ঢাকা ১২:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচনের অভাবেই দেশে অস্থিরতা, দুর্নীতির সুযোগ নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা: মির্জা ফখরুল সেন্ট মার্টিন রক্ষায় পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনায় জোর দিচ্ছে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা নতুন যুগোপযোগী টেলিকম নীতিমালা প্রণয়নের ঘোষণা, বাতিল পুরনো নীতি: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়ে বোগোটায় বৈঠকে ২০টির বেশি দেশ “দেশ এখনও সম্পূর্ণ ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়”: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এখনো একটি অদৃশ্য চক্র সক্রিয়ভাবে ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান শুল্কযুদ্ধের ছায়ায় কফি-কমলার বাজার, দুশ্চিন্তায় ব্রাজিল-যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা ২-৩টি আসনের প্রস্তাব ও ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে এনসিপি কেনার সাধ্য কারো নেই: নাহিদ ইসলাম গণতন্ত্রকে বিপথে নিতে সংস্কারের নামে সূক্ষ্ম কারচুপি চলছে: ১২ দলীয় জোট প্রধান ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: টিটন গাজীর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

নির্বাচন নয়, গণহত্যার বিচারে প্রতিযোগিতায় নামুন’: সারজিস আলম

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২৮:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 22

ছবি সংগৃহীত

 

সংস্কার না নির্বাচন এই বিতর্কে না গিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়েই রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিযোগিতায় নামার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। তিনি বলেন, “সংস্কার না নির্বাচন এই খেলা বন্ধ করুন। এখন দরকার হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রতিযোগিতা।”

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। সমাবেশের প্রতিপাদ্য ছিল, ‘জুলাই, পিলখানা ও শাপলা গণহত্যার বিচার এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি’।

সারজিস আলম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের আট মাস পরেও আমাদের শহিদ পরিবার এবং আহত যোদ্ধাদের সাথে নিয়ে বলতে হচ্ছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন। কিন্তু বিভিন্ন মহল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করলে দেশের ইমেজ ক্ষুণ্ণ হবে এই অজুহাত দেয়। আমরা যখনই নিষিদ্ধের কথা বলি, তখন পশ্চিমাদের দৃষ্টিভঙ্গির কথা তুলে ধরা হয়। বলা হয়, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ না এলে ভারত কী ভাববে!”

তিনি প্রশ্ন রাখেন, “গত ১৬ বছরে পিলখানায়, শাপলায়, শাহবাগে, যাত্রাবাড়িতে, উত্তরায় যখন হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তখন এই পশ্চিমারা কোথায় ছিল? হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে যখন শিশুকে হত্যা করা হয় তখন তাদের মানবিকতা কোথায় ছিল? যেই ভারত খুনি হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে, সেই হাসিনাকে ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত ভারতের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে না। খাতা-কলমের সম্পর্ক আর জনগণের সম্পর্ক এক নয়। প্রতিবেশী সম্পর্ক দেখতে হলে খুনিদের ফেরত দিতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “১০ মাস আগে দেশের মানুষ ভাবত, কখন স্যাংশন আসবে, আমেরিকা হস্তক্ষেপ করবে, তারপর মাঠে নামবে। কিন্তু এখন ছাত্র জনতা জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারের মুখে অন্য কোনো কথাই মানায় না। ভারতের প্রেসক্রিপশনে এবং হাসিনার প্রত্যক্ষ মদদেই পিলখানা, শাপলা এবং জুলাই হত্যাকাণ্ড হয়েছে। এর বিচার ছাড়া বাংলাদেশে আর কিছুই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না।”

সারজিস আলম সতর্ক করে বলেন, “এই প্রজন্মকে ভয় করুন। এদের রক্ত নিয়ে খেলা করলে, এরা সব ক্ষমতার বিরুদ্ধে গিয়ে যেকাউকে টেনে নামাতে জানে।”

 

নিউজটি শেয়ার করুন

নির্বাচন নয়, গণহত্যার বিচারে প্রতিযোগিতায় নামুন’: সারজিস আলম

আপডেট সময় ১১:২৮:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

 

সংস্কার না নির্বাচন এই বিতর্কে না গিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়েই রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিযোগিতায় নামার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। তিনি বলেন, “সংস্কার না নির্বাচন এই খেলা বন্ধ করুন। এখন দরকার হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রতিযোগিতা।”

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। সমাবেশের প্রতিপাদ্য ছিল, ‘জুলাই, পিলখানা ও শাপলা গণহত্যার বিচার এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি’।

সারজিস আলম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের আট মাস পরেও আমাদের শহিদ পরিবার এবং আহত যোদ্ধাদের সাথে নিয়ে বলতে হচ্ছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন। কিন্তু বিভিন্ন মহল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করলে দেশের ইমেজ ক্ষুণ্ণ হবে এই অজুহাত দেয়। আমরা যখনই নিষিদ্ধের কথা বলি, তখন পশ্চিমাদের দৃষ্টিভঙ্গির কথা তুলে ধরা হয়। বলা হয়, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ না এলে ভারত কী ভাববে!”

তিনি প্রশ্ন রাখেন, “গত ১৬ বছরে পিলখানায়, শাপলায়, শাহবাগে, যাত্রাবাড়িতে, উত্তরায় যখন হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তখন এই পশ্চিমারা কোথায় ছিল? হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে যখন শিশুকে হত্যা করা হয় তখন তাদের মানবিকতা কোথায় ছিল? যেই ভারত খুনি হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে, সেই হাসিনাকে ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত ভারতের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে না। খাতা-কলমের সম্পর্ক আর জনগণের সম্পর্ক এক নয়। প্রতিবেশী সম্পর্ক দেখতে হলে খুনিদের ফেরত দিতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “১০ মাস আগে দেশের মানুষ ভাবত, কখন স্যাংশন আসবে, আমেরিকা হস্তক্ষেপ করবে, তারপর মাঠে নামবে। কিন্তু এখন ছাত্র জনতা জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারের মুখে অন্য কোনো কথাই মানায় না। ভারতের প্রেসক্রিপশনে এবং হাসিনার প্রত্যক্ষ মদদেই পিলখানা, শাপলা এবং জুলাই হত্যাকাণ্ড হয়েছে। এর বিচার ছাড়া বাংলাদেশে আর কিছুই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না।”

সারজিস আলম সতর্ক করে বলেন, “এই প্রজন্মকে ভয় করুন। এদের রক্ত নিয়ে খেলা করলে, এরা সব ক্ষমতার বিরুদ্ধে গিয়ে যেকাউকে টেনে নামাতে জানে।”