নির্বাচনে সুষ্ঠুতা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর: উপ-প্রেস সচিব

- আপডেট সময় ০৫:২৪:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
- / 4
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, “আগের তিনটি নির্বাচন ছিল প্রকৃত অর্থে নির্বাচন নয়। সেগুলোতে জনগণের অংশগ্রহণ ছিল না, তবে সে বিষয়ে আমরা এখন চিন্তিত নই। আগামীর নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয়, তা নিশ্চিত করা হবে।”
শনিবার (১২ জুলাই) সকালে রাজশাহীতে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় গণমাধ্যমকর্মীরা নির্বাচনী পরিবেশে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করার দাবি জানান।
সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র অ্যাসিসট্যান্ট প্রেস সেক্রেটারি ফয়েজ আহম্মদ, অ্যাসিসট্যান্ট প্রেস সেক্রেটারি শুচিস্মিতা, রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মো. তৌহিদুজ্জামান এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, “আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে যেকোনো মূল্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটানো হবে। প্রায় ৪৭ হাজার ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন হবে, সব কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন সম্ভব না হলেও প্রতিটি কেন্দ্রে আনসার সদস্য রাখা হবে।”
গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও বলেন, “সরকার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কোনো পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থান নেয় না। কেউ যেন রাজনৈতিক হয়রানির শিকার না হন, প্রশাসন তা নিশ্চিত করবে। সাংবাদিকরা যেকোনো অনিয়ম চোখে পড়লে নির্ভয়ে রিপোর্ট করবেন।”
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহকারী মহাসচিব ড. সাদিকুল ইসলাম স্বপন বলেন, “গত ১৫ বছরে ৬১ জন সাংবাদিককে হারিয়েছি। গণআন্দোলনেও প্রাণ হারিয়েছেন ৬ জন। এখনো সাগর-রুনির হত্যার বিচার হয়নি। মিডিয়ায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রয়োজন। মফস্বলের সাংবাদিকদের নির্দিষ্ট বিট না থাকলেও তারা সব ক্ষেত্রেই কাজ করেন, কিন্তু সে অনুপাতে তাদের মূল্যায়ন করা হয় না।”
গ্লোবাল প্রেস ফ্রিডম সূচকে দেশের পিছিয়ে পড়া প্রসঙ্গে উপ-প্রেস সচিব বলেন, “গত এক বছরে ১৬ ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। সাংবাদিক হয়রানির অভিযোগে বহুল আলোচিত ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করা হয়েছে। নতুন করে আনা সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টও প্রত্যাহার করা হয়েছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে থাকা হয়রানিমূলক মামলাগুলোও তুলে নেওয়া হয়েছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে ২-১টি ইতোমধ্যে আবার প্রকাশনা শুরু করেছে।”
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, “মিডিয়ার স্বাধীনতা রক্ষা এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”