ঢাকা ০১:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ফেনী সীমান্তে বিএসএফ-এর পুশইন, ৬ পরিবারের ২৭ জন আটক ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সন্ত্রাসী হামলা, আহত একাধিক সাংবাদিক ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা বহাল, শপথে আর বাধা নেই: হাইকোর্টে রিট খারিজ সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ বাতিল, নতুন অধ্যাদেশ জারি করল সরকার আঞ্চলিক বাণিজ্যে গতি আনতে চীন–পাকিস্তান করিডরে যুক্ত আফগানিস্তান সাম্য হত্যার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার শাহবাগে সকাল-সন্ধ্যা ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৯৩, আহত শতাধিক আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস আজ: বন উজাড়ে হুমকিতে প্রকৃতি ও প্রাণবৈচিত্র্য ভৈরবে বাদাম চাষে বিপ্লব, লাভজনক ফসলের দিকে ঝুঁকছেন কৃষকরা ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি দূতাবাসের দুই কর্মকর্তা নিহত, সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা

লালমনিরহাট সীমান্তে ফের পুশ-ইন: শিশু ও নারীসহ ১১ জন আটক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:০৭:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • / 5

ছবি সংগৃহীত

 

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ফের পুশ-ইনের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২১ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গাটিয়ারভিটা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও দেশটির পুলিশ শিশুসহ কয়েকজন নারীকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গাটিয়ারভিটা সীমান্ত দিয়ে পুশ-ইন হয়ে আসা ১১ জনকে আটক করে বিজিবির ধবলসতি ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে ৪ শিশু এবং ৭ জন নারী।

ধবলসতি বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার আব্দুল মতিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পুশ-ইন হওয়া ব্যক্তিদের বুধবার রাতেই সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করা হয়। ভারতীয় সীমানার কাঁটাতারের ফটক খুলে বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশ পরিকল্পিতভাবে তাদের বাংলাদেশে প্রবেশ করিয়ে দেয়।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুশ-ইন হওয়ার পর ওই ১১ জন গাটিয়ারভিটা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে হেঁটে পাটগ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন। তারা নতুন বাজার এলাকায় পৌঁছালে বাজারের লোকজন তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে করেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা স্বীকার করেন যে, ভারত থেকে পাঠানো হয়েছে তাদের। এ সময় কয়েকজন পালিয়ে গেলেও ১১ জনকে আটক করে বিজিবির হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের দাবি, শুধু ১১ জন নয়, বুধবার রাতেই অন্তত দুই দফায় ৫০ জনের মতো বাংলাদেশে পুশ-ইন করা হয়েছে। তবে গ্রেপ্তারের ভয়ে অনেকে আত্মগোপনে চলে গেছেন।

বিষয়টি নিয়ে এখনো ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সীমান্ত এলাকায় এমন অনুপ্রবেশের ঘটনা মানবিক ও কূটনৈতিক দিক থেকে উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

উল্লেখ্য, এর আগেও বিভিন্ন সময় ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশ-ইনের অভিযোগ উঠেছে। এতে সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা ও মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

লালমনিরহাট সীমান্তে ফের পুশ-ইন: শিশু ও নারীসহ ১১ জন আটক

আপডেট সময় ১০:০৭:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

 

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ফের পুশ-ইনের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২১ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার গাটিয়ারভিটা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও দেশটির পুলিশ শিশুসহ কয়েকজন নারীকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গাটিয়ারভিটা সীমান্ত দিয়ে পুশ-ইন হয়ে আসা ১১ জনকে আটক করে বিজিবির ধবলসতি ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে ৪ শিশু এবং ৭ জন নারী।

ধবলসতি বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার আব্দুল মতিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পুশ-ইন হওয়া ব্যক্তিদের বুধবার রাতেই সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করা হয়। ভারতীয় সীমানার কাঁটাতারের ফটক খুলে বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশ পরিকল্পিতভাবে তাদের বাংলাদেশে প্রবেশ করিয়ে দেয়।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুশ-ইন হওয়ার পর ওই ১১ জন গাটিয়ারভিটা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে হেঁটে পাটগ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন। তারা নতুন বাজার এলাকায় পৌঁছালে বাজারের লোকজন তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে করেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা স্বীকার করেন যে, ভারত থেকে পাঠানো হয়েছে তাদের। এ সময় কয়েকজন পালিয়ে গেলেও ১১ জনকে আটক করে বিজিবির হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের দাবি, শুধু ১১ জন নয়, বুধবার রাতেই অন্তত দুই দফায় ৫০ জনের মতো বাংলাদেশে পুশ-ইন করা হয়েছে। তবে গ্রেপ্তারের ভয়ে অনেকে আত্মগোপনে চলে গেছেন।

বিষয়টি নিয়ে এখনো ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সীমান্ত এলাকায় এমন অনুপ্রবেশের ঘটনা মানবিক ও কূটনৈতিক দিক থেকে উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

উল্লেখ্য, এর আগেও বিভিন্ন সময় ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশ-ইনের অভিযোগ উঠেছে। এতে সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা ও মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে।