ঢাকা ০৬:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ভুয়া মামলার প্রবণতা রোধে সিআরপিসিতে নতুন ধারা যুক্ত হচ্ছে: আইন উপদেষ্টা বরিশালে পলিথিন প্যাঁচানো হাত পা বাঁধা নারী উদ্ধার ভারতের উত্তরাখণ্ড ভূমিধসে ৯ শ্রমিক নিখোঁজ, চলছে উদ্ধার অভিযান আজ অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসছেন এনবিআরের আন্দোলনকারীরা শেরপুরে হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক ৮ ঘন্টা পর উদ্ধার, নারী আটক জৈন্তাপুর ৭টি ভারতীয় মহিষ আটক করলো পুলিশ বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম এক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন, দেশের বাজারেও কমলো মূল্য ইসরাইলে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির দাবিতে ফের বিক্ষোভ, সাহসী সিদ্ধান্তের আহ্বান ক্ষমতায় এসে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ করতে হবে: বিএনপি নেতা রিজভী ভিজিট ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ প্রবাসীদের জন্য সুখবর দিল সৌদি পাসপোর্ট অধিদপ্তর

ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমার মামলায় বিচারক বিব্রত, মামলার শুনানি হয়নি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:২১:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / 21

ছবি সংগৃহীত

 

অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হাজিরা দিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মি। আজ তারা ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালতে উপস্থিত হন। এ সময় তারা কালো মাস্ক পরে মুখ ঢেকে রেখেছিলেন। তবে বিচারক মামলাটি পরিচালনায় বিব্রতবোধ করায় কোনো শুনানি হয়নি। তিনি মামলাটি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পাঠিয়ে দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, “আজ আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিচারক নিজেকে মামলাটির বিচার থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে মামলাটি সিএমএম আদালতে পাঠিয়েছেন। এখন সিএমএম আদালত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।”

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার আগের স্বামী রাকিব হাসান ঢাকার আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর পুলিশ পরিদর্শক (নি.) শেখ মো. মিজানুর রহমান ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে নাসির হোসেন, তামিমা সুলতানা তাম্মি ও তার মা সুমি আক্তারকে অভিযুক্ত করা হয়।

২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলার বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। তবে মামলার অপর আসামি তামিমার মা সুমি আক্তারকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

পরে নাসির ও তামিমা ওই অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন করেন। অন্যদিকে বাদীপক্ষও সুমি আক্তারকে অব্যাহতির আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন আবেদন করেন। শুনানি শেষে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মেদ বাদীপক্ষের আবেদন খারিজ করে দেন এবং সুমি আক্তারকে অব্যাহতির আদেশ বহাল রাখেন।

এদিকে মামলার বিচার চলাকালে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। গত ১৬ এপ্রিল মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শেষ হয়।

এখন মামলার পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারণ করবে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

নিউজটি শেয়ার করুন

ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমার মামলায় বিচারক বিব্রত, মামলার শুনানি হয়নি

আপডেট সময় ০৪:২১:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

 

অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হাজিরা দিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মি। আজ তারা ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালতে উপস্থিত হন। এ সময় তারা কালো মাস্ক পরে মুখ ঢেকে রেখেছিলেন। তবে বিচারক মামলাটি পরিচালনায় বিব্রতবোধ করায় কোনো শুনানি হয়নি। তিনি মামলাটি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পাঠিয়ে দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, “আজ আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিচারক নিজেকে মামলাটির বিচার থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে মামলাটি সিএমএম আদালতে পাঠিয়েছেন। এখন সিএমএম আদালত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।”

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার আগের স্বামী রাকিব হাসান ঢাকার আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর পুলিশ পরিদর্শক (নি.) শেখ মো. মিজানুর রহমান ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে নাসির হোসেন, তামিমা সুলতানা তাম্মি ও তার মা সুমি আক্তারকে অভিযুক্ত করা হয়।

২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলার বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। তবে মামলার অপর আসামি তামিমার মা সুমি আক্তারকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

পরে নাসির ও তামিমা ওই অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন করেন। অন্যদিকে বাদীপক্ষও সুমি আক্তারকে অব্যাহতির আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন আবেদন করেন। শুনানি শেষে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মেদ বাদীপক্ষের আবেদন খারিজ করে দেন এবং সুমি আক্তারকে অব্যাহতির আদেশ বহাল রাখেন।

এদিকে মামলার বিচার চলাকালে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। গত ১৬ এপ্রিল মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শেষ হয়।

এখন মামলার পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারণ করবে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।