ঢাকা ০২:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলের প্রস্তাব ডিএমপি আবারো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যান চলাচল বন্ধ, যমুনা সেতুতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার হামলা নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাস যেন ক্রস না করে : শামসুজ্জামান দুদু ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট, শুনানি ১৭ আগস্ট ত্রিদেশীয় জয় শেষে ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল

সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়া: হাসনাতের অভিযোগ ‘রাজনৈতিক স্টান্টবাজি’

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:০৪:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • / 57

ছবি সংগৃহীত

 

জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর সাম্প্রতিক দাবিকে “রাজনৈতিক স্টান্টবাজি” বলে আখ্যা দিয়েছে সেনাসদর। শনিবার নেত্র নিউজকে দেওয়া এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী জানায়, এসব বক্তব্য নিছক কল্পনাপ্রসূত এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন।

গত শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ দাবি করেন, গণঅভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে নতুনভাবে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে একটি ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ গঠনের প্রস্তাব এসেছে সেনানিবাস থেকে, যার নেপথ্যে রয়েছে ভারতের পরিকল্পনা। তিনি আরও উল্লেখ করেন, সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরিন শারমিন চৌধুরী ও শেখ ফজলে নূর তাপসকে সামনে রেখে এই নতুন দল গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

হাসনাত দাবি করেন, ১১ই মার্চ দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে সেনানিবাসে একটি গোপন বৈঠকে তাদেরকে এই প্রস্তাব জানানো হয় এবং সম্ভাব্য আসন বণ্টনের প্রস্তাবও দেওয়া হয়।

এই প্রসঙ্গে সেনাবাহিনী স্পষ্ট করে জানায়, হাসনাত ও সারজিস আলম দীর্ঘদিন ধরেই সেনাপ্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে আসছিলেন। মিলিটারি এডভাইজারের সঙ্গে ফোনালাপের পর ১১ই মার্চ তারা সেনাভবনে অপেক্ষা করেন এবং সেদিন বিকেলে সেনাপ্রধান তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এটি ছিল একান্ত সৌজন্য সাক্ষাৎ, যেখানে রাজনৈতিক কোনো প্রস্তাব বা আলোচনার প্রসঙ্গ ছিল না।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, “এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগের মাধ্যমে একজন ছাত্রনেতা শুধু নিজের অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন না, বরং জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছেন। তার কথাগুলো হাস্যকর ও কল্পনাভিত্তিক গল্পের মতো।”

নেত্র নিউজকে সেনাবাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, এই সাক্ষাৎ মূলত হাসনাত ও সারজিস আলমের ব্যক্তিগত উদ্যোগেই হয়েছিল। এটি তাদের দলীয় অবস্থান থেকে অনুমোদিত ছিল কি না, তা স্পষ্ট নয়।

সেনাসদরের এই বিবৃতির পর রাজনৈতিক অঙ্গনে হাসনাত আব্দুল্লাহর দাবির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন উঠেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়া: হাসনাতের অভিযোগ ‘রাজনৈতিক স্টান্টবাজি’

আপডেট সময় ০৪:০৪:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

 

জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর সাম্প্রতিক দাবিকে “রাজনৈতিক স্টান্টবাজি” বলে আখ্যা দিয়েছে সেনাসদর। শনিবার নেত্র নিউজকে দেওয়া এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী জানায়, এসব বক্তব্য নিছক কল্পনাপ্রসূত এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন।

গত শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ দাবি করেন, গণঅভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে নতুনভাবে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে একটি ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ গঠনের প্রস্তাব এসেছে সেনানিবাস থেকে, যার নেপথ্যে রয়েছে ভারতের পরিকল্পনা। তিনি আরও উল্লেখ করেন, সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরিন শারমিন চৌধুরী ও শেখ ফজলে নূর তাপসকে সামনে রেখে এই নতুন দল গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

হাসনাত দাবি করেন, ১১ই মার্চ দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে সেনানিবাসে একটি গোপন বৈঠকে তাদেরকে এই প্রস্তাব জানানো হয় এবং সম্ভাব্য আসন বণ্টনের প্রস্তাবও দেওয়া হয়।

এই প্রসঙ্গে সেনাবাহিনী স্পষ্ট করে জানায়, হাসনাত ও সারজিস আলম দীর্ঘদিন ধরেই সেনাপ্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে আসছিলেন। মিলিটারি এডভাইজারের সঙ্গে ফোনালাপের পর ১১ই মার্চ তারা সেনাভবনে অপেক্ষা করেন এবং সেদিন বিকেলে সেনাপ্রধান তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এটি ছিল একান্ত সৌজন্য সাক্ষাৎ, যেখানে রাজনৈতিক কোনো প্রস্তাব বা আলোচনার প্রসঙ্গ ছিল না।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, “এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগের মাধ্যমে একজন ছাত্রনেতা শুধু নিজের অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন না, বরং জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছেন। তার কথাগুলো হাস্যকর ও কল্পনাভিত্তিক গল্পের মতো।”

নেত্র নিউজকে সেনাবাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, এই সাক্ষাৎ মূলত হাসনাত ও সারজিস আলমের ব্যক্তিগত উদ্যোগেই হয়েছিল। এটি তাদের দলীয় অবস্থান থেকে অনুমোদিত ছিল কি না, তা স্পষ্ট নয়।

সেনাসদরের এই বিবৃতির পর রাজনৈতিক অঙ্গনে হাসনাত আব্দুল্লাহর দাবির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন উঠেছে।