০৫:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

যুক্তরাজ্য সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস, বৈঠক হতে পারে রাজা ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৫৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • / 134

ছবি সংগৃহীত

 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ৯ থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত যুক্তরাজ্য সফরে যাচ্ছেন। এ সফরকালে তিনি ব্রিটেনের রাজা চার্লস ও প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বলে সরকারের একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টার এই সফরের সময়সূচি ও কর্মসূচি চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এর মধ্যে রয়েছে—বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, উন্নয়ন সহযোগিতার ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা, রোহিঙ্গা সংকট এবং দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতার সম্ভাবনা।

বিজ্ঞাপন

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে, যা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অগ্রাধিকারের বিষয়। জানা গেছে, এই পাচার হওয়া অর্থের একটি বড় অংশ যুক্তরাজ্যে গেছে। তাই যুক্তরাজ্যের সঙ্গে অর্থ ফেরত আনার যৌথ কৌশল নিয়ে আলোচনা করতেই এই সফরের আয়োজন। সফরে বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) শীর্ষ কর্মকর্তারা প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হতে পারেন বলে সূত্রে জানা গেছে।

সফরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে যাচ্ছে রোহিঙ্গা সংকট। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক অর্থায়ন দিন দিন কমে আসছে, ফলে ক্যাম্পভিত্তিক মানবিক সেবায় নতুন সংকট দেখা দিয়েছে। যুক্তরাজ্য এ ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দাতা দেশ হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টা তার সফরে এই বিষয়টিও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উপস্থাপন করবেন।

এছাড়া, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও জলবায়ু ইস্যুতে একযোগে কাজ করার বিষয়েও আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে।

সব মিলিয়ে, এই সফরকে অন্তর্বর্তী সরকারের আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক তৎপরতার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাজ্য সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস, বৈঠক হতে পারে রাজা ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে

আপডেট সময় ০২:৫৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ৯ থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত যুক্তরাজ্য সফরে যাচ্ছেন। এ সফরকালে তিনি ব্রিটেনের রাজা চার্লস ও প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বলে সরকারের একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টার এই সফরের সময়সূচি ও কর্মসূচি চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এর মধ্যে রয়েছে—বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, উন্নয়ন সহযোগিতার ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা, রোহিঙ্গা সংকট এবং দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতার সম্ভাবনা।

বিজ্ঞাপন

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে, যা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অগ্রাধিকারের বিষয়। জানা গেছে, এই পাচার হওয়া অর্থের একটি বড় অংশ যুক্তরাজ্যে গেছে। তাই যুক্তরাজ্যের সঙ্গে অর্থ ফেরত আনার যৌথ কৌশল নিয়ে আলোচনা করতেই এই সফরের আয়োজন। সফরে বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) শীর্ষ কর্মকর্তারা প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হতে পারেন বলে সূত্রে জানা গেছে।

সফরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে যাচ্ছে রোহিঙ্গা সংকট। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক অর্থায়ন দিন দিন কমে আসছে, ফলে ক্যাম্পভিত্তিক মানবিক সেবায় নতুন সংকট দেখা দিয়েছে। যুক্তরাজ্য এ ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দাতা দেশ হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টা তার সফরে এই বিষয়টিও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উপস্থাপন করবেন।

এছাড়া, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও জলবায়ু ইস্যুতে একযোগে কাজ করার বিষয়েও আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে।

সব মিলিয়ে, এই সফরকে অন্তর্বর্তী সরকারের আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক তৎপরতার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।