বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ২০

- আপডেট সময় ১১:১১:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
- / 36
কুমিল্লার লাকসাম ও মনোহরগঞ্জে বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) লাকসাম উপজেলার আজগরা এবং মনোহরগঞ্জের বাইশগাঁও ও নাথেরপেটুয়া ইউনিয়নে পৃথক এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় নেতাকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকালে লাকসামের আজগরা হাজি আলতাফ আলী হাই স্কুল ও কলেজ মাঠে আজগরা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি গঠনের জন্য কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় কেন্দ্রীয় বিএনপির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম (চৈতী কালাম) এবং সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) আনোরুল আজিমের অনুসারীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৬ জন যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী আহত হন। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালেই ওয়ার্ড কমিটি ঘোষণা করা হয়।
লাকসাম উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শাহ আলম বলেন, আজগরা স্কুল ও কলেজ মাঠে বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি গঠন উপলক্ষে কাউন্সিল চলছিল। এ সময় বাইরে প্রার্থীর সমর্থন নিয়ে যুবদল ও ছাত্রদলের মধ্যে সামান্য হাতাহাতি হয়। দায়িত্বশীলদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং কাউন্সিল নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়।
অন্যদিকে, একইদিন সকালে মনোহরগঞ্জ উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি গঠন উপলক্ষে আয়োজিত কাউন্সিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে চারজন গুরুতর আহত হন এবং তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের পর বাইশগাঁওসহ আশপাশের এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী জানান, ওই কাউন্সিলে সভাপতি পদে বিএনপি নেতা সুলতান আহমেদ ও হোসাইন মোহাম্মদ হেলাল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোট ও সমর্থন নিয়ে সুলতান ও হেলালের অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। দফায় দফায় সংঘর্ষে সুলতানের এক কর্মী এবং হেলালের তিন কর্মী গুরুতর আহত হন।
বাইশগাঁও ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি সুমন পাটোয়ারী জানান, কমিটি ঘোষণার পর হঠাৎ সংঘর্ষ বাঁধে। পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে চার নেতাকর্মী আহত হন। নিজেদের মধ্যে এই ধরনের ঘটনা দুঃখজনক।
এছাড়া, নাথেরপেটুয়া ইউনিয়নের কান্দি স্কুল মাঠে ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কাউন্সিলে আবুল কালাম ও আনোরুল আজিমের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হন। স্থানীয় বিএনপি নেতা হারুনুর রশিদ জানান, সংঘর্ষের কারণে কাউন্সিল অসমাপ্ত রেখে নেতৃবৃন্দ স্থান ত্যাগ করেন।