চার আসন ফেরাতে বাগেরহাটে আন্দোলন, নির্বাচন অফিস ঘেরাও কর্মসূচি

- আপডেট সময় ০৩:৫৭:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / 17
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে জেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা। দাবি আদায়ে ইতোমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে দুটি রিট পিটিশনও দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে কমিটির নেতাকর্মীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে প্রধান গেট ঘিরে ফেলেন। এ সময় কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অফিসে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি।
চার আসন ফেরাতে বাগেরহাট প্রেসক্লাব ও জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মাদ জাকির হোসেন একটি রিট দাখিল করেন। আরেকটি রিট করেন চিতলমারি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুজিবর রহমান শামীমের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আক্তার রসুল। এসব রিটে সরকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে বিবাদী করা হয়েছে।
সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতারা জানান, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা উপলক্ষে হরতালের কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলেও নির্বাচন অফিস ঘেরাও অব্যাহত থাকবে। আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথেও আন্দোলন চলবে।
কমিটির কো-কনভেনর ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, “দুর্গোৎসব ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থ বিবেচনা করে আমরা হরতাল প্রত্যাহার করেছি। তবে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নির্বাচন অফিস ঘেরাও কর্মসূচি চলবে। বুধবারও একইভাবে অফিস ঘেরাও করা হবে।”
জামায়াতে ইসলামীর জেলা শাখার সেক্রেটারি ও কমিটির সদস্য সচিব শেখ মোহাম্মাদ ইউনুস বলেন, “দুটি রিট ইতোমধ্যেই দাখিল হয়েছে, আরও করার প্রস্তুতি চলছে। আমরা আদালতে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করি।”
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি বাদ দিয়ে তিনটি আসন রাখার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই স্থানীয়রা আন্দোলন শুরু করেন। শুনানিতেও তারা চার আসন বহালের দাবি জানান। কিন্তু ৪ সেপ্টেম্বর কমিশন চূড়ান্ত গেজেটে সীমানা পরিবর্তন করলেও তিনটি আসন বহাল রাখে। এ সিদ্ধান্তকে গণদাবি উপেক্ষা বলে উল্লেখ করেছেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতারা।