ করা হোক, যাতে ভবিষ্যতে আর কারও এমন ক্ষতি না হয়।”

অপর একজন বলেন, “ভাটা থেকে যে গ্যাস বের হয় তা রাতে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। সকালে মাঠে গেলে দেখা যায়, ধানের পাতা ঝলসে গেছে, আমে পচন ধরেছে। এটা তো চোখে দেখা যায়।”

এ বিষয়ে এইচআরএম ব্রিকসের মালিক হাসান আলী বলেন, “ভাটার কারণে এই ক্ষতি হচ্ছে নাকি অন্য কোনো কারণে, সেটা যাচাই করে দেখতে হবে। যদি প্রমাণিত হয় আমার ভাটার কারণেই এমনটা ঘটেছে, তাহলে আমি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।”

ভাঙ্গুড়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শারমিন জাহান জানান, “কৃষক এবং ইটভাটা মালিক উভয় পক্ষকেই ডাকা হয়েছে। তাদের বক্তব্য শোনা হবে এবং আলোচনার মাধ্যমে যে সিদ্ধান্ত হবে, সেটা আমরা গ্রহণ করবো।”

স্থানীয় কৃষকদের দাবি, প্রশাসন যেন দ্রুত তদন্ত করে যথাযথ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করে এবং প্রয়োজন হলে ভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। তাদের মতে, কৃষি নির্ভর এই অঞ্চলে পরিবেশবান্ধব নীতিমালা না মানলে আরও বড় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

সচেতন মহল মনে করছেন, এ ধরনের ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা না নিলে কৃষকদের আগ্রহ কমবে এবং খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।