ঢাকা ১২:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য বৈঠক সোমবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হামলায় বিএনপি নেতার মৃত্যু ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়া থেকে সরে দাঁড়াল ইউরোপের দুই প্রভাবশালী দেশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

ট্রাম্পের শুল্কে তেলের দাম ধস, সংকটে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি খাত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / 36

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতির ঘোষণার পর বিশ্ববাজারে তেলের দামে মারাত্মক পতন দেখা দিয়েছে। অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারের নিচে নেমে গেছে, যা সাম্প্রতিক মাসগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই নতুন শুল্ক আরোপ বৈশ্বিক বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মন্দার আশঙ্কা তীব্র হয়েছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে তেলের দামে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে তেলের মূল্য প্রায় ১৫ শতাংশ কমে যাওয়ায় মার্কিন জ্বালানি খাতে শুরু হয়েছে বিপর্যয়।

বিশেষ করে টেক্সাস, ওকলাহোমা এবং নর্থ ডাকোটার মতো রাজ্যগুলো, যেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান তেল উৎপাদন অঞ্চল, সেখানে বিপুল আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই উৎপাদন কমানোর চিন্তা করছে, পাশাপাশি কর্মী ছাঁটাইয়ের হুমকিও মুখে এসেছে।

শুধু অভ্যন্তরীণ চাপই নয়, ওপেকভুক্ত দেশগুলোর সরবরাহ বাড়ানোর পরিকল্পনাও তেলের বাজারে নতুন চাপ তৈরি করেছে। এর পাশাপাশি, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য উত্তেজনা, শুল্ক বৃদ্ধির কারণে কাঁচামালের খরচ বেড়ে যাওয়া এবং ক্রমবর্ধমান বাজার অনিশ্চয়তা সব মিলিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড় জ্বালানি কোম্পানিগুলো সাময়িকভাবে টিকে থাকলেও ছোট ও মাঝারি আকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর টিকে থাকাই এখন প্রশ্নের মুখে। অনেক প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে স্টক মার্কেটে বড় ধরনের ধস দেখেছে। তেল খাতের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, যার প্রভাব অন্যান্য খাতেও পড়তে শুরু করেছে।

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তেলের চাহিদা স্থিতিশীল থাকলেও, সরবরাহ বেড়ে যাওয়া এবং বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব ভবিষ্যতের বাজারকে আরও অনিশ্চিত করে তুলছে।

বিশ্লেষকদের পরামর্শ, যদি দ্রুত কোনো নীতিগত সমাধান না আসে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি শিল্প দীর্ঘমেয়াদে গভীর সংকটে পড়বে। এমনকি এর প্রভাব পড়তে পারে বৈশ্বিক শক্তি নিরাপত্তা এবং অর্থনীতিতেও।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রাম্পের শুল্কে তেলের দাম ধস, সংকটে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি খাত

আপডেট সময় ১১:০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতির ঘোষণার পর বিশ্ববাজারে তেলের দামে মারাত্মক পতন দেখা দিয়েছে। অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারের নিচে নেমে গেছে, যা সাম্প্রতিক মাসগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই নতুন শুল্ক আরোপ বৈশ্বিক বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মন্দার আশঙ্কা তীব্র হয়েছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে তেলের দামে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে তেলের মূল্য প্রায় ১৫ শতাংশ কমে যাওয়ায় মার্কিন জ্বালানি খাতে শুরু হয়েছে বিপর্যয়।

বিশেষ করে টেক্সাস, ওকলাহোমা এবং নর্থ ডাকোটার মতো রাজ্যগুলো, যেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান তেল উৎপাদন অঞ্চল, সেখানে বিপুল আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই উৎপাদন কমানোর চিন্তা করছে, পাশাপাশি কর্মী ছাঁটাইয়ের হুমকিও মুখে এসেছে।

শুধু অভ্যন্তরীণ চাপই নয়, ওপেকভুক্ত দেশগুলোর সরবরাহ বাড়ানোর পরিকল্পনাও তেলের বাজারে নতুন চাপ তৈরি করেছে। এর পাশাপাশি, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য উত্তেজনা, শুল্ক বৃদ্ধির কারণে কাঁচামালের খরচ বেড়ে যাওয়া এবং ক্রমবর্ধমান বাজার অনিশ্চয়তা সব মিলিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড় জ্বালানি কোম্পানিগুলো সাময়িকভাবে টিকে থাকলেও ছোট ও মাঝারি আকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর টিকে থাকাই এখন প্রশ্নের মুখে। অনেক প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে স্টক মার্কেটে বড় ধরনের ধস দেখেছে। তেল খাতের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, যার প্রভাব অন্যান্য খাতেও পড়তে শুরু করেছে।

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তেলের চাহিদা স্থিতিশীল থাকলেও, সরবরাহ বেড়ে যাওয়া এবং বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব ভবিষ্যতের বাজারকে আরও অনিশ্চিত করে তুলছে।

বিশ্লেষকদের পরামর্শ, যদি দ্রুত কোনো নীতিগত সমাধান না আসে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি শিল্প দীর্ঘমেয়াদে গভীর সংকটে পড়বে। এমনকি এর প্রভাব পড়তে পারে বৈশ্বিক শক্তি নিরাপত্তা এবং অর্থনীতিতেও।