সৌদিকে ৩৫০ কোটি ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের

- আপডেট সময় ১১:৩৪:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
- / 19
যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবের কাছে ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। শুক্রবার (২ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন মধ্যপ্রাচ্য সফরের ঠিক আগে এ চুক্তির অনুমোদন দেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে জানানো হয়েছে—সৌদি আরবের কাছে যেসব অস্ত্র বিক্রি হবে, তার মধ্যে রয়েছে এক হাজার মধ্যপাল্লার ‘এআইএম–১২০’ ক্ষেপণাস্ত্র। এগুলো আকাশ থেকে আকাশে ছোড়া যায় এবং আকাশে থাকা শত্রু লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সক্ষম।
এই অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে কংগ্রেসকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করা হয়েছে বলে জানায় পররাষ্ট্র দফতর। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, বড় অঙ্কের আন্তর্জাতিক অস্ত্র বিক্রির চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন হয়।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগামী ১৩ থেকে ১৬ মে সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সৌদি আরবের সঙ্গে বড় ধরনের বাণিজ্যিক চুক্তির প্রতি আগ্রহ দেখিয়ে আসছেন তিনি।
রয়টার্স আরও জানায়, ট্রাম্প তার সফরে সৌদি নেতৃত্বের কাছে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তার আগেই ৩৫০ কোটি ডলারের ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির খবরটি সামনে এলো।
সৌদি আরব দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় অস্ত্র ক্রেতা। ২০১৭ সালে ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে রিয়াদ সফরের সময় ১১০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব দেন। তবে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মাত্র ১৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়।
২০১৮ সালের অক্টোবরে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পর এসব অস্ত্র চুক্তি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালে বাইডেন প্রশাসনের সময় কংগ্রেস সৌদি আরবে মারণাস্ত্র রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর লক্ষ্য ছিল সৌদি আরবকে ইয়েমেনে চলমান যুদ্ধে সহিংসতা কমাতে চাপ প্রয়োগ করা।
তবে ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর বিশ্বব্যাপী জ্বালানির সংকট দেখা দিলে সৌদি আরবের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র কিছুটা নমনীয় হয়ে পড়ে। এতে অস্ত্র বিক্রির আগের নীতিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়।