কাশ্মীর হামলা নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানালো পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর

- আপডেট সময় ০২:০৪:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
- / 46
কাশ্মীরের পহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিরীহ পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে পাকিস্তান। মঙ্গলবারের এই ঘটনার পর বুধবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। জিও নিউজ জানায়, পাকিস্তান এই ঘটনায় শোকাহত এবং নিহতদের পরিবার ও স্বজনদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র শাফকাত আলি খান বলেন, “ভারতের অবৈধ দখলে থাকা জম্মু ও কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বর্বরোচিত এই হামলায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং নিহতদের পরিবারকে জানাচ্ছি আন্তরিক সমবেদনা।”
প্রসঙ্গত, ভারতের নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরের পহেলগামে মঙ্গলবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। একটি ট্রেকিং অভিযানে অংশ নেওয়া পর্যটক দলের ওপর আচমকা হামলা চালায় অজ্ঞাত অস্ত্রধারীরা। গুলিতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ২৫ জন ভারতীয় ও একজন নেপালি নাগরিক। আহত হন অন্তত ১৭ জন।
ভারত সরকার জানিয়েছে, হামলার পর সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গোটা ভারত এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ।
এদিকে, ‘কাশ্মীর প্রতিরোধ’ নামের একটি কম পরিচিত সশস্ত্র গোষ্ঠী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে। তাদের অভিযোগ, বহিরাগতদের কাশ্মীরে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপনের অনুমতি দিয়ে জনসংখ্যার কাঠামো বদলে দেওয়া হচ্ছে। জিও নিউজের তথ্য অনুযায়ী, ইতোমধ্যেই প্রায় ৮৫ হাজার বহিরাগতকে কাশ্মীরে বসতির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলো দাবি করছে, এই হামলার পেছনে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী লশকর-ই-তৈয়বার সঙ্গে সম্পৃক্ত ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ বা টিআরএফ রয়েছে। যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে সরাসরি দিল্লির নিয়ন্ত্রণে আনে অঞ্চলটি। এরপর থেকে সেখানে বহিরাগতদের জমি কেনা ও চাকরির সুযোগ করে দেওয়া হয়। সাম্প্রতিক এই হামলা নতুন করে কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
সূত্র: জিও নিউজ