ঢাকা ১১:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অসময়ে যমুনায় ভাঙন, দিশেহারা পাবনার নদীপাড়ের মানুষ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৪০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 73

ছবি: সংগৃহীত

 

পাবনার বেড়া উপজেলায় যমুনা নদীতে অসময়ে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত দুই মাস ধরে অব্যাহত এই ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নদীপাড়ের মানুষ। হুমকির মুখে পড়েছে কবরস্থান, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ বহু ঘরবাড়ি ও কৃষিজমি।

নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের নেওলাইপাড়া, নতুন বাটিয়াখড়া, পায়না, রাকসা, গণপতদিয়া, মধুপুর ও মরিচাপাড়া—এই সাতটি গ্রামের প্রায় দুই হাজার পরিবার রয়েছে ভাঙনের ঝুঁকিতে। গত দুই বছরে বসতভিটা হারিয়েছেন প্রায় ৫০০ পরিবার, নদীতে বিলীন হয়েছে প্রায় এক হাজার বিঘা জমি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, অসাধু বালুখেকোরা ড্রেজার দিয়ে যমুনার তলদেশ থেকে অবৈধভাবে বালু তুলছে, যার ফলে সময়ের আগেই শুরু হয়েছে নদীভাঙন। তারা দ্রুত বালু উত্তোলন বন্ধ এবং ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

নেওলাইপাড়া গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন একটু একটু করে নদী এগিয়ে আসছে। এখন মসজিদ, কবরস্থান, এমনকি বাড়ির চারপাশও ভাঙনের হুমকিতে।’

ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)-এর কর্মকর্তারা। পাউবোর বেড়া উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. হায়দার আলী বলেন, ‘নদীভাঙন প্রতিবছরের সমস্যা। জিও ব্যাগ ফেলে সাময়িক প্রতিরোধ সম্ভব হলেও স্থায়ী সমাধান নয়। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে ভাঙন বন্ধ করা কঠিন।’ পাউবো জানিয়েছে, ভাঙন রোধে একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত কাজ শুরু হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

অসময়ে যমুনায় ভাঙন, দিশেহারা পাবনার নদীপাড়ের মানুষ

আপডেট সময় ০৫:৪০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

 

পাবনার বেড়া উপজেলায় যমুনা নদীতে অসময়ে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত দুই মাস ধরে অব্যাহত এই ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নদীপাড়ের মানুষ। হুমকির মুখে পড়েছে কবরস্থান, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ বহু ঘরবাড়ি ও কৃষিজমি।

নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের নেওলাইপাড়া, নতুন বাটিয়াখড়া, পায়না, রাকসা, গণপতদিয়া, মধুপুর ও মরিচাপাড়া—এই সাতটি গ্রামের প্রায় দুই হাজার পরিবার রয়েছে ভাঙনের ঝুঁকিতে। গত দুই বছরে বসতভিটা হারিয়েছেন প্রায় ৫০০ পরিবার, নদীতে বিলীন হয়েছে প্রায় এক হাজার বিঘা জমি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, অসাধু বালুখেকোরা ড্রেজার দিয়ে যমুনার তলদেশ থেকে অবৈধভাবে বালু তুলছে, যার ফলে সময়ের আগেই শুরু হয়েছে নদীভাঙন। তারা দ্রুত বালু উত্তোলন বন্ধ এবং ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

নেওলাইপাড়া গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন একটু একটু করে নদী এগিয়ে আসছে। এখন মসজিদ, কবরস্থান, এমনকি বাড়ির চারপাশও ভাঙনের হুমকিতে।’

ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)-এর কর্মকর্তারা। পাউবোর বেড়া উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. হায়দার আলী বলেন, ‘নদীভাঙন প্রতিবছরের সমস্যা। জিও ব্যাগ ফেলে সাময়িক প্রতিরোধ সম্ভব হলেও স্থায়ী সমাধান নয়। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে ভাঙন বন্ধ করা কঠিন।’ পাউবো জানিয়েছে, ভাঙন রোধে একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত কাজ শুরু হবে।