ঢাকা ০২:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

ঈদ উপলক্ষে ছুটির আট দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৩২ জন: বিআরটিএ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:২৬:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 44

ছবি সংগৃহীত

 

 

ঈদের খুশির ছুটিতে সড়কে ঝরেছে শতাধিক প্রাণ। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)-এর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ঈদুল ফিতরের ছুটির আট দিনে (২৮ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৩২ জন। আহত হয়েছেন আরও ২০৮ জন।

বিআরটিএর তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে রাজধানী ঢাকা বিভাগে। এখানে মোট ২৭টি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৩২ জন। মৃত্যুর সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ, যেখানে ৩১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। খুলনায় ২৩, রাজশাহীতে ১৪, রংপুরে ১১ এবং ময়মনসিংহে ১০ জন নিহত হন। তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে কম প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে সিলেট ও বরিশাল বিভাগে যেখানে যথাক্রমে ৫ ও ৬ জন মারা গেছেন।

ঈদের দিনটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। ৩১ মার্চ, ঈদের দিনেই সারা দেশে ঘটে ১৮টি দুর্ঘটনা, যেখানে মারা যান ২৪ জন। এর পরদিন ১ এপ্রিল নিহত হন ১৯ জন, এবং ২ এপ্রিল প্রাণ হারান ২২ জন।

২ এপ্রিল ঘটে যাওয়া একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর দেশজুড়ে শোকের ছায়া ফেলেছে। রাজধানীর মিরপুরের রফিকুল ইসলাম ও লুৎফুন নাহার তাঁদের তিন কন্যা এবং এক ভাগনিকে নিয়ে কক্সবাজার ঘুরতে যাচ্ছিলেন মাইক্রোবাসে।

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা যান চারজন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় বাকি দুজনেরও। মাত্র একদিনেই একটি পরিবার হারাল ছয় সদস্যকে।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া ৯ দিনের দীর্ঘ ছুটি শেষ হয় ৫ এপ্রিল। প্রতি বছর ঈদের ছুটিতে সড়কে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে, তবে এবার তা যেন মাত্রাতিরিক্ত রূপ নিয়েছে।

এই ভয়াবহ পরিসংখ্যান আমাদের আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় দেশের সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা। ঈদের আনন্দময় ভ্রমণ যেন শোকবার্তায় পরিণত না হয় এ জন্য এখনই প্রয়োজন কঠোর পদক্ষেপ, সচেতনতা এবং কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঈদ উপলক্ষে ছুটির আট দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৩২ জন: বিআরটিএ

আপডেট সময় ০১:২৬:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫

 

 

ঈদের খুশির ছুটিতে সড়কে ঝরেছে শতাধিক প্রাণ। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)-এর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ঈদুল ফিতরের ছুটির আট দিনে (২৮ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৩২ জন। আহত হয়েছেন আরও ২০৮ জন।

বিআরটিএর তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে রাজধানী ঢাকা বিভাগে। এখানে মোট ২৭টি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৩২ জন। মৃত্যুর সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ, যেখানে ৩১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। খুলনায় ২৩, রাজশাহীতে ১৪, রংপুরে ১১ এবং ময়মনসিংহে ১০ জন নিহত হন। তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে কম প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে সিলেট ও বরিশাল বিভাগে যেখানে যথাক্রমে ৫ ও ৬ জন মারা গেছেন।

ঈদের দিনটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। ৩১ মার্চ, ঈদের দিনেই সারা দেশে ঘটে ১৮টি দুর্ঘটনা, যেখানে মারা যান ২৪ জন। এর পরদিন ১ এপ্রিল নিহত হন ১৯ জন, এবং ২ এপ্রিল প্রাণ হারান ২২ জন।

২ এপ্রিল ঘটে যাওয়া একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর দেশজুড়ে শোকের ছায়া ফেলেছে। রাজধানীর মিরপুরের রফিকুল ইসলাম ও লুৎফুন নাহার তাঁদের তিন কন্যা এবং এক ভাগনিকে নিয়ে কক্সবাজার ঘুরতে যাচ্ছিলেন মাইক্রোবাসে।

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা যান চারজন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় বাকি দুজনেরও। মাত্র একদিনেই একটি পরিবার হারাল ছয় সদস্যকে।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া ৯ দিনের দীর্ঘ ছুটি শেষ হয় ৫ এপ্রিল। প্রতি বছর ঈদের ছুটিতে সড়কে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে, তবে এবার তা যেন মাত্রাতিরিক্ত রূপ নিয়েছে।

এই ভয়াবহ পরিসংখ্যান আমাদের আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় দেশের সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা। ঈদের আনন্দময় ভ্রমণ যেন শোকবার্তায় পরিণত না হয় এ জন্য এখনই প্রয়োজন কঠোর পদক্ষেপ, সচেতনতা এবং কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা।