ঢাকা ০২:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য বৈঠক সোমবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হামলায় বিএনপি নেতার মৃত্যু ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়া থেকে সরে দাঁড়াল ইউরোপের দুই প্রভাবশালী দেশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

চার বছর পর মোবাইল অপারেটরদের হাতে আবারো নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ, কমবে ব্যয়, বাড়বে সেবার মান

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৪৬:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 22

ছবি সংগৃহীত

 

 

চার বছর পর দেশে মোবাইল অপারেটররা আবারো পাচ্ছে নিজস্ব নেটওয়ার্ক মনিটরিংয়ের নিয়ন্ত্রণ। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ডেনস ওয়েভ লেংথ ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং (ডিডব্লিউডিএম) মেশিন আমদানি ও ফাইবার নেটওয়ার্কে স্থাপনের অনুমতি দিচ্ছে অপারেটরদের। খুব শিগগিরই এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি হতে যাচ্ছে

এই সিদ্ধান্ত মোবাইল সেবাদাতাদের জন্য যেমন স্বস্তির, তেমনি বাড়াবে সরকারি আয়ও। কারণ, আগে যে সরকারি ফাইবার নেটওয়ার্ক অকার্যকর অবস্থায় পড়ে ছিল, তা এখন কম খরচে ব্যবহার করতে পারবে অপারেটররা। ফলে পুরোনো প্রায় ৮৬ হাজার কিলোমিটার ফাইবার নেটওয়ার্ক নতুনভাবে কার্যকর হবে।

ডিডব্লিউডিএম প্রযুক্তির সাহায্যে ফোরজি সেবার গতি ও স্থায়িত্ব যেমন নিশ্চিত করা সম্ভব, তেমনি মুহূর্তেই ফাইবার বিচ্ছিন্নতার স্থানও শনাক্ত করা যায়। ২০১২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এই প্রযুক্তি ব্যবহারে মোবাইল অপারেটরদের অনুমতি থাকলেও, ২০২১ সালে তা কেড়ে নেয়া হয় এবং দায়িত্ব দেয়া হয় ফাইবার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে।

ফলে বেড়ে যায় ব্যয় যেখানে আগে প্রতিমিটার ফাইবার ভাড়া ছিল ৫ থেকে ৭ টাকা, সেখানে এখন বেসরকারি সেবাদাতাদের কাছ থেকে তা নিতে হচ্ছে প্রায় ১৭ টাকায়। এতে ৪৫ হাজার মোবাইল টাওয়ারের মধ্যে মাত্র ৩৫ শতাংশ ফাইবার সংযুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে মোবাইল অপারেটররা আবারো নিয়ন্ত্রণ ফেরত চেয়ে আবেদন করে এবং সরকারের পক্ষ থেকে নীতিগত সম্মতি আসে। যদিও ফাইবার সেবাদাতারা এতে আপত্তি জানায়, তবে তা আমলে নেয়নি বিটিআরসি। কমিশনের ২৯৩তম সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমতি প্রদান করা হয় অপারেটরদের।

এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে রবি ও গ্রামীণফোনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। তাঁদের মতে, এতে ব্যয় কমবে, দ্রুত ফাইবারাইজেশনচার বছর পর সম্ভব হবে এবং গ্রাহকরা পাবেন উন্নত গতি ও নিরবিচ্ছিন্ন সেবা।

পাশাপাশি, বিটিসিএল, রেলওয়ের মতো সরকারি সংস্থাগুলোকেও নতুনভাবে ফাইবার নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের সুযোগ দেয়া হচ্ছে যা দেশের ডিজিটাল সংযুক্তি আরও শক্তিশালী করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

চার বছর পর মোবাইল অপারেটরদের হাতে আবারো নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ, কমবে ব্যয়, বাড়বে সেবার মান

আপডেট সময় ১২:৪৬:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫

 

 

চার বছর পর দেশে মোবাইল অপারেটররা আবারো পাচ্ছে নিজস্ব নেটওয়ার্ক মনিটরিংয়ের নিয়ন্ত্রণ। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ডেনস ওয়েভ লেংথ ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং (ডিডব্লিউডিএম) মেশিন আমদানি ও ফাইবার নেটওয়ার্কে স্থাপনের অনুমতি দিচ্ছে অপারেটরদের। খুব শিগগিরই এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি হতে যাচ্ছে

এই সিদ্ধান্ত মোবাইল সেবাদাতাদের জন্য যেমন স্বস্তির, তেমনি বাড়াবে সরকারি আয়ও। কারণ, আগে যে সরকারি ফাইবার নেটওয়ার্ক অকার্যকর অবস্থায় পড়ে ছিল, তা এখন কম খরচে ব্যবহার করতে পারবে অপারেটররা। ফলে পুরোনো প্রায় ৮৬ হাজার কিলোমিটার ফাইবার নেটওয়ার্ক নতুনভাবে কার্যকর হবে।

ডিডব্লিউডিএম প্রযুক্তির সাহায্যে ফোরজি সেবার গতি ও স্থায়িত্ব যেমন নিশ্চিত করা সম্ভব, তেমনি মুহূর্তেই ফাইবার বিচ্ছিন্নতার স্থানও শনাক্ত করা যায়। ২০১২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এই প্রযুক্তি ব্যবহারে মোবাইল অপারেটরদের অনুমতি থাকলেও, ২০২১ সালে তা কেড়ে নেয়া হয় এবং দায়িত্ব দেয়া হয় ফাইবার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে।

ফলে বেড়ে যায় ব্যয় যেখানে আগে প্রতিমিটার ফাইবার ভাড়া ছিল ৫ থেকে ৭ টাকা, সেখানে এখন বেসরকারি সেবাদাতাদের কাছ থেকে তা নিতে হচ্ছে প্রায় ১৭ টাকায়। এতে ৪৫ হাজার মোবাইল টাওয়ারের মধ্যে মাত্র ৩৫ শতাংশ ফাইবার সংযুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে মোবাইল অপারেটররা আবারো নিয়ন্ত্রণ ফেরত চেয়ে আবেদন করে এবং সরকারের পক্ষ থেকে নীতিগত সম্মতি আসে। যদিও ফাইবার সেবাদাতারা এতে আপত্তি জানায়, তবে তা আমলে নেয়নি বিটিআরসি। কমিশনের ২৯৩তম সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমতি প্রদান করা হয় অপারেটরদের।

এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে রবি ও গ্রামীণফোনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। তাঁদের মতে, এতে ব্যয় কমবে, দ্রুত ফাইবারাইজেশনচার বছর পর সম্ভব হবে এবং গ্রাহকরা পাবেন উন্নত গতি ও নিরবিচ্ছিন্ন সেবা।

পাশাপাশি, বিটিসিএল, রেলওয়ের মতো সরকারি সংস্থাগুলোকেও নতুনভাবে ফাইবার নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের সুযোগ দেয়া হচ্ছে যা দেশের ডিজিটাল সংযুক্তি আরও শক্তিশালী করবে।