০৯:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

১৫ বছর পর আজ ঢাকায় বাংলাদেশ–পাকিস্তান পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:২৩:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / 46

ছবি সংগৃহীত

  

প্রায় ১৫ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এই বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন দুই দেশের শীর্ষ কূটনীতিকরা।

বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন। পাকিস্তানের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন ঢাকায় সফররত দেশটির পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ। 

বিজ্ঞাপন

বুধবার সন্ধ্যায় আমনা বালুচ ঢাকায় পৌঁছান। আজকের বৈঠক শেষে তার জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন রয়েছে। এরপর তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। একইদিনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গেও তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। রাতে বারিধারায় আয়োজিত এক নৈশভোজে তাকে সম্মাননা জানানো হবে।

দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন আবহ তৈরি হওয়ায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুনরায় সক্রিয় করতে উদ্যোগী হয়েছে পাকিস্তান। ঢাকার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও বাণিজ্যিক, প্রযুক্তিগত, কূটনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করাই ইসলামাবাদের অন্যতম লক্ষ্য।

বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি, যোগাযোগ এবং সংযুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।

তবে রাজনৈতিক সদিচ্ছার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে এখনো কিছু অমীমাংসিত ইস্যু রয়ে গেছে। বিশেষ করে ইতিহাস, যুদ্ধাপরাধ, জনমানসের মনোভাব এবং আস্থার ঘাটতি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্ককে ভারাক্রান্ত করেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ গড়ে তোলা, ইতিহাসের প্রেক্ষাপট নতুনভাবে মূল্যায়ন করা এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনাকে সামনে রেখে সম্পর্ক উন্নয়নের দিকেই গুরুত্ব দিতে হবে উভয় পক্ষকে।

বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ায় ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। তাই বাংলাদেশের জন্য এটি একটি কৌশলগত সময়, যেখানে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ ও বাস্তবভিত্তিক কূটনীতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

এই প্রেক্ষাপটে আজকের বৈঠককে বিশ্লেষকরা একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ সূচনা’ হিসেবে দেখছেন, যা হয়তো ভবিষ্যতের ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্কের নতুন পথচলার ভিত্তি তৈরি করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

১৫ বছর পর আজ ঢাকায় বাংলাদেশ–পাকিস্তান পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক

আপডেট সময় ১০:২৩:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

  

প্রায় ১৫ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এই বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন দুই দেশের শীর্ষ কূটনীতিকরা।

বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন। পাকিস্তানের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন ঢাকায় সফররত দেশটির পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ। 

বিজ্ঞাপন

বুধবার সন্ধ্যায় আমনা বালুচ ঢাকায় পৌঁছান। আজকের বৈঠক শেষে তার জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন রয়েছে। এরপর তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। একইদিনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গেও তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। রাতে বারিধারায় আয়োজিত এক নৈশভোজে তাকে সম্মাননা জানানো হবে।

দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন আবহ তৈরি হওয়ায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুনরায় সক্রিয় করতে উদ্যোগী হয়েছে পাকিস্তান। ঢাকার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও বাণিজ্যিক, প্রযুক্তিগত, কূটনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করাই ইসলামাবাদের অন্যতম লক্ষ্য।

বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি, যোগাযোগ এবং সংযুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।

তবে রাজনৈতিক সদিচ্ছার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে এখনো কিছু অমীমাংসিত ইস্যু রয়ে গেছে। বিশেষ করে ইতিহাস, যুদ্ধাপরাধ, জনমানসের মনোভাব এবং আস্থার ঘাটতি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্ককে ভারাক্রান্ত করেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ গড়ে তোলা, ইতিহাসের প্রেক্ষাপট নতুনভাবে মূল্যায়ন করা এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনাকে সামনে রেখে সম্পর্ক উন্নয়নের দিকেই গুরুত্ব দিতে হবে উভয় পক্ষকে।

বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ায় ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। তাই বাংলাদেশের জন্য এটি একটি কৌশলগত সময়, যেখানে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ ও বাস্তবভিত্তিক কূটনীতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

এই প্রেক্ষাপটে আজকের বৈঠককে বিশ্লেষকরা একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ সূচনা’ হিসেবে দেখছেন, যা হয়তো ভবিষ্যতের ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্কের নতুন পথচলার ভিত্তি তৈরি করবে।