০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

বাংলার মাটিতে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসন চলবে না: জাগপা সহ-সভাপতি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:১৯:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
  • / 192

ছবি সংগৃহীত

 

 

বাংলার মাটিতে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)-এর সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় মহাসমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাশেদ প্রধান বলেন, “গত বছর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা রাজাকার শব্দটি সামনে এনে একটি বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছিলেন। অথচ ইতিহাস সাক্ষী—এক সময় সেই রাজাকারের নামেই দিল্লির আশীর্বাদপুষ্ট এই ফ্যাসিস্ট নেত্রীকে বাংলার মাটি ছেড়ে পালাতে হয়েছিল। আজ আবার সেই শব্দকে ব্যবহার করে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে দিতে চাচ্ছেন। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন, বারবার একই ভুল করলে জনগণ তা মেনে নেবে না।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ কোনো উপনিবেশ নয় যে, দিল্লি থেকে আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে। ভারতীয় আধিপত্য, হস্তক্ষেপ ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আজ পুরো জাতি জেগে উঠেছে। এই জাগরণকে আর দমিয়ে রাখা যাবে না।”

সমাবেশে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা ও শীর্ষস্থানীয় আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।

সকালে সাড়ে ৯টার দিকে সমাবেশের প্রথম পর্ব শুরু হয় সাত দফা দাবির প্রেক্ষিতে। এরপর দুপুর ২টায় মূল পর্ব আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।

সারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লাখো নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ ঢাকায় ছুটে এসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়িয়ে আশপাশের এলাকাগুলোতেও ভিড় করেন। জনস্রোতের কারণে রাজধানীর এই গুরুত্বপূর্ণ এলাকা একপর্যায়ে কার্যত জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

জামায়াতের এই জাতীয় সমাবেশে দেশব্যাপী রাজনৈতিক অস্থিরতা, সরকারের দমন-পীড়ন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং নির্বাচনে জনগণের অধিকার হরণের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ উচ্চারিত হয়। বক্তারা সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, এবং ভারতের হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবিতে আন্দোলন আরও বেগবান করার আহ্বান জানান।

সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হলেও রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল জোরদার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক নজরদারি চালায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলার মাটিতে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসন চলবে না: জাগপা সহ-সভাপতি

আপডেট সময় ০৫:১৯:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

 

 

বাংলার মাটিতে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)-এর সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় মহাসমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাশেদ প্রধান বলেন, “গত বছর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা রাজাকার শব্দটি সামনে এনে একটি বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছিলেন। অথচ ইতিহাস সাক্ষী—এক সময় সেই রাজাকারের নামেই দিল্লির আশীর্বাদপুষ্ট এই ফ্যাসিস্ট নেত্রীকে বাংলার মাটি ছেড়ে পালাতে হয়েছিল। আজ আবার সেই শব্দকে ব্যবহার করে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে দিতে চাচ্ছেন। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন, বারবার একই ভুল করলে জনগণ তা মেনে নেবে না।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ কোনো উপনিবেশ নয় যে, দিল্লি থেকে আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে। ভারতীয় আধিপত্য, হস্তক্ষেপ ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আজ পুরো জাতি জেগে উঠেছে। এই জাগরণকে আর দমিয়ে রাখা যাবে না।”

সমাবেশে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা ও শীর্ষস্থানীয় আলেমরা উপস্থিত ছিলেন।

সকালে সাড়ে ৯টার দিকে সমাবেশের প্রথম পর্ব শুরু হয় সাত দফা দাবির প্রেক্ষিতে। এরপর দুপুর ২টায় মূল পর্ব আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।

সারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লাখো নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ ঢাকায় ছুটে এসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়িয়ে আশপাশের এলাকাগুলোতেও ভিড় করেন। জনস্রোতের কারণে রাজধানীর এই গুরুত্বপূর্ণ এলাকা একপর্যায়ে কার্যত জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

জামায়াতের এই জাতীয় সমাবেশে দেশব্যাপী রাজনৈতিক অস্থিরতা, সরকারের দমন-পীড়ন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং নির্বাচনে জনগণের অধিকার হরণের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ উচ্চারিত হয়। বক্তারা সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, এবং ভারতের হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবিতে আন্দোলন আরও বেগবান করার আহ্বান জানান।

সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হলেও রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল জোরদার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক নজরদারি চালায়।