‘উপদেষ্টা আমাকে পদত্যাগ করতে বলেননি, বলেছেন, আর ‘কন্টিনিউ’ করাতে চান না’: বিসিবি সভাপতি

- আপডেট সময় ০১:০০:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
- / 9
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নেতৃত্বে পরিবর্তনের গুঞ্জন দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। এবার তা বাস্তব রূপ নেওয়ার পথে। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে সরকারের আগ্রহের বিষয়টি কার্যত স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বুধবার রাতে তাঁকে ডেকে এই বার্তাই দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
যদিও সরাসরি পদত্যাগের কথা বলা হয়নি, তবে পরোক্ষ ইঙ্গিত ছিল স্পষ্ট। গত বছরের ২১ আগস্ট নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সভাপতি নির্বাচিত হওয়া ফারুক বলেন, “উপদেষ্টা আমাকে পদত্যাগ করতে বলেননি। শুধু বলেছেন, তাঁরা আমাকে আর ‘কন্টিনিউ’ করাতে চান না।” এই পরিস্থিতিতে তাঁর পরবর্তী সিদ্ধান্ত কী হতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “এখনই কিছু বলতে চাচ্ছি না। দেখা যাক কী হয়।”
কিন্তু সরকারের এমন হস্তক্ষেপ বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অশনিসংকেত হয়ে উঠতে পারে। কারণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) বরাবরই ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এই বিষয়ে তাঁদের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা সকলেরই জানা। অতীতে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে সরকারি প্রভাবের কারণে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছিল, যেটি এখনও অনেকের স্মৃতিতে টাটকা।
ফারুক আহমেদকে জোর করে সরিয়ে দেওয়া হলে বাংলাদেশও একই পরিণতির শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর যদি ফারুক নিজেই পদত্যাগ করেন, তবুও সেই সিদ্ধান্ত যে প্রকৃত অর্থে স্বাধীন ছিল, তা প্রমাণ করাও কঠিন হয়ে পড়বে। এর ফলে আইসিসি’র নজরে পড়ার সম্ভাবনা থাকছেই।
বিসিবির বর্তমান নেতৃত্বে পরিবর্তনের এই প্রচেষ্টা দেশের ক্রিকেটের স্থিতিশীলতার জন্য অশনি সংকেত হয়ে দাঁড়াতে পারে। এমন এক সময়ে যখন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সূচিতে অংশ নিতে যাচ্ছে, তখন বোর্ডের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা মাঠের বাইরের চাপে পরিণত হওয়ার শঙ্কাও থেকেই যাচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে বিসিবি সভাপতি হিসেবে ফারুকের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত থাকলেও, সরকারের ভূমিকা এবং আইসিসির প্রতিক্রিয়া দুই দিকেই কড়া নজর রাখছে দেশের ক্রীড়াঙ্গন।