০৫:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
কেনিয়ায় ছোট যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, ১২ জনের সবাই নিহত হওয়ার আশঙ্কা ইলন মাস্কের নতুন উদ্যোগ — এআই-চালিত “Grokipedia” চালু বিপুল সংখ্যক জামিন দেওয়ায় ৩ বিচারপতির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি নির্বাচনে প্রতি কেন্দ্রে আনসার থাকবে ১৩ জন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমলাদের দায়িত্ব কমিয়ে আনা হবে: আমীর খসরু শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই, অন্য প্রতীক দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি: ইসি সচিব হানিফসহ ৪ জনের অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানি আজ পারমাণবিক চালিত আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে পরীক্ষার ঘোষণা পুতিনের নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার।

হেফাজতের ১২ দফা দাবি, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী দল ঘোষণার আহ্বান

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:২৪:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • / 49

ছবি সংগৃহীত

 

রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবার অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণা ও বিচারসহ ১২ দফা দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

এই মহাসমাবেশে সংগঠনটির নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক এসব দাবি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “দেশে ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড ও আলেম-ওলামাদের ওপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে এই দাবিগুলো সময়োপযোগী ও জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।”

বিজ্ঞাপন

১২ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—বর্তমান নারী অধিকার কমিশন বাতিল করে নতুন ইসলামভিত্তিক কমিশন গঠন, যেখানে আলেম-ওলামাদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি রয়েছে। এছাড়া, সংবিধানে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও বহুত্ববাদ বাতিল, শাপলা চত্বরের ঘটনায় হতাহতদের বিচার, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করে বিচার এবং বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটিকে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানানো হয়।

আরও রয়েছে—চিন্ময় দাসের জামিন বাতিল, আওয়ামী লীগের আমলে আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার, প্রাথমিক স্তর থেকে ইসলামি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা, রাখাইন রাজ্যে করিডোর প্রকল্প থেকে বিরত থাকা এবং কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা দেওয়ার দাবি।

মহাসমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার ইসলামবিরোধী শক্তিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে এবং ধারাবাহিকভাবে আলেম সমাজের কণ্ঠরোধ করছে। তাই এই ১২ দফা বাস্তবায়ন না হলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও উচ্চারিত হয়।

সমাবেশে নারী অধিকার সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব বাতিল, শাপলা চত্বর ট্র্যাজেডিসহ আওয়ামী আমলে সংঘটিত গণহত্যার বিচারসহ চার দফা মূল ইস্যু সামনে রেখে মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়। ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হেফাজতের হাজারো নেতাকর্মী ঢাকায় জড়ো হতে থাকেন। সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া সমাবেশে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন ইসলামি দলের প্রতিনিধিরাও বক্তব্য দেন।

দুপুর ১টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই মহাসমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

এই মহাসমাবেশ ঘিরে রাজধানীতে ব্যাপক আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তবে শান্তিপূর্ণভাবেই পুরো আয়োজন শেষ হয়।

এই ১২ দফা দাবি রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে বলে মত বিশ্লেষকদের। এখন দেখার বিষয়, সরকার এসব দাবির কীভাবে জবাব দেয়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

হেফাজতের ১২ দফা দাবি, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী দল ঘোষণার আহ্বান

আপডেট সময় ০২:২৪:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

 

রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবার অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণা ও বিচারসহ ১২ দফা দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

এই মহাসমাবেশে সংগঠনটির নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক এসব দাবি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “দেশে ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড ও আলেম-ওলামাদের ওপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে এই দাবিগুলো সময়োপযোগী ও জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।”

বিজ্ঞাপন

১২ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—বর্তমান নারী অধিকার কমিশন বাতিল করে নতুন ইসলামভিত্তিক কমিশন গঠন, যেখানে আলেম-ওলামাদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি রয়েছে। এছাড়া, সংবিধানে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও বহুত্ববাদ বাতিল, শাপলা চত্বরের ঘটনায় হতাহতদের বিচার, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করে বিচার এবং বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটিকে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানানো হয়।

আরও রয়েছে—চিন্ময় দাসের জামিন বাতিল, আওয়ামী লীগের আমলে আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার, প্রাথমিক স্তর থেকে ইসলামি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা, রাখাইন রাজ্যে করিডোর প্রকল্প থেকে বিরত থাকা এবং কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা দেওয়ার দাবি।

মহাসমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার ইসলামবিরোধী শক্তিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে এবং ধারাবাহিকভাবে আলেম সমাজের কণ্ঠরোধ করছে। তাই এই ১২ দফা বাস্তবায়ন না হলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও উচ্চারিত হয়।

সমাবেশে নারী অধিকার সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব বাতিল, শাপলা চত্বর ট্র্যাজেডিসহ আওয়ামী আমলে সংঘটিত গণহত্যার বিচারসহ চার দফা মূল ইস্যু সামনে রেখে মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়। ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হেফাজতের হাজারো নেতাকর্মী ঢাকায় জড়ো হতে থাকেন। সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া সমাবেশে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন ইসলামি দলের প্রতিনিধিরাও বক্তব্য দেন।

দুপুর ১টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই মহাসমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

এই মহাসমাবেশ ঘিরে রাজধানীতে ব্যাপক আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তবে শান্তিপূর্ণভাবেই পুরো আয়োজন শেষ হয়।

এই ১২ দফা দাবি রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে বলে মত বিশ্লেষকদের। এখন দেখার বিষয়, সরকার এসব দাবির কীভাবে জবাব দেয়।