ঢাকা ১২:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
খুলনায় ট্রাকের ধাক্কায় ইজিবাইকের ২ যাত্রী নিহত, আহত ৪ অক্টোবরের মধ্যে ভাঙাচোড়া রাস্তা সংস্কার ও পুরোনো বাস সরানো হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা মেক্সিকোর একটি শ্মশান থেকে স্তূপীকৃত ৩৮১ মরদেহ উদ্ধার ইতিহাসে প্রথম চীনে অনুষ্ঠিত হলো এআই-চালিত হিউম্যানয়েড রোবট ফুটবল ম্যাচ পাকিস্তানে টানা বৃষ্টিতে বন্যা ও ঘরধস, প্রাণ হারাল আরও ৮ জন আবু সাঈদ হত্যা: মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল সুদানের স্বর্ণখনি ধসে ১১ শ্রমিক নিহত, আহত ৭ নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে এখনো পুরোপুরি আশ্বস্ত নয় বিএনপি: মোশাররফ হোসেন ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ আজ বিকেলে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার

‘আপনারা অনেকে আজ ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন’: হুঁশিয়ারি শিবির সভাপতির

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:৪৬:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
  • / 14

ছবি সংগৃহীত

 

রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিত এক মানবপ্রাচীর কর্মসূচিতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, “আপনারা অনেকে আজ ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন। আমরা কারও নাম প্রকাশ করতে চাই না, তবে অনেকের নাম ও তথ্য আমাদের হাতে রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “যারা দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টায় লিপ্ত, তাদের জন্য হাসিনার পরিণতির চেয়েও ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে। আমরা সতর্ক দৃষ্টিতে সব কিছু পর্যবেক্ষণ করছি।”

সোমবার সকালে ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত মানবপ্রাচীর কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি। ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে ‘শাপলা গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে এর বিচার দাবিতে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ব্যানারে লেখা ছিল “শাপলা গণহত্যার বিচার চাই।”

জাহিদুল ইসলাম বলেন, “২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার হত্যাকাণ্ড, ২০০৯ সালের পিলখানা ট্র্যাজেডি, ২০১৩ সালে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় পরবর্তী গণহত্যা, ৫ মে’র শাপলা গণহত্যা এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিচার এখনো নিশ্চিত হয়নি। এসব ঘটনার শহীদদের সংখ্যা নিরূপণ এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানাই।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাস লিখতে হলে মুসলিমদের ভূমিকা ও ত্যাগকে অবজ্ঞা করা যাবে না। তাঁরা জাতিসত্তার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।”

মানবপ্রাচীরে বক্তব্য রাখেন নাজমুল হাসান, যিনি জানান, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে তাঁর ছোট ভাই খালেদ সাইফুল্লাহ শহীদ হন। “সে কোনো সন্ত্রাসী ছিল না,” বলেন নাজমুল, “শুধু ইসলামের অবমাননার প্রতিবাদে আলেমদের সমাবেশে অংশ নিয়েছিল। অথচ তাকেও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।” তিনি শহীদদের স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শিবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হেলাল উদ্দিন। এতে আরও বক্তব্য দেন শিবিরের কেন্দ্রীয় শিল্প ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু মূসা, শিক্ষা সম্পাদক মাহিনুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আসাদুল ইসলাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান।

এই মানবপ্রাচীর কর্মসূচি শাপলা গণহত্যার বিচার ও শহীদদের স্বীকৃতির দাবিকে নতুন করে সামনে এনেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

‘আপনারা অনেকে আজ ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন’: হুঁশিয়ারি শিবির সভাপতির

আপডেট সময় ০৮:৪৬:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

 

রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিত এক মানবপ্রাচীর কর্মসূচিতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, “আপনারা অনেকে আজ ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন। আমরা কারও নাম প্রকাশ করতে চাই না, তবে অনেকের নাম ও তথ্য আমাদের হাতে রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “যারা দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টায় লিপ্ত, তাদের জন্য হাসিনার পরিণতির চেয়েও ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে। আমরা সতর্ক দৃষ্টিতে সব কিছু পর্যবেক্ষণ করছি।”

সোমবার সকালে ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত মানবপ্রাচীর কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি। ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে ‘শাপলা গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে এর বিচার দাবিতে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ব্যানারে লেখা ছিল “শাপলা গণহত্যার বিচার চাই।”

জাহিদুল ইসলাম বলেন, “২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার হত্যাকাণ্ড, ২০০৯ সালের পিলখানা ট্র্যাজেডি, ২০১৩ সালে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় পরবর্তী গণহত্যা, ৫ মে’র শাপলা গণহত্যা এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিচার এখনো নিশ্চিত হয়নি। এসব ঘটনার শহীদদের সংখ্যা নিরূপণ এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানাই।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাস লিখতে হলে মুসলিমদের ভূমিকা ও ত্যাগকে অবজ্ঞা করা যাবে না। তাঁরা জাতিসত্তার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।”

মানবপ্রাচীরে বক্তব্য রাখেন নাজমুল হাসান, যিনি জানান, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে তাঁর ছোট ভাই খালেদ সাইফুল্লাহ শহীদ হন। “সে কোনো সন্ত্রাসী ছিল না,” বলেন নাজমুল, “শুধু ইসলামের অবমাননার প্রতিবাদে আলেমদের সমাবেশে অংশ নিয়েছিল। অথচ তাকেও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।” তিনি শহীদদের স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শিবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হেলাল উদ্দিন। এতে আরও বক্তব্য দেন শিবিরের কেন্দ্রীয় শিল্প ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু মূসা, শিক্ষা সম্পাদক মাহিনুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আসাদুল ইসলাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান।

এই মানবপ্রাচীর কর্মসূচি শাপলা গণহত্যার বিচার ও শহীদদের স্বীকৃতির দাবিকে নতুন করে সামনে এনেছে।