ঢাকা ১২:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণের ৭ নদীতে পানি বিপদসীমার ওপরে, তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৫৪:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
  • / 2

ছবি সংগৃহীত

 

 

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে টানা ভারি বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধিতে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরিশাল জলানুসন্ধান বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম জানান, বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর ১৯টি পয়েন্টে পানি পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে সাতটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ঝালকাঠির বিশখালী নদীতে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার, বরগুনার বেতাগী পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার, ভোলার দৌলতখানে সুরমা-মেঘনা নদীতে ৪৬ সেন্টিমিটার, তজুমুদ্দিনে ১০২ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে পায়রা নদীতে ৩ সেন্টিমিটার, পিরোজপুরের উমেদপুরে কচা নদীতে ১৩ সেন্টিমিটার এবং বলেশ্বরে ২৯ সেন্টিমিটার পানি বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে।

তিনি বলেন, “বিভিন্ন লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। পানি কমতে শুরু করলে নদীতীরবর্তী এলাকাগুলোতে ভাঙন দেখা দিতে পারে।”

এছাড়া আরও ১২টি পয়েন্টে পানি এখনও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও টানা বৃষ্টির কারণে পানি বাড়ছে। এর মধ্যে রয়েছে বরিশালের কীর্তনখোলা, তেঁতুলিয়া, পায়রা, লোহালিয়া, টরকি, বাবুগঞ্জ ও পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি নদীসহ বেশ কয়েকটি নদী।

নিম্নচাপ ও লাগাতার বৃষ্টিতে বরিশালের হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ, মুলাদী, বাকেরগঞ্জ, পটুয়াখালীর কলাপাড়া, গলাচিপা, দশমিনা, বাউফল, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, নাজিরপুর, ভান্ডারিয়া এবং বরগুনার আমতলী, তালতলী, পাথরঘাটা, ভোলার চরফ্যাশন, দৌলতখান ও তজুমুদ্দিনের বহু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় রাস্তা-ঘাট পানির নিচে চলে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

নদ-নদীর উত্তাল অবস্থার কারণে বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল অফিস থেকে সকল ধরনের লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

এদিকে বরিশাল আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ বশির আহমেদ জানিয়েছেন, “সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং এটি ধীরে ধীরে দুর্বল হচ্ছে। ভারি বৃষ্টির পরিমাণ কমে আসবে বলে আশা করছি।”

পানি উন্নয়ন বোর্ড ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, পরিস্থিতি এখনও সতর্ক পর্যায়ে থাকলেও আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসের মাত্রা কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

দক্ষিণের ৭ নদীতে পানি বিপদসীমার ওপরে, তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চল

আপডেট সময় ০৭:৫৪:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

 

 

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে টানা ভারি বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধিতে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরিশাল জলানুসন্ধান বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম জানান, বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর ১৯টি পয়েন্টে পানি পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে সাতটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ঝালকাঠির বিশখালী নদীতে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার, বরগুনার বেতাগী পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার, ভোলার দৌলতখানে সুরমা-মেঘনা নদীতে ৪৬ সেন্টিমিটার, তজুমুদ্দিনে ১০২ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে পায়রা নদীতে ৩ সেন্টিমিটার, পিরোজপুরের উমেদপুরে কচা নদীতে ১৩ সেন্টিমিটার এবং বলেশ্বরে ২৯ সেন্টিমিটার পানি বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে।

তিনি বলেন, “বিভিন্ন লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। পানি কমতে শুরু করলে নদীতীরবর্তী এলাকাগুলোতে ভাঙন দেখা দিতে পারে।”

এছাড়া আরও ১২টি পয়েন্টে পানি এখনও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও টানা বৃষ্টির কারণে পানি বাড়ছে। এর মধ্যে রয়েছে বরিশালের কীর্তনখোলা, তেঁতুলিয়া, পায়রা, লোহালিয়া, টরকি, বাবুগঞ্জ ও পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি নদীসহ বেশ কয়েকটি নদী।

নিম্নচাপ ও লাগাতার বৃষ্টিতে বরিশালের হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ, মুলাদী, বাকেরগঞ্জ, পটুয়াখালীর কলাপাড়া, গলাচিপা, দশমিনা, বাউফল, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, নাজিরপুর, ভান্ডারিয়া এবং বরগুনার আমতলী, তালতলী, পাথরঘাটা, ভোলার চরফ্যাশন, দৌলতখান ও তজুমুদ্দিনের বহু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় রাস্তা-ঘাট পানির নিচে চলে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

নদ-নদীর উত্তাল অবস্থার কারণে বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল অফিস থেকে সকল ধরনের লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

এদিকে বরিশাল আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ বশির আহমেদ জানিয়েছেন, “সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং এটি ধীরে ধীরে দুর্বল হচ্ছে। ভারি বৃষ্টির পরিমাণ কমে আসবে বলে আশা করছি।”

পানি উন্নয়ন বোর্ড ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, পরিস্থিতি এখনও সতর্ক পর্যায়ে থাকলেও আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসের মাত্রা কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।