ঢাকা ১১:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাগর-রুনি হত্যা: ১১৮ বারের মতো পেছালো মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ভারতের বিধিনিষেধে আমাদের আত্মনির্ভরতার নতুন দুয়ার খুলছে: আসিফ মাহমুদ অপসারণ নয়, নিজ ইচ্ছাতেই সরে যেতে চান পররাষ্ট্রসচিব: জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৫৩৩ জন দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি আন্তর্জাতিক মঞ্চে সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেলেন মেহজাবীন অচল সেন্টমার্টিন দ্বীপে দুর্বিষহ জীবন নতুন নোট আসছে বাজারে, সমাধান মিলছে ছেঁড়া টাকার ঝামেলায় শাসনের পথে র‍্যাবকে নতুন উদ্যমে এগিয়ে চলার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ইউক্রেনের সুমিতে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ৬ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত

যুক্তরাজ্য সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস, বৈঠক হতে পারে রাজা ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৫৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • / 8

ছবি সংগৃহীত

 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ৯ থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত যুক্তরাজ্য সফরে যাচ্ছেন। এ সফরকালে তিনি ব্রিটেনের রাজা চার্লস ও প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বলে সরকারের একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টার এই সফরের সময়সূচি ও কর্মসূচি চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এর মধ্যে রয়েছে—বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, উন্নয়ন সহযোগিতার ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা, রোহিঙ্গা সংকট এবং দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতার সম্ভাবনা।

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে, যা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অগ্রাধিকারের বিষয়। জানা গেছে, এই পাচার হওয়া অর্থের একটি বড় অংশ যুক্তরাজ্যে গেছে। তাই যুক্তরাজ্যের সঙ্গে অর্থ ফেরত আনার যৌথ কৌশল নিয়ে আলোচনা করতেই এই সফরের আয়োজন। সফরে বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) শীর্ষ কর্মকর্তারা প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হতে পারেন বলে সূত্রে জানা গেছে।

সফরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে যাচ্ছে রোহিঙ্গা সংকট। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক অর্থায়ন দিন দিন কমে আসছে, ফলে ক্যাম্পভিত্তিক মানবিক সেবায় নতুন সংকট দেখা দিয়েছে। যুক্তরাজ্য এ ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দাতা দেশ হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টা তার সফরে এই বিষয়টিও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উপস্থাপন করবেন।

এছাড়া, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও জলবায়ু ইস্যুতে একযোগে কাজ করার বিষয়েও আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে।

সব মিলিয়ে, এই সফরকে অন্তর্বর্তী সরকারের আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক তৎপরতার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাজ্য সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস, বৈঠক হতে পারে রাজা ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে

আপডেট সময় ০২:৫৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ৯ থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত যুক্তরাজ্য সফরে যাচ্ছেন। এ সফরকালে তিনি ব্রিটেনের রাজা চার্লস ও প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বলে সরকারের একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টার এই সফরের সময়সূচি ও কর্মসূচি চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এর মধ্যে রয়েছে—বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, উন্নয়ন সহযোগিতার ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা, রোহিঙ্গা সংকট এবং দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতার সম্ভাবনা।

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে, যা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অগ্রাধিকারের বিষয়। জানা গেছে, এই পাচার হওয়া অর্থের একটি বড় অংশ যুক্তরাজ্যে গেছে। তাই যুক্তরাজ্যের সঙ্গে অর্থ ফেরত আনার যৌথ কৌশল নিয়ে আলোচনা করতেই এই সফরের আয়োজন। সফরে বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) শীর্ষ কর্মকর্তারা প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হতে পারেন বলে সূত্রে জানা গেছে।

সফরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে যাচ্ছে রোহিঙ্গা সংকট। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক অর্থায়ন দিন দিন কমে আসছে, ফলে ক্যাম্পভিত্তিক মানবিক সেবায় নতুন সংকট দেখা দিয়েছে। যুক্তরাজ্য এ ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দাতা দেশ হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টা তার সফরে এই বিষয়টিও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উপস্থাপন করবেন।

এছাড়া, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও জলবায়ু ইস্যুতে একযোগে কাজ করার বিষয়েও আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে।

সব মিলিয়ে, এই সফরকে অন্তর্বর্তী সরকারের আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক তৎপরতার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।