০৮:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় সীমানা বিরোধে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১৫

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৪২:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • / 154

ছবি সংগৃহীত

 

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় পূর্বশত্রুতাকে কেন্দ্র করে বাড়ির সীমানা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২০ এপ্রিল) রাতে নওপাড়া ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৪-১৫ জন আহত হয়েছে, যার মধ্যে কয়েকজনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাহিদ হাসান রিয়াদের ভাগনে অনন্ত (১৫) ও ইয়াসিন মিয়া তুষারের চাচাতো ভাই সোহান (১৫)-এর মধ্যে পূর্ব থেকেই শত্রুতা চলে আসছিল। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হলে তা দ্রুত উত্তপ্ত রূপ নেয় এবং তা দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে রূপ নেয়।

বিজ্ঞাপন

সোহানের চাচা আবুল কাশেম অভিযোগ করে বলেন, “প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে। আমার পুরনো রাখা ৪০ মণ ধান ও প্রায় ৫ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। এমনকি বাড়ির সীমানায় থাকা গাছগুলো পর্যন্ত কেটে নিয়েছে তারা।”

তিনি আরও জানান, তাদের পক্ষের ৬-৭ জন গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। সোহানের বাবা আবুল কালাম বলেন, “আমরা বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ঘর থেকে বের হতেও ভয় পাচ্ছি। আমার ছেলে সোহান এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে, তাকে নিয়েও আমরা গভীর উদ্বিগ্ন।”

অন্যদিকে অভিযুক্ত পক্ষের কিরণ বলেন, “আমরা হামলা বা লুটপাটের সঙ্গে জড়িত নই। আমাদের ঘরেই বরং হামলা হয়েছে। আমাদের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে, বিআরএস এবং আরওআর-এর মাধ্যমে প্রমাণ করা সম্ভব। তারা দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা উগ্র কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।”

তিনি দাবি করেন, “আমাদের পক্ষেরও ৭-৮ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।”

এ বিষয়ে নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সারোয়ার জাহান কাওছার জানান, “উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং প্রশাসনের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।”

এদিকে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।”

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পুলিশি তৎপরতায় বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

নিউজটি শেয়ার করুন

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় সীমানা বিরোধে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১৫

আপডেট সময় ০৬:৪২:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

 

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় পূর্বশত্রুতাকে কেন্দ্র করে বাড়ির সীমানা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২০ এপ্রিল) রাতে নওপাড়া ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৪-১৫ জন আহত হয়েছে, যার মধ্যে কয়েকজনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাহিদ হাসান রিয়াদের ভাগনে অনন্ত (১৫) ও ইয়াসিন মিয়া তুষারের চাচাতো ভাই সোহান (১৫)-এর মধ্যে পূর্ব থেকেই শত্রুতা চলে আসছিল। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হলে তা দ্রুত উত্তপ্ত রূপ নেয় এবং তা দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে রূপ নেয়।

বিজ্ঞাপন

সোহানের চাচা আবুল কাশেম অভিযোগ করে বলেন, “প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে। আমার পুরনো রাখা ৪০ মণ ধান ও প্রায় ৫ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। এমনকি বাড়ির সীমানায় থাকা গাছগুলো পর্যন্ত কেটে নিয়েছে তারা।”

তিনি আরও জানান, তাদের পক্ষের ৬-৭ জন গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। সোহানের বাবা আবুল কালাম বলেন, “আমরা বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ঘর থেকে বের হতেও ভয় পাচ্ছি। আমার ছেলে সোহান এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে, তাকে নিয়েও আমরা গভীর উদ্বিগ্ন।”

অন্যদিকে অভিযুক্ত পক্ষের কিরণ বলেন, “আমরা হামলা বা লুটপাটের সঙ্গে জড়িত নই। আমাদের ঘরেই বরং হামলা হয়েছে। আমাদের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে, বিআরএস এবং আরওআর-এর মাধ্যমে প্রমাণ করা সম্ভব। তারা দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা উগ্র কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।”

তিনি দাবি করেন, “আমাদের পক্ষেরও ৭-৮ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।”

এ বিষয়ে নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সারোয়ার জাহান কাওছার জানান, “উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং প্রশাসনের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।”

এদিকে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।”

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পুলিশি তৎপরতায় বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।