ঢাকা ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলের প্রস্তাব ডিএমপি আবারো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যান চলাচল বন্ধ, যমুনা সেতুতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার হামলা নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাস যেন ক্রস না করে : শামসুজ্জামান দুদু ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট, শুনানি ১৭ আগস্ট ত্রিদেশীয় জয় শেষে ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল

শিশুর পুষ্টি ও দুগ্ধশিল্পের অগ্রগতিতে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস আজ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:৫৮:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
  • / 18

ছবি সংগৃহীত

 

আজ ১ জুন, বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব দুগ্ধ দিবস’। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) ২০০১ সাল থেকে দুধের পুষ্টিগুণ ও দুগ্ধখাতের গুরুত্ব তুলে ধরতেই এ দিবসটি পালন করে আসছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং দুধভিত্তিক শিল্পের সম্প্রসারণ।

বাংলাদেশেও দিবসটি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করা হচ্ছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর রাজধানীর ফার্মগেটের কেআইবি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাণিসম্পদ দপ্তরগুলোও বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে দুগ্ধ পণ্যের বহুমুখীকরণে পরামর্শ ক্যাম্পেইন, প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী, বিনামূল্যে প্রাণিসম্পদ চিকিৎসাসেবা, কৃমিনাশক ও টিকা বিতরণ।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে প্রায় ২০ লাখ দুগ্ধ খামারি রয়েছেন। দুধ উৎপাদনে গত এক দশকে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে যেখানে দুধের উৎপাদন ছিল ৫০ লাখ ৭০ হাজার টন, সেখানে ২০১৬-১৭ সালে তা বেড়ে হয় ৯২ লাখ টন। ২০২১-২২ অর্থবছরে উৎপাদন ১ কোটি ৩০ লাখ টনে পৌঁছায় এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫২ লাখ ৫২ হাজার টনে।

তবে চাহিদার দিক থেকে এখনো ঘাটতি রয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে তরল দুধের চাহিদা প্রায় ১ কোটি ৫৬ লাখ ৬৮ হাজার টন। ফলে প্রায় ৪ লাখ টনের ঘাটতি থেকে যায়, যা পূরণে প্রতিবছর আমদানি করা হয় বিপুল পরিমাণ গুঁড়া দুধ।

বর্তমানে দেশে ৮ থেকে ৯ লাখ টন দুধ প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা হয় দই, ঘি, চিজ ও ফ্লেভারড মিল্কসহ বিভিন্ন পণ্য। তবে এখনো অধিকাংশ খামারি তাদের দুধ সরাসরি বাজারে বা মিষ্টির দোকানে বিক্রি করেন।

বিশ্ব দুগ্ধ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরতে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে, হাড় গঠনে এবং রোগ প্রতিরোধে দুধের অপরিহার্য ভূমিকা নিয়ে ব্যাপকভাবে সচেতনতা ছড়ানো হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে এসে দুধ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে আরও দক্ষতা অর্জনের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শিশুর পুষ্টি ও দুগ্ধশিল্পের অগ্রগতিতে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস আজ

আপডেট সময় ০৮:৫৮:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

 

আজ ১ জুন, বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব দুগ্ধ দিবস’। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) ২০০১ সাল থেকে দুধের পুষ্টিগুণ ও দুগ্ধখাতের গুরুত্ব তুলে ধরতেই এ দিবসটি পালন করে আসছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং দুধভিত্তিক শিল্পের সম্প্রসারণ।

বাংলাদেশেও দিবসটি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করা হচ্ছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর রাজধানীর ফার্মগেটের কেআইবি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাণিসম্পদ দপ্তরগুলোও বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে দুগ্ধ পণ্যের বহুমুখীকরণে পরামর্শ ক্যাম্পেইন, প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী, বিনামূল্যে প্রাণিসম্পদ চিকিৎসাসেবা, কৃমিনাশক ও টিকা বিতরণ।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে প্রায় ২০ লাখ দুগ্ধ খামারি রয়েছেন। দুধ উৎপাদনে গত এক দশকে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে যেখানে দুধের উৎপাদন ছিল ৫০ লাখ ৭০ হাজার টন, সেখানে ২০১৬-১৭ সালে তা বেড়ে হয় ৯২ লাখ টন। ২০২১-২২ অর্থবছরে উৎপাদন ১ কোটি ৩০ লাখ টনে পৌঁছায় এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫২ লাখ ৫২ হাজার টনে।

তবে চাহিদার দিক থেকে এখনো ঘাটতি রয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে তরল দুধের চাহিদা প্রায় ১ কোটি ৫৬ লাখ ৬৮ হাজার টন। ফলে প্রায় ৪ লাখ টনের ঘাটতি থেকে যায়, যা পূরণে প্রতিবছর আমদানি করা হয় বিপুল পরিমাণ গুঁড়া দুধ।

বর্তমানে দেশে ৮ থেকে ৯ লাখ টন দুধ প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা হয় দই, ঘি, চিজ ও ফ্লেভারড মিল্কসহ বিভিন্ন পণ্য। তবে এখনো অধিকাংশ খামারি তাদের দুধ সরাসরি বাজারে বা মিষ্টির দোকানে বিক্রি করেন।

বিশ্ব দুগ্ধ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরতে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে, হাড় গঠনে এবং রোগ প্রতিরোধে দুধের অপরিহার্য ভূমিকা নিয়ে ব্যাপকভাবে সচেতনতা ছড়ানো হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে এসে দুধ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে আরও দক্ষতা অর্জনের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।