০৫:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
ইবতেদায়ী শিক্ষকদের মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দিলো পুলিশ জুলাই সনদে সাইন করে ভুল করেছেন, এখন কাফফারা দিন: বিএনপিকে নাসীরুদ্দীন ব্রাজিলে মাদকবিরোধী অভিযানে নিহত কমপক্ষে ৬০ জন বিপিএলে দলের নাম ঠিক করে দেবে বিসিবি, করা যাবে না পরিবর্তন যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহত অন্তত ১৮ কেউ এককভাবে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে পারবে না: নাহিদ ইসলাম কেনিয়ায় ছোট যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, ১২ জনের সবাই নিহত হওয়ার আশঙ্কা ইলন মাস্কের নতুন উদ্যোগ — এআই-চালিত “Grokipedia” চালু বিপুল সংখ্যক জামিন দেওয়ায় ৩ বিচারপতির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি নির্বাচনে প্রতি কেন্দ্রে আনসার থাকবে ১৩ জন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

জাপানে জনসংখ্যা হ্রাসের নতুন রেকর্ড

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:৩৩:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / 94

ছবি সংগৃহীত

 

 

জাপানে জনসংখ্যা হ্রাস ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ২০২৪ সালের অক্টোবরে দেশটির জনসংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩ লাখে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৯ লাখ কম। এমন তথ্য প্রকাশ করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বে সর্বনিম্ন জন্মহার নিয়ে আগে থেকেই চাপে থাকা জাপান এ বছর সবচেয়ে বড় জনসংখ্যা হ্রাসের মুখে পড়েছে ১৯৫০ সালের পর থেকে এটাই সর্বোচ্চ রেকর্ড। জনসংখ্যা কমার ফলে দেশটিতে কর্মক্ষম জনশক্তি এবং ভোক্তার সংখ্যা দ্রুত কমে যাচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে ব্যবসা ও অর্থনীতিতে।

জাপানের সরকারি মুখপাত্র চিফ কেবিনেট সেক্রেটারি ইয়োশিমাসা হায়াশি এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, তরুণ দম্পতিরা সন্তান নিতে চাইলেও অর্থনৈতিক সংকট, চাকরির অনিশ্চয়তা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার চাপে তা বাস্তবায়ন করতে পারছেন না।

তিনি বলেন, “আমরা বুঝতে পারছি যে, অনেকেই পরিবার গঠন করতে চায়, কিন্তু বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে তারা থমকে যাচ্ছে। আমাদের দায়িত্ব এমন একটি সমাজ গড়া, যেখানে সবাই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সন্তান নিতে ও বড় করতে পারে।”

সরকার মজুরি বৃদ্ধির পাশাপাশি শিশু লালন-পালনে বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। কিন্তু এতেও পরিস্থিতির উন্নতি তেমন হচ্ছে না।

বর্তমানে বিদেশি নাগরিকসহ জাপানের মোট জনসংখ্যা ১২ কোটি ৩৮ লাখ। টানা ১৪ বছর ধরে এই সংখ্যা ক্রমাগত কমছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তরুণদের মধ্যে বিয়ে ও সন্তান ধারণে আগ্রহ হ্রাস, চাকরির স্থায়ীত্বের অভাব এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার প্রতি ঝোঁক সব মিলিয়ে জন্মহার নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে।

এদিকে কর্মী সংকটে পড়া জাপান শ্রমশক্তির চাহিদা পূরণে বিদেশি কর্মীদের দিকে তাকিয়ে আছে। তবে দেশটির কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে এ উদ্যোগ তেমন সফল হচ্ছে না।

বর্তমানে শুধুমাত্র অস্থায়ী ভিত্তিতে কিছু বিদেশিকে কাজের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি নীতি পরিবর্তন না করা হয় এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়া না হয়, তাহলে জাপানের ভবিষ্যৎ জনসংখ্যা ও অর্থনীতির জন্য তা মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

জাপানে জনসংখ্যা হ্রাসের নতুন রেকর্ড

আপডেট সময় ০৮:৩৩:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

 

 

জাপানে জনসংখ্যা হ্রাস ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ২০২৪ সালের অক্টোবরে দেশটির জনসংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩ লাখে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৯ লাখ কম। এমন তথ্য প্রকাশ করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বে সর্বনিম্ন জন্মহার নিয়ে আগে থেকেই চাপে থাকা জাপান এ বছর সবচেয়ে বড় জনসংখ্যা হ্রাসের মুখে পড়েছে ১৯৫০ সালের পর থেকে এটাই সর্বোচ্চ রেকর্ড। জনসংখ্যা কমার ফলে দেশটিতে কর্মক্ষম জনশক্তি এবং ভোক্তার সংখ্যা দ্রুত কমে যাচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে ব্যবসা ও অর্থনীতিতে।

জাপানের সরকারি মুখপাত্র চিফ কেবিনেট সেক্রেটারি ইয়োশিমাসা হায়াশি এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, তরুণ দম্পতিরা সন্তান নিতে চাইলেও অর্থনৈতিক সংকট, চাকরির অনিশ্চয়তা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার চাপে তা বাস্তবায়ন করতে পারছেন না।

তিনি বলেন, “আমরা বুঝতে পারছি যে, অনেকেই পরিবার গঠন করতে চায়, কিন্তু বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে তারা থমকে যাচ্ছে। আমাদের দায়িত্ব এমন একটি সমাজ গড়া, যেখানে সবাই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সন্তান নিতে ও বড় করতে পারে।”

সরকার মজুরি বৃদ্ধির পাশাপাশি শিশু লালন-পালনে বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। কিন্তু এতেও পরিস্থিতির উন্নতি তেমন হচ্ছে না।

বর্তমানে বিদেশি নাগরিকসহ জাপানের মোট জনসংখ্যা ১২ কোটি ৩৮ লাখ। টানা ১৪ বছর ধরে এই সংখ্যা ক্রমাগত কমছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তরুণদের মধ্যে বিয়ে ও সন্তান ধারণে আগ্রহ হ্রাস, চাকরির স্থায়ীত্বের অভাব এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার প্রতি ঝোঁক সব মিলিয়ে জন্মহার নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে।

এদিকে কর্মী সংকটে পড়া জাপান শ্রমশক্তির চাহিদা পূরণে বিদেশি কর্মীদের দিকে তাকিয়ে আছে। তবে দেশটির কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে এ উদ্যোগ তেমন সফল হচ্ছে না।

বর্তমানে শুধুমাত্র অস্থায়ী ভিত্তিতে কিছু বিদেশিকে কাজের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি নীতি পরিবর্তন না করা হয় এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়া না হয়, তাহলে জাপানের ভবিষ্যৎ জনসংখ্যা ও অর্থনীতির জন্য তা মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।