ঢাকা ০৫:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শুল্ক নীতিতে এশিয়ার দেশগুলোর চীনের প্রতি ঝোঁক বাড়ার শঙ্কা স্পেন-পর্তুগালে বিরল আবহাওয়ার ধাক্কায় ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয় যুক্তরাষ্ট্রের নৌ-সুরক্ষায় বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন জুলাই সনদ তৈরির পরই ভোট: প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে চালুর দাবি ফ্রিল্যান্সারদের প্রচণ্ড গরমে ঘামাচি ও চুলকানি থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন? নাইজেরিয়ায় গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ২৬ বাংলাদেশে বছরে ৮ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য, নদীতে যাচ্ছে হাজার টন ডিইপিজেডে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ৯০টি কারখানায় বিদ্যুৎ সংকট চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপকূলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

আত্মসমর্পণের পর মুচলেখায় জামিন পেলেন বাসস এমডি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৩১:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৭ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

 

মামুন-জিয়াউলের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বাড়ল তিন মাস
মানহানির অভিযোগে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক আবদুল হাই শিকদারের করা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে ৫০০ টাকা মুচলেকায় জামিন পেয়েছেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ।

সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিনের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ৫০০ টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে মানহানির অভিযোগ এনে গত ২৩ মার্চ একই আদালতে আবদুল হাই শিকদার বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় বাসস এমডিসহ ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাইরুল আলম এবং আসাদুজ্জামান আসাদকে আসামি করা হয়। মামলায় আসাদকে আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ওইদিন আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করে আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৭ মার্চ আসামি মাহবুব মোর্শেদ তার ফেসবুক আইডিতে একটি মনগড়া কবিতা পোস্ট করেন। সেটি কবি ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক আবদুল হাই শিকদারের বলে পোস্টে উল্লেখ করেন। পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের এক কবি কীভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে অবমাননা করেছেন, তা পড়ে দেখার অনুরোধ জানাই। মন থেকে এত ঘৃণা পোষণ করার পরও এমন কবিরা বিএনপির সুবিধাভোগী হয়ে থাকতে চান।’ আসামি খাইরুল আলম গত ১৬ জানুয়ারি তার ফেসবুক আইডি থেকে একই কবিতা পোস্ট করেন এবং লেখেন, ‘শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে নিয়ে লেখা কবিতাটি তিনি (আব্দুল হাই শিকদার) এরশাদকে উপহার দিয়েছিলেন। সাইফুল আলমকে সরিয়ে এখন তিনি যুগান্তর সম্পাদক। সাংবাদিকরাই কালে কালে শক্তিশালী হয়েছে, আবারও প্রমাণিত সত্য! #জয়তু-সাংবাদিকতা”

এরপর আসাদুজ্জামান আসাদ তার ফেসবুক থেকে পোস্ট করেন। তার পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমাদের জাতীয়তাবাদী প্রাণপ্রিয় কবি ও নেতা, বর্তমান যুগান্তর সম্পাদক জনাব আব্দুল হাই শিকদার ভাইয়ের লেখা কবিতাটি আমার মেসেঞ্জারে পেয়েছি। জাতীয়তাবাদী এক সহকর্মী এটি আমাকে দিয়েছেন। আমি কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এটি পোস্ট করলাম। কবিতাটি স্বৈরাচার এরশাদকে দেওয়া হয়েছিল।’ এরপর তিনি কবিতার একই অংশ উল্লেখ করেন, যা ফয়সাল আলমের পোস্টের সঙ্গে মিলে যায়।

অভিযোগে আরও বলা হয়, এসব তথ্যসমূহ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, অসত্য, কাল্পনিক, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এসব মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর কবিতা এবং পোস্টের মাধ্যমে বাদীর ১০ কোটি টাকা সম্মানহানি করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আত্মসমর্পণের পর মুচলেখায় জামিন পেলেন বাসস এমডি

আপডেট সময় ০৪:৩১:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

 

 

মামুন-জিয়াউলের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বাড়ল তিন মাস
মানহানির অভিযোগে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক আবদুল হাই শিকদারের করা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে ৫০০ টাকা মুচলেকায় জামিন পেয়েছেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ।

সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিনের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ৫০০ টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে মানহানির অভিযোগ এনে গত ২৩ মার্চ একই আদালতে আবদুল হাই শিকদার বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় বাসস এমডিসহ ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাইরুল আলম এবং আসাদুজ্জামান আসাদকে আসামি করা হয়। মামলায় আসাদকে আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ওইদিন আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করে আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৭ মার্চ আসামি মাহবুব মোর্শেদ তার ফেসবুক আইডিতে একটি মনগড়া কবিতা পোস্ট করেন। সেটি কবি ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক আবদুল হাই শিকদারের বলে পোস্টে উল্লেখ করেন। পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের এক কবি কীভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে অবমাননা করেছেন, তা পড়ে দেখার অনুরোধ জানাই। মন থেকে এত ঘৃণা পোষণ করার পরও এমন কবিরা বিএনপির সুবিধাভোগী হয়ে থাকতে চান।’ আসামি খাইরুল আলম গত ১৬ জানুয়ারি তার ফেসবুক আইডি থেকে একই কবিতা পোস্ট করেন এবং লেখেন, ‘শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে নিয়ে লেখা কবিতাটি তিনি (আব্দুল হাই শিকদার) এরশাদকে উপহার দিয়েছিলেন। সাইফুল আলমকে সরিয়ে এখন তিনি যুগান্তর সম্পাদক। সাংবাদিকরাই কালে কালে শক্তিশালী হয়েছে, আবারও প্রমাণিত সত্য! #জয়তু-সাংবাদিকতা”

এরপর আসাদুজ্জামান আসাদ তার ফেসবুক থেকে পোস্ট করেন। তার পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমাদের জাতীয়তাবাদী প্রাণপ্রিয় কবি ও নেতা, বর্তমান যুগান্তর সম্পাদক জনাব আব্দুল হাই শিকদার ভাইয়ের লেখা কবিতাটি আমার মেসেঞ্জারে পেয়েছি। জাতীয়তাবাদী এক সহকর্মী এটি আমাকে দিয়েছেন। আমি কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এটি পোস্ট করলাম। কবিতাটি স্বৈরাচার এরশাদকে দেওয়া হয়েছিল।’ এরপর তিনি কবিতার একই অংশ উল্লেখ করেন, যা ফয়সাল আলমের পোস্টের সঙ্গে মিলে যায়।

অভিযোগে আরও বলা হয়, এসব তথ্যসমূহ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, অসত্য, কাল্পনিক, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এসব মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর কবিতা এবং পোস্টের মাধ্যমে বাদীর ১০ কোটি টাকা সম্মানহানি করা হয়েছে।