ঢাকা ০৯:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচনের অভাবেই দেশে অস্থিরতা, দুর্নীতির সুযোগ নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা: মির্জা ফখরুল সেন্ট মার্টিন রক্ষায় পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনায় জোর দিচ্ছে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা নতুন যুগোপযোগী টেলিকম নীতিমালা প্রণয়নের ঘোষণা, বাতিল পুরনো নীতি: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়ে বোগোটায় বৈঠকে ২০টির বেশি দেশ “দেশ এখনও সম্পূর্ণ ফ্যাসিবাদমুক্ত নয়”: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এখনো একটি অদৃশ্য চক্র সক্রিয়ভাবে ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান শুল্কযুদ্ধের ছায়ায় কফি-কমলার বাজার, দুশ্চিন্তায় ব্রাজিল-যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা ২-৩টি আসনের প্রস্তাব ও ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে এনসিপি কেনার সাধ্য কারো নেই: নাহিদ ইসলাম গণতন্ত্রকে বিপথে নিতে সংস্কারের নামে সূক্ষ্ম কারচুপি চলছে: ১২ দলীয় জোট প্রধান ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: টিটন গাজীর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

জাতীয় ঐকমত্যে গুরুত্ব দিতে হবে, তাড়াহুড়োর সুযোগ নেই : সালাহউদ্দিন আহমেদ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৩২:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
  • / 31

ছবি সংগৃহীত

 

জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলতে পারলে দেশের জন্য একটি ইতিবাচক দিকনির্দেশনা তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনো তাড়াহুড়ো না করে ধৈর্য ও সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত গ্রহণই দেশের জন্য মঙ্গলজনক।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বিএনপির প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “সংবিধান সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আজ থেকে বিচার বিভাগ সংক্রান্ত আলোচনা শুরু হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য কমিশন নিয়ে আলোচনা চলবে।”

তিনি আরও বলেন, “বিভিন্ন ইস্যুতে গণমাধ্যম ও জনমনে কিছু বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে স্প্রেডশিট সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। তবে বিএনপি প্রতিটি দফা আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করে দেখছে। কারণ, এটি রাষ্ট্র পরিচালনার একটি মৌলিক বিষয়। এখানে কোনো অবহেলা বা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ নেই।”

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে বিএনপির অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “বিচারকদের নিয়োগ, আলাদা বিচার বিভাগীয় সচিবালয় গঠন এবং বিচার বিভাগের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তবে এটি হতে হবে দেশের প্রচলিত আইন এবং সংবিধানের আওতায়।”

তিনি জানান, বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিএনপি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কাজ করছে এবং জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েই প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

সংলাপকে সামনে রেখে সালাহউদ্দিন আহমেদ আশা প্রকাশ করেন, সকল রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি কার্যকর জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে। আর এই ঐকমত্য দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং গণতান্ত্রিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

জাতীয় ঐকমত্যে গুরুত্ব দিতে হবে, তাড়াহুড়োর সুযোগ নেই : সালাহউদ্দিন আহমেদ

আপডেট সময় ০২:৩২:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

 

জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলতে পারলে দেশের জন্য একটি ইতিবাচক দিকনির্দেশনা তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনো তাড়াহুড়ো না করে ধৈর্য ও সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত গ্রহণই দেশের জন্য মঙ্গলজনক।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বিএনপির প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “সংবিধান সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আজ থেকে বিচার বিভাগ সংক্রান্ত আলোচনা শুরু হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য কমিশন নিয়ে আলোচনা চলবে।”

তিনি আরও বলেন, “বিভিন্ন ইস্যুতে গণমাধ্যম ও জনমনে কিছু বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে স্প্রেডশিট সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। তবে বিএনপি প্রতিটি দফা আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করে দেখছে। কারণ, এটি রাষ্ট্র পরিচালনার একটি মৌলিক বিষয়। এখানে কোনো অবহেলা বা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ নেই।”

বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে বিএনপির অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “বিচারকদের নিয়োগ, আলাদা বিচার বিভাগীয় সচিবালয় গঠন এবং বিচার বিভাগের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তবে এটি হতে হবে দেশের প্রচলিত আইন এবং সংবিধানের আওতায়।”

তিনি জানান, বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিএনপি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে কাজ করছে এবং জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েই প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

সংলাপকে সামনে রেখে সালাহউদ্দিন আহমেদ আশা প্রকাশ করেন, সকল রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি কার্যকর জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে। আর এই ঐকমত্য দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং গণতান্ত্রিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।