ঢাকা ১২:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন

ইয়েমেনে মার্কিন হামলায় ৮০ নিহত, বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / 43

ছবি সংগৃহীত

 

 

ইয়েমেনের রাস ঈসা তেল বন্দরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চালানো ভয়াবহ বিমান হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫০ জন। হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে এ ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রাণঘাতী হামলা বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

হুতি-নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনিস আলাসাবাহি জানান, বৃহস্পতিবার রাতের দিকে রাস ঈসা বন্দরে হঠাৎ করে আঘাত হানে মার্কিন বাহিনী। হামলার সময় বন্দরটিতে কর্মীরা নিয়মিত কার্যক্রমে নিয়োজিত ছিলেন। এই হামলায় নিহতদের অধিকাংশই সাধারণ শ্রমিক ও ট্রাকচালক বলে জানা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানিয়েছে, হুতি গোষ্ঠী যাতে তেল বিক্রির মাধ্যমে অর্থ আয় করতে না পারে এবং জ্বালানি সংগ্রহে ব্যর্থ হয়, সে লক্ষ্যেই এই হামলা চালানো হয়েছে।

তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সাংবাদিক মোহাম্মদ আল-আত্তাব জানান, শুধু রাস ঈসা নয়, আরও কয়েকটি স্থানে একযোগে হামলা চালানো হয়। তবুও রাস ঈসায় হামলাটিই সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল। তিনি বলেন, “প্রথম চারটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে ঠিক তখন, যখন শ্রমিকরা তেল লোড-আনলোডে ব্যস্ত ছিলেন। হঠাৎ আঘাতে অনেকে সেখানেই প্রাণ হারান।”

রাস ঈসা তেল বন্দরটি ইয়েমেনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বন্দর দিয়ে দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ পণ্য রপ্তানি এবং ৮০ শতাংশের বেশি মানবিক সহায়তা প্রবেশ করে থাকে। ফলে বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু ছাড়াও দেশটির মানবিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

হামলার ঘটনায় ইয়েমেনের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ। আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের ঘটনায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন হামলা চলতে থাকলে ইয়েমেনের সংকট আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।

মানবিক সহায়তা নির্ভর একটি দেশের ওপর এমন ঘনঘন সামরিক হামলা বিশ্বশান্তির জন্য অশনিসঙ্কেত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইয়েমেনে মার্কিন হামলায় ৮০ নিহত, বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়

আপডেট সময় ১০:০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

 

 

ইয়েমেনের রাস ঈসা তেল বন্দরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চালানো ভয়াবহ বিমান হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫০ জন। হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে এ ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রাণঘাতী হামলা বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

হুতি-নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনিস আলাসাবাহি জানান, বৃহস্পতিবার রাতের দিকে রাস ঈসা বন্দরে হঠাৎ করে আঘাত হানে মার্কিন বাহিনী। হামলার সময় বন্দরটিতে কর্মীরা নিয়মিত কার্যক্রমে নিয়োজিত ছিলেন। এই হামলায় নিহতদের অধিকাংশই সাধারণ শ্রমিক ও ট্রাকচালক বলে জানা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানিয়েছে, হুতি গোষ্ঠী যাতে তেল বিক্রির মাধ্যমে অর্থ আয় করতে না পারে এবং জ্বালানি সংগ্রহে ব্যর্থ হয়, সে লক্ষ্যেই এই হামলা চালানো হয়েছে।

তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সাংবাদিক মোহাম্মদ আল-আত্তাব জানান, শুধু রাস ঈসা নয়, আরও কয়েকটি স্থানে একযোগে হামলা চালানো হয়। তবুও রাস ঈসায় হামলাটিই সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল। তিনি বলেন, “প্রথম চারটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে ঠিক তখন, যখন শ্রমিকরা তেল লোড-আনলোডে ব্যস্ত ছিলেন। হঠাৎ আঘাতে অনেকে সেখানেই প্রাণ হারান।”

রাস ঈসা তেল বন্দরটি ইয়েমেনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বন্দর দিয়ে দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ পণ্য রপ্তানি এবং ৮০ শতাংশের বেশি মানবিক সহায়তা প্রবেশ করে থাকে। ফলে বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু ছাড়াও দেশটির মানবিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

হামলার ঘটনায় ইয়েমেনের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ। আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের ঘটনায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন হামলা চলতে থাকলে ইয়েমেনের সংকট আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।

মানবিক সহায়তা নির্ভর একটি দেশের ওপর এমন ঘনঘন সামরিক হামলা বিশ্বশান্তির জন্য অশনিসঙ্কেত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।