জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তহবিল বন্ধের প্রস্তাব দিল ট্রাম্প প্রশাসন

- আপডেট সময় ০৬:৩২:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
- / 39
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ন হ্রাসের সুপারিশ করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। মালি, লেবানন ও কঙ্গোর গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে পরিচালিত শান্তিরক্ষা মিশনের কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ করে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, জাতিসংঘের সবচেয়ে বড় দাতা দেশ যুক্তরাষ্ট্র। সংস্থাটির ৩.৭ বিলিয়ন ডলারের মূল বাজেটের ২২ শতাংশ এবং ৫.৬ বিলিয়ন ডলারের শান্তিরক্ষা বাজেটের ২৭ শতাংশ এককভাবে বহন করে দেশটি। দ্বিতীয় বৃহত্তম দাতা দেশ চীন।
জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার পর ১৯৪৫ সাল থেকে সংস্থার বাজেটে সদস্যদের অবদান রাখা বাধ্যতামূলক। যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই এতে সর্বোচ্চ অবদান রেখে চলেছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাবিত নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের খরচ হ্রাসের সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ‘পাসব্যাক’ নামক একটি খসড়া নথিতে। এই নথি মূলত ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া আগামী অর্থবছরের জন্য স্টেট ডিপার্টমেন্টের বাজেট সংক্রান্ত একটি প্রতিক্রিয়া দলিল।
এই পরিকল্পনায় স্টেট ডিপার্টমেন্টের সামগ্রিক বাজেট প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের জন্য বরাদ্দ ছিল ৫৪.৪ বিলিয়ন ডলার, আর ২০২৬ অর্থবছরে সেটি কমিয়ে ২৮.৪ বিলিয়ন ডলারে আনার সুপারিশ রাখা হয়েছে।
শুধু জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন নয়, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিদেশি মিশন, জাতিসংঘের অন্যান্য অঙ্গ সংগঠন, এমনকি ন্যাটোর জন্যও অর্থ বরাদ্দ কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে এই ‘পাসব্যাক’ নথিতে।
উল্লেখ্য, এর আগেও ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে কূটনৈতিক ও বৈদেশিক সহায়তা বাজেট এক-তৃতীয়াংশ কমানোর প্রস্তাব করেছিলেন, যদিও কংগ্রেস তা প্রত্যাখ্যান করে। এবারও প্রস্তাবিত বাজেট কার্যকর করতে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন। আইনপ্রণেতারা চাইলে ট্রাম্প প্রশাসনের কাটছাঁট করা অর্থ বরাদ্দ আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে পুনর্বহাল করতে পারেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই তহবিল হ্রাসের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে তা বিশ্বের বিভিন্ন সংকটাপন্ন অঞ্চলে শান্তিরক্ষা প্রচেষ্টাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করতে পারে।