ঢাকা ০৭:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শাহজালালে ২ যাত্রীর কাছ থেকে ৩১ মোবাইল জব্দ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠানই আগ্রহ দেখায়নি খেলা সম্প্রচার করতে। যে কারণে সিরিজটি বিটিভিতে দেখানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আফগানিস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্তে ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্প চার বিয়ে করে বিপাকে বৃদ্ধ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে থানায় দেখা গুলশানে বন্ধ ব্যাটারি রিকশা, প্রতিবাদে চালকদের মিছিল বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্য: জামায়াত আমীর সিরিয়ায় সেনা হ্রাস করছে যুক্তরাষ্ট্র, আইএস দমনে কৌশলগত পরিবর্তন বাংলাদেশ–তুরস্ক ঐতিহাসিক বৈঠক: বাংলাদেশকে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে দেখতে চায় তুরস্ক লবণাক্ত জমিতে বিনা চাষে সূর্যমুখীতে সফলতা, কৃষকদের মুখে হাসি বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের দুই দফা দাবি, ৫ মে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

তারেক রহমানসহ আটজন ঘুষ মামলায় পেলেন বেকসুর খালাস

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:২৭:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
  • / ৫১৮ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত

 

বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক হুমায়ুন কবির সাব্বির হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আটজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক মো. আবু তাহের রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এই রায় ঘোষণা করেন। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর আদালত সকল আসামিকে নির্দোষ ঘোষণা করেন।

খালাসপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন তারেক রহমানের এপিএস মিয়া নুর উদ্দিন অপু, ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, তার ছেলে সাফিয়াত সোবহান, সাদাত সোবহান এবং ব্যবসায়ী আবু সুফিয়ান।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ৪ জুলাই বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক হুমায়ুন কবির সাব্বির হত্যার অভিযোগে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরে অভিযোগ ওঠে, ওই হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ লেনদেন করা হয়েছিল।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর এ বিষয়ে ঢাকার রমনা থানায় একটি দুর্নীতির মামলা করে। মামলায় তারেক রহমানসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। পরে তদন্তের ভিত্তিতে ২০০৮ সালের ২৩ এপ্রিল দুদক আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। একই বছরের ১৪ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর তৎকালীন বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে আদালত বলেন, প্রসিকিউশন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে সকল আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হলো।

মামলার রায়ের পর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এ রায়কে ন্যায়বিচারের প্রতিফলন বলে উল্লেখ করেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

তারেক রহমানসহ আটজন ঘুষ মামলায় পেলেন বেকসুর খালাস

আপডেট সময় ০৪:২৭:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

 

বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক হুমায়ুন কবির সাব্বির হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আটজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক মো. আবু তাহের রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এই রায় ঘোষণা করেন। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর আদালত সকল আসামিকে নির্দোষ ঘোষণা করেন।

খালাসপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন তারেক রহমানের এপিএস মিয়া নুর উদ্দিন অপু, ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, তার ছেলে সাফিয়াত সোবহান, সাদাত সোবহান এবং ব্যবসায়ী আবু সুফিয়ান।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ৪ জুলাই বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক হুমায়ুন কবির সাব্বির হত্যার অভিযোগে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরে অভিযোগ ওঠে, ওই হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ লেনদেন করা হয়েছিল।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর এ বিষয়ে ঢাকার রমনা থানায় একটি দুর্নীতির মামলা করে। মামলায় তারেক রহমানসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। পরে তদন্তের ভিত্তিতে ২০০৮ সালের ২৩ এপ্রিল দুদক আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। একই বছরের ১৪ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর তৎকালীন বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে আদালত বলেন, প্রসিকিউশন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে সকল আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হলো।

মামলার রায়ের পর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এ রায়কে ন্যায়বিচারের প্রতিফলন বলে উল্লেখ করেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে।