০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প

চীনের সঙ্গে সুদৃঢ় সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ, চাইনিজ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৫৮:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 119

ছবি সংগৃহীত

 

 

বাংলাদেশ চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)-কে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিজিটিএন-কে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এই উদ্যোগ শুধু অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রেই নয়, বরং দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা ও আস্থা বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখছে।

বিজ্ঞাপন

প্রধান উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশে একটি চাইনিজ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এ কেন্দ্র গড়ে উঠলে দুই দেশের মাঝে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে, যা জনস্তরে সম্পর্ক আরও গভীর করতে সহায়ক হবে।

চীনের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে শিল্প কারখানা স্থানান্তরের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এতে কেবল বাংলাদেশই নয়, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য ভূমি পরিবেষ্টিত দেশগুলোরও অর্থনৈতিক উপকার হবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের শিল্পখাতে কর্মসংস্থান ও প্রযুক্তি জ্ঞানের উন্নয়ন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশের গণ্ডি পেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের পথে এগোচ্ছে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, এই রূপান্তরকে সাফল্যমণ্ডিত করতে অভ্যন্তরীণ ঐক্যের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন। শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, “শান্তিই একমাত্র পথ যুদ্ধ কখনো সমাধান হতে পারে না।”

চীন সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীর ও ফলপ্রসূ করবে। বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ৫০ বছরের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আজ আরও দৃঢ় হয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, চীন তার জনগণের স্বার্থ রক্ষা করেই বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় পাশে থাকবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ থেকে ২৯ মার্চ চীনের হাইনান প্রদেশে অনুষ্ঠিত বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (BFA) ২০২৫-এর বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নেন ড. ইউনূস। সেখান থেকে তিনি বেইজিং সফরে যান, যা প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম সফর।

নিউজটি শেয়ার করুন

চীনের সঙ্গে সুদৃঢ় সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ, চাইনিজ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

আপডেট সময় ১২:৫৮:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫

 

 

বাংলাদেশ চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)-কে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিজিটিএন-কে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এই উদ্যোগ শুধু অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রেই নয়, বরং দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা ও আস্থা বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখছে।

বিজ্ঞাপন

প্রধান উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশে একটি চাইনিজ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এ কেন্দ্র গড়ে উঠলে দুই দেশের মাঝে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে, যা জনস্তরে সম্পর্ক আরও গভীর করতে সহায়ক হবে।

চীনের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে শিল্প কারখানা স্থানান্তরের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এতে কেবল বাংলাদেশই নয়, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য ভূমি পরিবেষ্টিত দেশগুলোরও অর্থনৈতিক উপকার হবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের শিল্পখাতে কর্মসংস্থান ও প্রযুক্তি জ্ঞানের উন্নয়ন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশের গণ্ডি পেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের পথে এগোচ্ছে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, এই রূপান্তরকে সাফল্যমণ্ডিত করতে অভ্যন্তরীণ ঐক্যের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন। শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, “শান্তিই একমাত্র পথ যুদ্ধ কখনো সমাধান হতে পারে না।”

চীন সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীর ও ফলপ্রসূ করবে। বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ৫০ বছরের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আজ আরও দৃঢ় হয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, চীন তার জনগণের স্বার্থ রক্ষা করেই বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় পাশে থাকবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ থেকে ২৯ মার্চ চীনের হাইনান প্রদেশে অনুষ্ঠিত বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (BFA) ২০২৫-এর বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নেন ড. ইউনূস। সেখান থেকে তিনি বেইজিং সফরে যান, যা প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম সফর।