ঢাকা ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নতুন নির্দেশনা প্রকাশ গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের নেমপ্লেট ও আইডি কার্ড বাধ্যতামূলক আন্দোলন করলেই অবসরে যাবেন সরকারী চাকুরীজীবীরা ডিএনএ টেস্টে সনাক্ত হলো ৫ জনের পরিচয় সাজেক থেকে ফিরছেন পর্যটকরা, যান চলাচল স্বাভাবিক সেনবাগে খালের উপর জবরদখল করে ব্রীজ ও  নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পুশইন না পুশব্যাক ? বিব্রত বাংলা ভাষাভাষী মানুষেরা রাশিয়ায় নিখোঁজ উড়োজাহাজ ৪৯ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত মিডিয়াতে প্রকাশের পর পোষাক নির্দেশনা প্রত্যাহার বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান তার স্ত্রী ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা

‘১৮ বছর না ৬ মাস, আমাকে বিচার করবেন কোনটা দেখে?’: সাকিব আল হাসান

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:২১:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 115

ছবি সংগৃহীত

 

গত বছর আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সাকিব আল হাসান আর দেশে ফিরতে পারেননি। খেলতে পারেননি আর বাংলাদেশ দলের হয়েও। অনেকেই সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি দেখছেন। কিন্তু সাকিবের ভাবনা অন্য রকম। তিনি এখনো বাংলাদেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন মনে পুষে রেখেছেন। বাংলাদেশের হয়ে খেলে অবসর নিতে চান দেশের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা এই ক্রিকেটার।

সাকিব তাঁর এ ভাবনার কথা বলেছেন একটি সাক্ষাৎকারে। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি কখন টের পেলেন বাংলাদেশের হয়ে খেলার সুযোগ আর নেই? সাকিবের উত্তর, ‘যখন বুঝলাম এত চাপ নিয়ে খেলতে পারব না, তখনই মনে হয়েছে শেষ। ব্যাপারটা এমন নয় যে আমি আমার দেশের হয়ে খেলতে চাই না আমি এখনো বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চাই, আর এই ইচ্ছা সব সময়ই থাকবে। এ নিয়ে বিসিবি সভাপতি থেকে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা সবার সঙ্গেই যোগাযোগ করেছি।’

সাকিব বাংলাদেশের হয়ে সর্বশেষ খেলেছেন গত বছর সেপ্টেম্বরে ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্টে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের সেই ভারত সফরে তিনি জানিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি আর খেলবেন না। পাশাপাশি অক্টোবরে মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেট ছাড়ারও ঘোষণা দেন এবং ওয়ানডেতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত খেলার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন সাকিব।

আমি মনে করি, বাংলাদেশের হয়ে খেলার সুযোগটা আমার প্রাপ্য এবং বেশির ভাগ মানুষই চায় আমি দেশের হয়ে খেলে অবসর নিই এবং আরও কিছুদিন চালিয়ে যাই। আমার বিশ্বাস, আরও এক-দুই বছর খেলতে পারব। সাকিব আল হাসান

কিন্তু রাজনৈতিক কারণে একটি ইচ্ছাও পূরণ হয়নি বিগত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাকিবের। তখন সাকিবকে জানানো হয়েছিল, নিরাপত্তাঝুঁকির কারণে তিনি দেশে না এলেই ভালো হবে। তাই সাকিবও আসেননি।

কিন্তু দেশে আসতে না পারলে কী হবে, দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন এখনো বিসর্জন দেননি ৩৮ বছর বয়সী এই স্পিন অলরাউন্ডার। একই প্রশ্নেরই উত্তরে একটি জায়গায় সাকিব বলেছেন, ‘হ্যাঁ, আমি সংসদ সদস্য ছিলাম কিন্তু এখন তো আর নেই এবং কোনো দলে কোনো রাজনৈতিক পদও নেই। যে কাজটি আমি ১৮ থেকে ২০ বছর (বাংলাদেশের হয়ে খেলা) ধরে করছি, সেটা থামিয়ে দেওয়াটা কি আপত্তিকর নয়? আমি এখনো বাংলাদেশের হয়ে খেলে ভালোভাবে ক্যারিয়ার শেষ করতে চাই। যদি সুযোগ থাকে আমি এক সিরিজ, দুই সিরিজ নাকি আরও এক বছর খেলব, সেই পরিকল্পনা করতে চাই।’

দেশের জার্সিতে কি আর মাঠে নামতে পারবেন সাকিব? উত্তর তোলা রয়েছে সময়ের হাতে দেশের জার্সিতে কি আর মাঠে নামতে পারবেন সাকিব?

সাকিব এরপর স্পষ্ট করেই বলেছেন, ‘দেশের হয়ে খেলাই আমার সবচেয়ে বড় ইচ্ছা এবং সে জন্য আমি নিজের সবকিছু দিয়ে দিতে রাজি। এটাই আমার স্বপ্ন এবং সেটা পূরণ করতে আমি সবকিছুই করছি ক্রীড়া উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টা এবং বিসিবি সভাপতির সঙ্গে কথা বলছি।’

দেশে ফেরার বিষয়ে বিসিবি সাহায্য করতে পারেনি বলে সাকিবের কোনো অভিযোগ নেই। এ নিয়ে সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছেন, ‘সবারই সীমাবদ্ধতা আছে।’ বাংলাদেশের হয়ে ১৯ বছর ক্রিকেট খেলা সাকিব আরও বলেছেন, ‘গত ১৮ বছর নাকি সর্বশেষ ৬ মাস, কোনটা দেখে আমাকে বিচার করবেন, তা আপনাদের ইচ্ছা।’

তবে সাকিব মনে করেন, বাংলাদেশের হয়ে খেলার সুযোগটা তার প্রাপ্য , ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশের হয়ে খেলার সুযোগটা আমার প্রাপ্য এবং বেশির ভাগ মানুষই চায় আমি দেশের হয়ে খেলে অবসর নিই এবং আরও কিছুদিন চালিয়ে যাই। আমার বিশ্বাস, আরও এক-দুই বছর খেলতে পারব।’

নিউজটি শেয়ার করুন

‘১৮ বছর না ৬ মাস, আমাকে বিচার করবেন কোনটা দেখে?’: সাকিব আল হাসান

আপডেট সময় ০১:২১:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

 

গত বছর আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সাকিব আল হাসান আর দেশে ফিরতে পারেননি। খেলতে পারেননি আর বাংলাদেশ দলের হয়েও। অনেকেই সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি দেখছেন। কিন্তু সাকিবের ভাবনা অন্য রকম। তিনি এখনো বাংলাদেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন মনে পুষে রেখেছেন। বাংলাদেশের হয়ে খেলে অবসর নিতে চান দেশের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা এই ক্রিকেটার।

সাকিব তাঁর এ ভাবনার কথা বলেছেন একটি সাক্ষাৎকারে। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি কখন টের পেলেন বাংলাদেশের হয়ে খেলার সুযোগ আর নেই? সাকিবের উত্তর, ‘যখন বুঝলাম এত চাপ নিয়ে খেলতে পারব না, তখনই মনে হয়েছে শেষ। ব্যাপারটা এমন নয় যে আমি আমার দেশের হয়ে খেলতে চাই না আমি এখনো বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চাই, আর এই ইচ্ছা সব সময়ই থাকবে। এ নিয়ে বিসিবি সভাপতি থেকে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা সবার সঙ্গেই যোগাযোগ করেছি।’

সাকিব বাংলাদেশের হয়ে সর্বশেষ খেলেছেন গত বছর সেপ্টেম্বরে ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্টে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের সেই ভারত সফরে তিনি জানিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি আর খেলবেন না। পাশাপাশি অক্টোবরে মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেট ছাড়ারও ঘোষণা দেন এবং ওয়ানডেতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত খেলার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন সাকিব।

আমি মনে করি, বাংলাদেশের হয়ে খেলার সুযোগটা আমার প্রাপ্য এবং বেশির ভাগ মানুষই চায় আমি দেশের হয়ে খেলে অবসর নিই এবং আরও কিছুদিন চালিয়ে যাই। আমার বিশ্বাস, আরও এক-দুই বছর খেলতে পারব। সাকিব আল হাসান

কিন্তু রাজনৈতিক কারণে একটি ইচ্ছাও পূরণ হয়নি বিগত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাকিবের। তখন সাকিবকে জানানো হয়েছিল, নিরাপত্তাঝুঁকির কারণে তিনি দেশে না এলেই ভালো হবে। তাই সাকিবও আসেননি।

কিন্তু দেশে আসতে না পারলে কী হবে, দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন এখনো বিসর্জন দেননি ৩৮ বছর বয়সী এই স্পিন অলরাউন্ডার। একই প্রশ্নেরই উত্তরে একটি জায়গায় সাকিব বলেছেন, ‘হ্যাঁ, আমি সংসদ সদস্য ছিলাম কিন্তু এখন তো আর নেই এবং কোনো দলে কোনো রাজনৈতিক পদও নেই। যে কাজটি আমি ১৮ থেকে ২০ বছর (বাংলাদেশের হয়ে খেলা) ধরে করছি, সেটা থামিয়ে দেওয়াটা কি আপত্তিকর নয়? আমি এখনো বাংলাদেশের হয়ে খেলে ভালোভাবে ক্যারিয়ার শেষ করতে চাই। যদি সুযোগ থাকে আমি এক সিরিজ, দুই সিরিজ নাকি আরও এক বছর খেলব, সেই পরিকল্পনা করতে চাই।’

দেশের জার্সিতে কি আর মাঠে নামতে পারবেন সাকিব? উত্তর তোলা রয়েছে সময়ের হাতে দেশের জার্সিতে কি আর মাঠে নামতে পারবেন সাকিব?

সাকিব এরপর স্পষ্ট করেই বলেছেন, ‘দেশের হয়ে খেলাই আমার সবচেয়ে বড় ইচ্ছা এবং সে জন্য আমি নিজের সবকিছু দিয়ে দিতে রাজি। এটাই আমার স্বপ্ন এবং সেটা পূরণ করতে আমি সবকিছুই করছি ক্রীড়া উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টা এবং বিসিবি সভাপতির সঙ্গে কথা বলছি।’

দেশে ফেরার বিষয়ে বিসিবি সাহায্য করতে পারেনি বলে সাকিবের কোনো অভিযোগ নেই। এ নিয়ে সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছেন, ‘সবারই সীমাবদ্ধতা আছে।’ বাংলাদেশের হয়ে ১৯ বছর ক্রিকেট খেলা সাকিব আরও বলেছেন, ‘গত ১৮ বছর নাকি সর্বশেষ ৬ মাস, কোনটা দেখে আমাকে বিচার করবেন, তা আপনাদের ইচ্ছা।’

তবে সাকিব মনে করেন, বাংলাদেশের হয়ে খেলার সুযোগটা তার প্রাপ্য , ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশের হয়ে খেলার সুযোগটা আমার প্রাপ্য এবং বেশির ভাগ মানুষই চায় আমি দেশের হয়ে খেলে অবসর নিই এবং আরও কিছুদিন চালিয়ে যাই। আমার বিশ্বাস, আরও এক-দুই বছর খেলতে পারব।’