ফরিদপুরে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন যাত্রী, আহত হয়েছেন অন্তত ৩২ জন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কের গেরদা ইউনিয়নের জোবায়দা-করিম জুট মিল এলাকার কাছে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর থেকে মাদারীপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা পুকুরে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার সময় বাসটি একটি অন্য বাসকে ওভারটেক করার চেষ্টা করছিল। এ সময় রাস্তার পাশে থাকা একটি পিলারে ধাক্কা লেগে সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের পানিভরা পুকুরে পড়ে যায়।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। ডুবুরি দল ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুকুরে পড়া বাসের ভেতর থেকে আহত ও নিহতদের উদ্ধার করা হয়।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক হিরামন বিশ্বাস বলেন, বাসটি বাখুন্ডা এলাকার জোবায়দা-করিম জুট মিলের কাছে এসে এই দুর্ঘটনার শিকার হয়। দুর্ঘটনার পরপরই বাসের যাত্রীদের দ্রুত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আতিয়ার রহমান জানান, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় অনেক যাত্রীকে হাসপাতালে আনা হয়। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
এ দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো এলাকায়। আহতদের স্বজনদের আহাজারিতে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে।
দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ। আহত যাত্রীদের মধ্যে কারও পরিচয় এখনো জানা যায়নি। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধারে উদ্ধারকারী দল দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করে, দুর্ঘটনার ফলে ওই সড়কে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুতগতির যানবাহনের কারণে মহাসড়কে এমন দুর্ঘটনার আশঙ্কা সব সময় থাকে বলে মন্তব্য করেছেন এবং দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।