ঢাকা ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নতুন সংবিধানের দাবিতে মাঠে নেমেছি : নাহিদ ভূরুঙ্গামারীতে বিদ‍্যুৎস্পৃষ্টে দ্বিতীয় শ্রেনির শিক্ষার্থীর মৃত্যু বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে বিএসএফ’র মারধর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প একনেকে অনুমোদন আশানুরূপ উন্নতি হয়নি আইনশৃঙ্খলার : রিজভী জাতিসংঘ মানবাধিকার রক্ষায় কার্যকর ভাবে কাজ করতে চায় : ফরিদা আখতার হাতিয়ায় বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত আওয়ামীলীগের চৌদ্দগোষ্ঠীরও ক্ষমতা হবে না আমাদের কেনার : তাজুল ইসলাম মসজিদের বারান্দা নির্মাণ নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ-বাড়িঘর ভাঙচুর, ১৪৪ ধারা জারি ফিলিস্তিন সংকট নিয়ে সম্মেলনে,যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ম্যানসিটিকে বিদায় জানালেন কেভিন ডি ব্রুইনা, গার্দিওলার হৃদয়ভাঙা স্বীকারোক্তি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:১৮:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • / 21

ছবি: সংগৃহীত

 

ইতিহাদ স্টেডিয়ামের আলোঝলমলে গ্যালারিতে এক আবেগঘন রাতে শেষবারের মতো ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে মাঠে নামলেন কেভিন ডি ব্রুইনা। গ্যালারির কান্না ছুঁয়ে গেল মাঠের খেলোয়াড়দের, আর শেষ বাঁশি বাজার পর গার্দিওলাও চোখের পানি আটকে রাখতে পারলেন না। ম্যাচ শেষে ম্যানসিটি বস বললেন, “এটি একটি দুঃখের দিন।”

তিন দশকের এক যাত্রার শেষে থামলেন ৩৩ বছর বয়সী এই বেলজিয়ান মিডফিল্ডার। গত দশ বছর ধরে সিটির মাঝমাঠে ছিলেন অসাধারণ এক নিয়ন্ত্রক, সৃষ্টিশীলতা ও নেতৃত্বে ছিলেন অনন্য। ক্লাবের হয়ে জিতেছেন ১৬টি ট্রফি, গড়েছেন অসংখ্য রেকর্ড। আর তার এই অবদানের সম্মানে সিটির পক্ষ থেকে তৈরি হচ্ছে একটি সড়ক, একটি মোজাইক, এবং খুব শিগগিরই ক্লাব স্টেডিয়ামের বাইরে গড়ে তোলা হবে তার একটি ভাস্কর্য।

বৃহস্পতিবার রাতে বোর্নমাউথের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে জেতা ম্যাচটি ছিল ডি ব্রুইনার শেষ হোম লিগ ম্যাচ। তবে বিদায়ী ম্যাচে কোনো রূপকথার গল্প লেখা হয়নি। প্রথমার্ধে গোলমুখে বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হন, আর দ্বিতীয়ার্ধে মাতেও কোভাচিচের লাল কার্ডের প্রেক্ষিতে কোচ তাকে তুলে নেন মাঠ থেকে।

ম্যাচ শেষে ডি ব্রুইনা বলেন, “আমি সবসময় আবেগ ও সৃজনশীলতা দিয়ে খেলতে চেয়েছি। ফুটবল উপভোগ করেছি, আর আশা করি সবাইও উপভোগ করেছে। এই ক্লাবের ভেতরের-বাইরের সবাই আমাকে আমার সর্বোচ্চ দিতে সাহায্য করেছে।”

বিদায়ের মুহূর্তে গার্দিওলার কণ্ঠেও ছিল আবেগ, “সে ক্লাবকে যা দিয়েছে তা অসাধারণ। যখন কেউ ১০ বছর পর এত সম্মান নিয়ে ক্লাব ছাড়ে, তখন বোঝা যায় তার কতটা প্রভাব ছিল। আমি নিশ্চিত, সে যখন এসেছিল তখন সিটি ভক্ত ছিল না, কিন্তু এখন সে আজীবনের একজন সিটি ফ্যান হয়ে গেছে।”

ম্যাচ শেষে স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে ব্রুইনা পেয়েছেন গার্ড অব অনার। স্টেডিয়ামের বড় পর্দায় ভেসে উঠছিল আগুয়েরো, কম্পানি, স্টার্লিং ও সাবালেতাদের বিদায়ী শুভেচ্ছা বার্তা। গ্যালারিতে সমর্থকরা একসঙ্গে গাইছিলেন, “কেভিন ডি ব্রুইনা, আমরা চাই তুমি থেকে যাও!”

কিন্তু ডি ব্রুইনা জানিয়ে দিয়েছেন, এবার বিদায়ের সময়।

২০১৫ সালে সিটির হয়ে অভিষেকের পর প্রিমিয়ার লিগে ২৮৩ ম্যাচে ৭২টি গোল ও ১১৯টি অ্যাসিস্ট করেছেন, যা রায়ান গিগসের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তৈরি করেছেন ৮৪৩টি গোলের সুযোগ—লিগ ইতিহাসে যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

এভাবেই সিটি অধ্যায়ে ইতি টানলেন কেভিন ডি ব্রুইনা একটি যুগের শেষ হল ইতিহাদে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ম্যানসিটিকে বিদায় জানালেন কেভিন ডি ব্রুইনা, গার্দিওলার হৃদয়ভাঙা স্বীকারোক্তি

আপডেট সময় ০১:১৮:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

 

ইতিহাদ স্টেডিয়ামের আলোঝলমলে গ্যালারিতে এক আবেগঘন রাতে শেষবারের মতো ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে মাঠে নামলেন কেভিন ডি ব্রুইনা। গ্যালারির কান্না ছুঁয়ে গেল মাঠের খেলোয়াড়দের, আর শেষ বাঁশি বাজার পর গার্দিওলাও চোখের পানি আটকে রাখতে পারলেন না। ম্যাচ শেষে ম্যানসিটি বস বললেন, “এটি একটি দুঃখের দিন।”

তিন দশকের এক যাত্রার শেষে থামলেন ৩৩ বছর বয়সী এই বেলজিয়ান মিডফিল্ডার। গত দশ বছর ধরে সিটির মাঝমাঠে ছিলেন অসাধারণ এক নিয়ন্ত্রক, সৃষ্টিশীলতা ও নেতৃত্বে ছিলেন অনন্য। ক্লাবের হয়ে জিতেছেন ১৬টি ট্রফি, গড়েছেন অসংখ্য রেকর্ড। আর তার এই অবদানের সম্মানে সিটির পক্ষ থেকে তৈরি হচ্ছে একটি সড়ক, একটি মোজাইক, এবং খুব শিগগিরই ক্লাব স্টেডিয়ামের বাইরে গড়ে তোলা হবে তার একটি ভাস্কর্য।

বৃহস্পতিবার রাতে বোর্নমাউথের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে জেতা ম্যাচটি ছিল ডি ব্রুইনার শেষ হোম লিগ ম্যাচ। তবে বিদায়ী ম্যাচে কোনো রূপকথার গল্প লেখা হয়নি। প্রথমার্ধে গোলমুখে বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হন, আর দ্বিতীয়ার্ধে মাতেও কোভাচিচের লাল কার্ডের প্রেক্ষিতে কোচ তাকে তুলে নেন মাঠ থেকে।

ম্যাচ শেষে ডি ব্রুইনা বলেন, “আমি সবসময় আবেগ ও সৃজনশীলতা দিয়ে খেলতে চেয়েছি। ফুটবল উপভোগ করেছি, আর আশা করি সবাইও উপভোগ করেছে। এই ক্লাবের ভেতরের-বাইরের সবাই আমাকে আমার সর্বোচ্চ দিতে সাহায্য করেছে।”

বিদায়ের মুহূর্তে গার্দিওলার কণ্ঠেও ছিল আবেগ, “সে ক্লাবকে যা দিয়েছে তা অসাধারণ। যখন কেউ ১০ বছর পর এত সম্মান নিয়ে ক্লাব ছাড়ে, তখন বোঝা যায় তার কতটা প্রভাব ছিল। আমি নিশ্চিত, সে যখন এসেছিল তখন সিটি ভক্ত ছিল না, কিন্তু এখন সে আজীবনের একজন সিটি ফ্যান হয়ে গেছে।”

ম্যাচ শেষে স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে ব্রুইনা পেয়েছেন গার্ড অব অনার। স্টেডিয়ামের বড় পর্দায় ভেসে উঠছিল আগুয়েরো, কম্পানি, স্টার্লিং ও সাবালেতাদের বিদায়ী শুভেচ্ছা বার্তা। গ্যালারিতে সমর্থকরা একসঙ্গে গাইছিলেন, “কেভিন ডি ব্রুইনা, আমরা চাই তুমি থেকে যাও!”

কিন্তু ডি ব্রুইনা জানিয়ে দিয়েছেন, এবার বিদায়ের সময়।

২০১৫ সালে সিটির হয়ে অভিষেকের পর প্রিমিয়ার লিগে ২৮৩ ম্যাচে ৭২টি গোল ও ১১৯টি অ্যাসিস্ট করেছেন, যা রায়ান গিগসের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তৈরি করেছেন ৮৪৩টি গোলের সুযোগ—লিগ ইতিহাসে যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

এভাবেই সিটি অধ্যায়ে ইতি টানলেন কেভিন ডি ব্রুইনা একটি যুগের শেষ হল ইতিহাদে।