ঈদযাত্রায় ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির

- আপডেট সময় ০৩:১০:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
- / 4
ঈদযাত্রায় যাত্রী দুর্ভোগ, দুর্ঘটনা ও যানজট রোধে মেয়াদোত্তীর্ণ, লক্কড়-ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধের দাবি জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
সোমবার (২ জুন) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ জকরিয়া ও মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতি বছর ঈদ উপলক্ষে ফিটনেসবিহীন বাস, ট্রাক, লেগুনা, টেম্পু, মাইক্রোবাস, কার, নছিমন-করিমন ও সিটি সার্ভিসের বাস-মিনিবাস দূরপাল্লার বহরে যাত্রী পরিবহনে নামে। মেয়াদোত্তীর্ণ এসব যানবাহন দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়। একইভাবে, রেলপথেও পুরনো কোচ, ইঞ্জিন ও অবকাঠামোগত দুর্বলতার কারণে বারবার দুর্ঘটনা ও লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটছে, যা প্রাণহানি ও যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে। নৌপথেও মেয়াদোত্তীর্ণ ও আনফিট নৌযান নিরাপত্তাহীনতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সংগঠনটি জানায়, বর্তমানে দেশে প্রায় ৫ লক্ষাধিক যানবাহনের কোনো ফিটনেস নেই। প্রতিদিন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচল করে প্রায় ৫ লাখ ইজিবাইক, ৬০ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৭ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা, ১ লাখ নছিমন-করিমন এবং ২০ লাখ মোটরসাইকেল। এসব যানবাহনের অগোছালো চলাচল যানজট সৃষ্টি করছে এবং দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়াচ্ছে। ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত পশুবাহী ট্রাক এবং হাট বসানোর কারণে মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের গতি আরও কমে যায়।
বিবৃতিতে এসব অননুমোদিত ও ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন দ্রুত জাতীয় মহাসড়ক থেকে সরানোর দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে সড়ক-মহাসড়কের প্রতিটি ইঞ্চিকে বেদখলমুক্ত করে যান চলাচলে বাধাহীনতা নিশ্চিত করতে বিআরটিএ, পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মত দেয় সংগঠনটি।
এছাড়া, বিবৃতিতে ঝুঁকিপূর্ণ নৌযানগুলোর চলাচল বন্ধ করা, নৌযানে লোডলাইন অনুযায়ী অতিরিক্ত যাত্রীবহন নিষিদ্ধ করা এবং সব টার্মিনালে যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত বসার জায়গা, নিরাপদ শৌচাগার ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়।
সংগঠনটি আরও বলেছে, ঈদের সময় ছিনতাই, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ও টানাপাটির তৎপরতা বেড়ে যায়। এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
সবশেষে, ঈদযাত্রাকে নিরাপদ, স্বস্তিদায়ক ও দুর্ঘটনামুক্ত করতে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে জরুরি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানায় যাত্রী কল্যাণ সমিতি।