০৫:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

তারেক রহমানসহ আটজন ঘুষ মামলায় পেলেন বেকসুর খালাস

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:২৭:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
  • / 71

ছবি: সংগৃহীত

 

বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক হুমায়ুন কবির সাব্বির হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আটজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক মো. আবু তাহের রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এই রায় ঘোষণা করেন। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর আদালত সকল আসামিকে নির্দোষ ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

খালাসপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন তারেক রহমানের এপিএস মিয়া নুর উদ্দিন অপু, ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, তার ছেলে সাফিয়াত সোবহান, সাদাত সোবহান এবং ব্যবসায়ী আবু সুফিয়ান।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ৪ জুলাই বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক হুমায়ুন কবির সাব্বির হত্যার অভিযোগে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরে অভিযোগ ওঠে, ওই হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ লেনদেন করা হয়েছিল।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর এ বিষয়ে ঢাকার রমনা থানায় একটি দুর্নীতির মামলা করে। মামলায় তারেক রহমানসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। পরে তদন্তের ভিত্তিতে ২০০৮ সালের ২৩ এপ্রিল দুদক আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। একই বছরের ১৪ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর তৎকালীন বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে আদালত বলেন, প্রসিকিউশন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে সকল আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হলো।

মামলার রায়ের পর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এ রায়কে ন্যায়বিচারের প্রতিফলন বলে উল্লেখ করেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

তারেক রহমানসহ আটজন ঘুষ মামলায় পেলেন বেকসুর খালাস

আপডেট সময় ০৪:২৭:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

 

বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক হুমায়ুন কবির সাব্বির হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আটজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক মো. আবু তাহের রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এই রায় ঘোষণা করেন। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর আদালত সকল আসামিকে নির্দোষ ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

খালাসপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন তারেক রহমানের এপিএস মিয়া নুর উদ্দিন অপু, ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, তার ছেলে সাফিয়াত সোবহান, সাদাত সোবহান এবং ব্যবসায়ী আবু সুফিয়ান।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ৪ জুলাই বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক হুমায়ুন কবির সাব্বির হত্যার অভিযোগে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরে অভিযোগ ওঠে, ওই হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ লেনদেন করা হয়েছিল।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর এ বিষয়ে ঢাকার রমনা থানায় একটি দুর্নীতির মামলা করে। মামলায় তারেক রহমানসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। পরে তদন্তের ভিত্তিতে ২০০৮ সালের ২৩ এপ্রিল দুদক আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। একই বছরের ১৪ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর তৎকালীন বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে আদালত বলেন, প্রসিকিউশন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে সকল আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হলো।

মামলার রায়ের পর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এ রায়কে ন্যায়বিচারের প্রতিফলন বলে উল্লেখ করেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে।