ঢাকা ০৯:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শিক্ষকের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়, এমন কোনো কাজ শিক্ষার্থীদের করা উচিত নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা জলমহাল নীতিমালা পরিবর্তন করে প্রকৃত মৎস্যজীবীদের পাবে অগ্রাধিকার: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বাংলাদেশ ব্যাংক পেতে যাচ্ছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছে ১১ জন মেয়ে ও ১৩৫ জন শিশু: শারমিন মুরশিদ চীন ও তুরস্কের সহায়তার অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করল পাকিস্তান লাগামহীন ও অবিশ্বাস্য মাত্রার লুটপাট আওয়ামী লীগ সরকারের বড় দৃষ্টান্ত: আসিফ মাহমুদ সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১৪৫৪ জন গ্রেপ্তার সব শ্রেণির মানুষের রক্ত-ঘামে জুলাই বিপ্লবের সাফল্য: আসিফ মাহমুদ ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে বিপর্যস্ত মার্কিন অর্থনীতি, ছাঁটাই-ব্যয় সংকটে ব্যবসা খাত গাজীপুরে পুকুরে ডুবে দুই কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু

বিজ্ঞানীদের চমকপ্রদ আবিষ্কার: খুঁজে পাওয়া গেল লুকানো প্লাজমা কাঠামো

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৪৭:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
  • / 58

ছবি সংগৃহীত

 

মহাকাশ বিজ্ঞানের জগতে প্লাজমা একটি পরিচিত নাম। এটি পদার্থের একটি বিশেষ অবস্থা, যেখানে পরমাণুর ইলেকট্রন বিচ্ছিন্ন হয়ে আয়নিত গ্যাসে রূপান্তরিত হয়। অত্যন্ত উচ্চ তাপমাত্রা ও বিদ্যুৎ পরিবাহিতার কারণে এই প্লাজমা মহাবিশ্বের নানান অংশে, বিশেষ করে তারকাপুঞ্জ ও নীহারিকায়, সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা শক্তিশালী রেডিও টেলিস্কোপের সাহায্যে এক নতুন ও রহস্যময় প্লাজমা কাঠামোর সন্ধান পেয়েছেন, যা এতদিন পৃথিবীর কাছেই লুকানো ছিল।

‘নেচার অ্যাস্ট্রোনমি’ নামক আন্তর্জাতিক গবেষণা সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নতুন প্লাজমা স্তরটি একটি দ্রুতগতিতে ঘূর্ণায়মান পালসার তারার আশেপাশে অবস্থিত। বিজ্ঞানীদের মতে, পালসারটির নাম J0437-4715, এবং এটি পৃথিবী থেকে মাত্র ৫১২ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করছে। পালসার হলো একধরনের নিউট্রন তারা, যা মহাকাশের সবচেয়ে ঘন ও রহস্যময় বস্তুর মধ্যে অন্যতম। এই পালসার একটি তীব্র রেডিও তরঙ্গ ও কণা প্রবাহ সৃষ্টি করে, যা তার চারপাশের আন্তনাক্ষত্রিক মাধ্যমের মধ্য দিয়ে ছুটে চলে। এর ফলে তৈরি হয় উত্তপ্ত গ্যাসের এক প্রকার শক তরঙ্গ, যা মহাশূন্যে প্লাজমার এক অশান্ত অবস্থা সৃষ্টি করে।

এই প্লাজমার মধ্যে তরঙ্গের বিক্ষিপ্ততা একটি বিশেষ নকশা গঠন করে, যার ফলে দূর থেকে পালসারটিকে মিটমিটে তারা হিসেবে দেখা যায়। বিজ্ঞানীরা এই প্লাজমা স্তর বিশ্লেষণের জন্য বর্তমানে সিন্টিলেশন আর্ক নামক এক ধরণের ইন্টারফেরেন্স প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করছেন। এই পদ্ধতিকে অনেকটা মহাকাশের বস্তুসমূহের সিটি স্ক্যানের সঙ্গে তুলনা করা যায়। এই প্রযুক্তির সাহায্যে পালসারের তরঙ্গ কীভাবে গঠিত ও ছড়িয়ে পড়ছে তা আরও গভীরভাবে অনুধাবন করার চেষ্টা চলছে।

এটি শুধু একটি নতুন আবিষ্কার নয়, বরং মহাবিশ্বের গঠন ও তারকার আশেপাশের জটিল কাঠামো বোঝার পথে একটি বড় অগ্রগতি। বিজ্ঞানীরা আশাবাদী, এই গবেষণার মাধ্যমে মহাকাশে থাকা অজানা অনেক তথ্য সামনে আসবে, যা ভবিষ্যতের মহাকাশ গবেষণাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

সূত্র: এনডিটিভি

 

নিউজটি শেয়ার করুন

বিজ্ঞানীদের চমকপ্রদ আবিষ্কার: খুঁজে পাওয়া গেল লুকানো প্লাজমা কাঠামো

আপডেট সময় ০৬:৪৭:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

 

মহাকাশ বিজ্ঞানের জগতে প্লাজমা একটি পরিচিত নাম। এটি পদার্থের একটি বিশেষ অবস্থা, যেখানে পরমাণুর ইলেকট্রন বিচ্ছিন্ন হয়ে আয়নিত গ্যাসে রূপান্তরিত হয়। অত্যন্ত উচ্চ তাপমাত্রা ও বিদ্যুৎ পরিবাহিতার কারণে এই প্লাজমা মহাবিশ্বের নানান অংশে, বিশেষ করে তারকাপুঞ্জ ও নীহারিকায়, সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা শক্তিশালী রেডিও টেলিস্কোপের সাহায্যে এক নতুন ও রহস্যময় প্লাজমা কাঠামোর সন্ধান পেয়েছেন, যা এতদিন পৃথিবীর কাছেই লুকানো ছিল।

‘নেচার অ্যাস্ট্রোনমি’ নামক আন্তর্জাতিক গবেষণা সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নতুন প্লাজমা স্তরটি একটি দ্রুতগতিতে ঘূর্ণায়মান পালসার তারার আশেপাশে অবস্থিত। বিজ্ঞানীদের মতে, পালসারটির নাম J0437-4715, এবং এটি পৃথিবী থেকে মাত্র ৫১২ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করছে। পালসার হলো একধরনের নিউট্রন তারা, যা মহাকাশের সবচেয়ে ঘন ও রহস্যময় বস্তুর মধ্যে অন্যতম। এই পালসার একটি তীব্র রেডিও তরঙ্গ ও কণা প্রবাহ সৃষ্টি করে, যা তার চারপাশের আন্তনাক্ষত্রিক মাধ্যমের মধ্য দিয়ে ছুটে চলে। এর ফলে তৈরি হয় উত্তপ্ত গ্যাসের এক প্রকার শক তরঙ্গ, যা মহাশূন্যে প্লাজমার এক অশান্ত অবস্থা সৃষ্টি করে।

এই প্লাজমার মধ্যে তরঙ্গের বিক্ষিপ্ততা একটি বিশেষ নকশা গঠন করে, যার ফলে দূর থেকে পালসারটিকে মিটমিটে তারা হিসেবে দেখা যায়। বিজ্ঞানীরা এই প্লাজমা স্তর বিশ্লেষণের জন্য বর্তমানে সিন্টিলেশন আর্ক নামক এক ধরণের ইন্টারফেরেন্স প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করছেন। এই পদ্ধতিকে অনেকটা মহাকাশের বস্তুসমূহের সিটি স্ক্যানের সঙ্গে তুলনা করা যায়। এই প্রযুক্তির সাহায্যে পালসারের তরঙ্গ কীভাবে গঠিত ও ছড়িয়ে পড়ছে তা আরও গভীরভাবে অনুধাবন করার চেষ্টা চলছে।

এটি শুধু একটি নতুন আবিষ্কার নয়, বরং মহাবিশ্বের গঠন ও তারকার আশেপাশের জটিল কাঠামো বোঝার পথে একটি বড় অগ্রগতি। বিজ্ঞানীরা আশাবাদী, এই গবেষণার মাধ্যমে মহাকাশে থাকা অজানা অনেক তথ্য সামনে আসবে, যা ভবিষ্যতের মহাকাশ গবেষণাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

সূত্র: এনডিটিভি