ঢাকা ০৯:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাগরিকার হ্যাটট্রিক: শ্রীলঙ্কাকে গোলবন্যায় ভাসাল বাংলাদেশ বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ: পাবনায় ১০ নেতাকর্মীর বহিষ্কার কর্ণফুলী ইপিজেডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: আগুন নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিটের অভিযান চারদিন সাগরে ভেসে থাকা ৯ জেলেকে উদ্ধার: এখনও নিখোঁজ ৩ বাংলাদেশে প্রথমবার মুক্তি পাচ্ছে নেপালি ছবি: ‘ন ডরাই’ এর বিনিময়ে ফয়জুল করীম: ‘দেশের রাজনৈতিক সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়’ বিশ্বাসীদের কবি আল মাহমুদের ৯০তম জন্মদিন আজ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের পথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন হাসপাতাল নিতে বলায় গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা: আতঙ্কজনক ঘটনা ডেঙ্গু আতঙ্ক: মৃত্যু ২, হাসপাতালে ভর্তি ৩৩৭

প্রধান উপদেষ্টার দিকনির্দেশনায় চলছে বৈঠকের কৌশল: ড. আলী রীয়াজ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:২৭:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
  • / 32

ছবি সংগৃহীত

 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, প্রতিদিনের আলোচনা ও সিদ্ধান্তসমূহ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অবহিত করা হচ্ছে এবং তার নির্দেশনায়ই বৈঠকের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকাল ১১টায় সংসদ ভবনের এলডি হলে বিএনপির সঙ্গে তৃতীয় দিনের মতো বৈঠকে বসার আগে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, “আমরা এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে অবস্থান করছি। বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে সংশ্লিষ্ট কমিশনের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত থাকবে। আজকের মধ্যেই বিএনপির সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা শেষ করার আশা করছি।”

উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত ৩৫টি রাজনৈতিক দল সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে এবং এর মধ্যে বিএনপিসহ ১৫টি দলের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। ড. আলী রীয়াজ আরও জানান, আগামী মে মাসে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনার সূচনা হবে, যেখানে নতুন করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক হবে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন মঙ্গলবার বিএনপির সঙ্গে টানা তৃতীয় দিনের মতো বৈঠকে বসে। এর আগে ১৭ ও ২০ এপ্রিল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কমিশনের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করে। উল্লেখ্য, বিএনপি ২৩ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সংস্কার প্রস্তাব জমা দেয়।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থেকে অপসারিত হওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার দেশের প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের লক্ষ্যে দুই ধাপে মোট ১১টি কমিশন গঠন করে। এই কমিশনগুলোর প্রস্তাব ও সুপারিশের ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কাজ শুরু করে।

দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে এই আলোচনা ও প্রস্তাবনাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানান ড. রীয়াজ। তিনি বলেন, “আমরা চাই সকল পক্ষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি স্থায়ী সমাধানে পৌঁছাতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রধান উপদেষ্টার দিকনির্দেশনায় চলছে বৈঠকের কৌশল: ড. আলী রীয়াজ

আপডেট সময় ০২:২৭:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, প্রতিদিনের আলোচনা ও সিদ্ধান্তসমূহ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অবহিত করা হচ্ছে এবং তার নির্দেশনায়ই বৈঠকের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকাল ১১টায় সংসদ ভবনের এলডি হলে বিএনপির সঙ্গে তৃতীয় দিনের মতো বৈঠকে বসার আগে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, “আমরা এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে অবস্থান করছি। বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে সংশ্লিষ্ট কমিশনের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত থাকবে। আজকের মধ্যেই বিএনপির সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা শেষ করার আশা করছি।”

উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত ৩৫টি রাজনৈতিক দল সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে এবং এর মধ্যে বিএনপিসহ ১৫টি দলের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। ড. আলী রীয়াজ আরও জানান, আগামী মে মাসে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনার সূচনা হবে, যেখানে নতুন করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক হবে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন মঙ্গলবার বিএনপির সঙ্গে টানা তৃতীয় দিনের মতো বৈঠকে বসে। এর আগে ১৭ ও ২০ এপ্রিল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কমিশনের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করে। উল্লেখ্য, বিএনপি ২৩ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সংস্কার প্রস্তাব জমা দেয়।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থেকে অপসারিত হওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার দেশের প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের লক্ষ্যে দুই ধাপে মোট ১১টি কমিশন গঠন করে। এই কমিশনগুলোর প্রস্তাব ও সুপারিশের ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কাজ শুরু করে।

দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে এই আলোচনা ও প্রস্তাবনাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানান ড. রীয়াজ। তিনি বলেন, “আমরা চাই সকল পক্ষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি স্থায়ী সমাধানে পৌঁছাতে।