ঢাকা ০৩:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলে গাফিলতি, দুদকের উপপরিচালক পলাশ সাময়িক বরখাস্ত দক্ষিণ ককেশাসে বিদেশি বাহিনী অগ্রহণযোগ্য: ইরান অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলে গাফিলতি, দুদকের উপপরিচালক পলাশ সাময়িক বরখাস্ত সন্ত্রাসবাদ ও আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, পেছানোর সুযোগ নেই : আইন উপদেষ্টা ১০ দিনের মধ্যেই ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার অগ্রগতি: জেলেনস্কি রাজবাড়ীতে হাসপাতালে স্বামীকে প্রকাশ্যে মারধর, ভিডিও ভাইরাল তৃপ্তি দিমরির খোলামেলা স্বীকারোক্তি: অভিনেত্রী হওয়ার জন্য মরতেও প্রস্তুত ছিলেন ব্রাজিল দলে ফিরছেন নেইমার, বিশ্রামে ভিনিসিয়ুস বিশ্ব আলোকচিত্র দিবস আজ

মার্কিন রণতরীতে হামলা, সাগরে হারিয়ে গেল ৬০ মিলিয়ন ডলারের যুদ্ধবিমান

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:১১:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / 33

ছবি সংগৃহীত

 

লোহিত সাগরে মোতায়েন মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যান থেকে একটি এফ/এ-১৮ই সুপার হর্নেট যুদ্ধবিমান ও একটি টো ট্র্যাক্টর সাগরে পড়ে নিখোঁজ হয়েছে। সোমবার এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা সিএনএনকে জানান, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ছোড়া গুলি এড়াতে রণতরীটি দ্রুত বাঁক নেয়ার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। ক্রুরা জাহাজের হ্যাঙ্গার বেতে থাকা বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে, ফলে যুদ্ধবিমান ও টো ট্র্যাক্টরটি সাগরে পড়ে যায়। নাবিকরা চেষ্টা করেও বিমানটি রক্ষায় ব্যর্থ হন।

একজন দ্বিতীয় মার্কিন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, যুদ্ধবিমানটি সাগরের গভীরে তলিয়ে গেছে। নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এফ/এ-১৮ যুদ্ধবিমানের দাম ৬০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। দুর্ঘটনার সময় সকলে নিরাপদে ছিলেন, যদিও একজন নাবিক সামান্য আহত হয়েছেন। পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, হুতি গোষ্ঠী লোহিত সাগর এবং আশপাশের এলাকায় মার্কিন নৌবাহিনীর ওপর হামলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন বাহিনী বিগত পাঁচ সপ্তাহ ধরে ইয়েমেনের হুতি লক্ষ্য করে নিয়মিত বিমান ও নৌ হামলা চালালেও এই অভিযানের ফলাফল নিয়ে সরকারিভাবে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

আলআরাবিয়া ইংলিশের তথ্য অনুযায়ী, এসব অভিযানে কমপক্ষে ৫০০ জন হুতি যোদ্ধা নিহত হয়েছে, যার মধ্যে উচ্চপদস্থ সদস্যরাও রয়েছেন। হুতিরা দাবি করেছে, তারা একাধিকবার মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম আক্রমণ করেছে, যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা এসব আক্রমণ অকার্যকর বলেই উল্লেখ করেছেন।

এছাড়া, গত মার্চ মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্র কমপক্ষে পাঁচটি এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন হারিয়েছে, যার প্রতিটির মূল্য প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলার। হুতি গোষ্ঠী দাবি করেছে, তারা এসব ড্রোন ভূপাতিত করেছে।

বর্তমানে ইউএসএস ট্রুম্যান ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন রয়েছে এবং নৌবাহিনী জানিয়েছে, তারা এখনও পূর্ণমাত্রায় মিশন পরিচালনায় সক্ষম রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মার্কিন রণতরীতে হামলা, সাগরে হারিয়ে গেল ৬০ মিলিয়ন ডলারের যুদ্ধবিমান

আপডেট সময় ১০:১১:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

 

লোহিত সাগরে মোতায়েন মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যান থেকে একটি এফ/এ-১৮ই সুপার হর্নেট যুদ্ধবিমান ও একটি টো ট্র্যাক্টর সাগরে পড়ে নিখোঁজ হয়েছে। সোমবার এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা সিএনএনকে জানান, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ছোড়া গুলি এড়াতে রণতরীটি দ্রুত বাঁক নেয়ার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। ক্রুরা জাহাজের হ্যাঙ্গার বেতে থাকা বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে, ফলে যুদ্ধবিমান ও টো ট্র্যাক্টরটি সাগরে পড়ে যায়। নাবিকরা চেষ্টা করেও বিমানটি রক্ষায় ব্যর্থ হন।

একজন দ্বিতীয় মার্কিন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, যুদ্ধবিমানটি সাগরের গভীরে তলিয়ে গেছে। নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এফ/এ-১৮ যুদ্ধবিমানের দাম ৬০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। দুর্ঘটনার সময় সকলে নিরাপদে ছিলেন, যদিও একজন নাবিক সামান্য আহত হয়েছেন। পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, হুতি গোষ্ঠী লোহিত সাগর এবং আশপাশের এলাকায় মার্কিন নৌবাহিনীর ওপর হামলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন বাহিনী বিগত পাঁচ সপ্তাহ ধরে ইয়েমেনের হুতি লক্ষ্য করে নিয়মিত বিমান ও নৌ হামলা চালালেও এই অভিযানের ফলাফল নিয়ে সরকারিভাবে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

আলআরাবিয়া ইংলিশের তথ্য অনুযায়ী, এসব অভিযানে কমপক্ষে ৫০০ জন হুতি যোদ্ধা নিহত হয়েছে, যার মধ্যে উচ্চপদস্থ সদস্যরাও রয়েছেন। হুতিরা দাবি করেছে, তারা একাধিকবার মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম আক্রমণ করেছে, যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা এসব আক্রমণ অকার্যকর বলেই উল্লেখ করেছেন।

এছাড়া, গত মার্চ মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্র কমপক্ষে পাঁচটি এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন হারিয়েছে, যার প্রতিটির মূল্য প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলার। হুতি গোষ্ঠী দাবি করেছে, তারা এসব ড্রোন ভূপাতিত করেছে।

বর্তমানে ইউএসএস ট্রুম্যান ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন রয়েছে এবং নৌবাহিনী জানিয়েছে, তারা এখনও পূর্ণমাত্রায় মিশন পরিচালনায় সক্ষম রয়েছে।