ঢাকা ০৭:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলের প্রস্তাব ডিএমপি আবারো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যান চলাচল বন্ধ, যমুনা সেতুতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার হামলা নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাস যেন ক্রস না করে : শামসুজ্জামান দুদু ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট, শুনানি ১৭ আগস্ট ত্রিদেশীয় জয় শেষে ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’-র সম্ভাবনা, খুলনা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল সবচেয়ে ঝুঁকিতে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:২৭:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • / 25

ছবি সংগৃহীত

 

 

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে যাচ্ছে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, যার সম্ভাব্য নাম ‘শক্তি’। এই নামটি প্রস্তাব করেছে শ্রীলঙ্কা। আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৩ থেকে ২৮ মে’র মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হতে পারে।

বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া সংস্থা বলছে, ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ ২৪ থেকে ২৬ মে’র মধ্যে ভারতের ওড়িশা ও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূলের মধ্যবর্তী কোনো এলাকায় আঘাত হানতে পারে। তবে অধিক সম্ভাবনা রয়েছে এটি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে।

আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, এখনও ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হয়নি, তবে বঙ্গোপসাগরের বর্তমান পরিবেশ ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য অত্যন্ত অনুকূল। ফলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অধিদফতর ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ সবাইকে আগাম সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছে। উপকূলীয় এলাকার জনগণকে আগেই প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টি যদি বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর হয়, তাহলে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া, প্রবল জলোচ্ছ্বাস এবং ভারী বৃষ্টিপাত দেখা দিতে পারে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে জনজীবন, কৃষি, ও অবকাঠামো। ফলে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন ইতোমধ্যে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম শুরু করেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উপকূলে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা শিগগিরই জারি হতে পারে। পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার এবং জনসাধারণকে সেখানে সরিয়ে নেওয়ার জন্যও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।

তবে এখনো ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ সম্পর্কে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়নি। আবহাওয়া অধিদফতর প্রতিনিয়ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজন হলে পরবর্তী সময় বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

উপকূলবাসীকে এখন থেকেই সতর্ক ও প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যেন হঠাৎ দুর্যোগে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’-র সম্ভাবনা, খুলনা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল সবচেয়ে ঝুঁকিতে

আপডেট সময় ০৩:২৭:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

 

 

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে যাচ্ছে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, যার সম্ভাব্য নাম ‘শক্তি’। এই নামটি প্রস্তাব করেছে শ্রীলঙ্কা। আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৩ থেকে ২৮ মে’র মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হতে পারে।

বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া সংস্থা বলছে, ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ ২৪ থেকে ২৬ মে’র মধ্যে ভারতের ওড়িশা ও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূলের মধ্যবর্তী কোনো এলাকায় আঘাত হানতে পারে। তবে অধিক সম্ভাবনা রয়েছে এটি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে।

আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, এখনও ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হয়নি, তবে বঙ্গোপসাগরের বর্তমান পরিবেশ ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য অত্যন্ত অনুকূল। ফলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অধিদফতর ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ সবাইকে আগাম সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছে। উপকূলীয় এলাকার জনগণকে আগেই প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টি যদি বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর হয়, তাহলে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া, প্রবল জলোচ্ছ্বাস এবং ভারী বৃষ্টিপাত দেখা দিতে পারে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে জনজীবন, কৃষি, ও অবকাঠামো। ফলে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন ইতোমধ্যে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম শুরু করেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উপকূলে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা শিগগিরই জারি হতে পারে। পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার এবং জনসাধারণকে সেখানে সরিয়ে নেওয়ার জন্যও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।

তবে এখনো ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ সম্পর্কে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়নি। আবহাওয়া অধিদফতর প্রতিনিয়ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজন হলে পরবর্তী সময় বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

উপকূলবাসীকে এখন থেকেই সতর্ক ও প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যেন হঠাৎ দুর্যোগে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা যায়।