ঢাকা ০৮:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান ও তার স্ত্রীর স্থাবর সম্পদ জব্দ, ৫৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি দপ্তরে পার্টটাইম চাকরির উদ্যোগ ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে শান্তি বজায় থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নোয়াখালীতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যাওয়া এক বিধবাকে গণধর্ষণ লক্ষ্মীপুরে ছেলের হাতে বৃদ্ধ পিতা খুন, ছেলে আটক পাকিস্তান-চীন উদ্যোগে নতুন আঞ্চলিক জোট গঠনের ইঙ্গিত, রয়েছে বাংলাদেশও শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার যথাসময়ে শেষ হবে: চিফ প্রসিকিউটর এখন সবাই সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করুন, আন্দোলন যা হওয়ার হয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা তুরস্কে ভয়াবহ দাবানলের তাণ্ডব, হুমকির মুখে ঘরবাড়ি-শিল্পাঞ্চল নতুন নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় চীন: মির্জা ফখরুল

মহেশপুর সীমান্তে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ১৩ বাংলাদেশি আটক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:৫৯:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • / 10

ছবি সংগৃহীত

 

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টাকালে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ১৩ জন বাংলাদেশিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে বিজিবি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৫৮ বিজিবির অধীনস্থ পলিয়ানপুর, কুসুমপুর ও খোসালপুর বিওপির টহল দল সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জন পুরুষ, চারজন নারী এবং তিনজন শিশু রয়েছে। তারা সবাই যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

বিজিবি জানায়, এরা কেউ বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করছিলেন, আবার কেউ ভারত থেকে ফিরছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, কাজের সন্ধানে এবং দালালের খপ্পরে পড়ে তারা এ পথে পাড়ি জমাতে চেষ্টা করছিলেন।

এছাড়া, একই দিনে পৃথক অভিযানে বেনীপুর বিওপি এলাকার একটি মাদকবিরোধী অভিযানে ৭০০ গ্রাম গাঁজাসহ কাশেদ আলী (২৫) নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। তিনি চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হরিহরনগর গ্রামের বাসিন্দা এবং কামাল হোসেনের ছেলে।

অন্যদিকে যাদবপুর বিওপির টহল দল সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯৪ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করে।

মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, “আটকদের মধ্যে দুইজনকে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। বাকি সবাইকে প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আদালতে সোপর্দ করা হবে।”

বিজিবির এক কর্মকর্তা জানান, সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নিয়মিত টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। জনগণকে এসব ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ পথে যাতায়াত না করার অনুরোধ জানিয়েছে বিজিবি।

সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষায় বিজিবির এমন তৎপরতা প্রশংসিত হচ্ছে। তবে সীমান্ত এলাকাগুলোতে দালাল চক্রের তৎপরতা বন্ধে আরও কঠোর নজরদারির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

নিউজটি শেয়ার করুন

মহেশপুর সীমান্তে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ১৩ বাংলাদেশি আটক

আপডেট সময় ০৯:৫৯:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

 

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টাকালে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ১৩ জন বাংলাদেশিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে বিজিবি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৫৮ বিজিবির অধীনস্থ পলিয়ানপুর, কুসুমপুর ও খোসালপুর বিওপির টহল দল সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জন পুরুষ, চারজন নারী এবং তিনজন শিশু রয়েছে। তারা সবাই যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

বিজিবি জানায়, এরা কেউ বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করছিলেন, আবার কেউ ভারত থেকে ফিরছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, কাজের সন্ধানে এবং দালালের খপ্পরে পড়ে তারা এ পথে পাড়ি জমাতে চেষ্টা করছিলেন।

এছাড়া, একই দিনে পৃথক অভিযানে বেনীপুর বিওপি এলাকার একটি মাদকবিরোধী অভিযানে ৭০০ গ্রাম গাঁজাসহ কাশেদ আলী (২৫) নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। তিনি চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হরিহরনগর গ্রামের বাসিন্দা এবং কামাল হোসেনের ছেলে।

অন্যদিকে যাদবপুর বিওপির টহল দল সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯৪ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করে।

মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, “আটকদের মধ্যে দুইজনকে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। বাকি সবাইকে প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আদালতে সোপর্দ করা হবে।”

বিজিবির এক কর্মকর্তা জানান, সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নিয়মিত টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। জনগণকে এসব ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ পথে যাতায়াত না করার অনুরোধ জানিয়েছে বিজিবি।

সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষায় বিজিবির এমন তৎপরতা প্রশংসিত হচ্ছে। তবে সীমান্ত এলাকাগুলোতে দালাল চক্রের তৎপরতা বন্ধে আরও কঠোর নজরদারির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।