০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমার মামলায় বিচারক বিব্রত, মামলার শুনানি হয়নি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:২১:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / 48

ছবি সংগৃহীত

 

অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হাজিরা দিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মি। আজ তারা ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালতে উপস্থিত হন। এ সময় তারা কালো মাস্ক পরে মুখ ঢেকে রেখেছিলেন। তবে বিচারক মামলাটি পরিচালনায় বিব্রতবোধ করায় কোনো শুনানি হয়নি। তিনি মামলাটি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পাঠিয়ে দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, “আজ আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিচারক নিজেকে মামলাটির বিচার থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে মামলাটি সিএমএম আদালতে পাঠিয়েছেন। এখন সিএমএম আদালত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।”

বিজ্ঞাপন

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার আগের স্বামী রাকিব হাসান ঢাকার আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর পুলিশ পরিদর্শক (নি.) শেখ মো. মিজানুর রহমান ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে নাসির হোসেন, তামিমা সুলতানা তাম্মি ও তার মা সুমি আক্তারকে অভিযুক্ত করা হয়।

২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলার বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। তবে মামলার অপর আসামি তামিমার মা সুমি আক্তারকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

পরে নাসির ও তামিমা ওই অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন করেন। অন্যদিকে বাদীপক্ষও সুমি আক্তারকে অব্যাহতির আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন আবেদন করেন। শুনানি শেষে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মেদ বাদীপক্ষের আবেদন খারিজ করে দেন এবং সুমি আক্তারকে অব্যাহতির আদেশ বহাল রাখেন।

এদিকে মামলার বিচার চলাকালে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। গত ১৬ এপ্রিল মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শেষ হয়।

এখন মামলার পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারণ করবে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

নিউজটি শেয়ার করুন

ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমার মামলায় বিচারক বিব্রত, মামলার শুনানি হয়নি

আপডেট সময় ০৪:২১:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

 

অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হাজিরা দিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মি। আজ তারা ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালতে উপস্থিত হন। এ সময় তারা কালো মাস্ক পরে মুখ ঢেকে রেখেছিলেন। তবে বিচারক মামলাটি পরিচালনায় বিব্রতবোধ করায় কোনো শুনানি হয়নি। তিনি মামলাটি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পাঠিয়ে দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, “আজ আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিচারক নিজেকে মামলাটির বিচার থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে মামলাটি সিএমএম আদালতে পাঠিয়েছেন। এখন সিএমএম আদালত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।”

বিজ্ঞাপন

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার আগের স্বামী রাকিব হাসান ঢাকার আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর পুলিশ পরিদর্শক (নি.) শেখ মো. মিজানুর রহমান ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে নাসির হোসেন, তামিমা সুলতানা তাম্মি ও তার মা সুমি আক্তারকে অভিযুক্ত করা হয়।

২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলার বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। তবে মামলার অপর আসামি তামিমার মা সুমি আক্তারকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

পরে নাসির ও তামিমা ওই অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন করেন। অন্যদিকে বাদীপক্ষও সুমি আক্তারকে অব্যাহতির আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন আবেদন করেন। শুনানি শেষে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মেদ বাদীপক্ষের আবেদন খারিজ করে দেন এবং সুমি আক্তারকে অব্যাহতির আদেশ বহাল রাখেন।

এদিকে মামলার বিচার চলাকালে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। গত ১৬ এপ্রিল মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শেষ হয়।

এখন মামলার পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারণ করবে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।