শৃঙ্খলাহীন বক্তব্যে দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে: প্রেস সচিব

- আপডেট সময় ০১:৪৩:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
- / 1
রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা-কর্মীদের নিয়ন্ত্রণহীন বক্তব্য ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসচেতন মন্তব্য দলীয় ভাবমূর্তিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
রোববার (১৩ জুলাই) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, “একটি ঐক্যবদ্ধ ভাবমূর্তি গঠনের লক্ষ্যে কাজ করা দলের জন্য একই বিষয়ে ৫০০ জনের ভিন্ন ভিন্ন মন্তব্য নিঃসন্দেহে ভয়াবহ বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।”
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত দলের হয়ে বক্তব্য প্রদানকারী নেতা-কর্মীদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা। শৃঙ্খলা ও সংহতির অভাবের কারণে দলীয় বার্তায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয় এবং এতে করে দলের প্রতি জনমানুষের আস্থা কমে যায়।
শফিকুল আলম বলেন, “বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা যখন টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নেন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অতিরিক্ত আবেগে মন্তব্য করেন, তখন তা বিশৃঙ্খলা ও অসংগঠিত আচরণে রূপ নেয়। এতে দলের ক্ষতির পরিমাণ লাভের তুলনায় বহুগুণ বেড়ে যায়।”
তিনি আরও যোগ করেন, প্রতিদিন অজান্তেই এসব নেতাকর্মীরা সমালোচকদের হাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণের নতুন নতুন উপকরণ তুলে দিচ্ছেন, যা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে এবং নেতিবাচক প্রচারের সুযোগ তৈরি করে।
প্রেস সচিব মনে করেন, আধুনিক যোগাযোগের এই যুগে রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করার জন্য প্রয়োজন বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত, দক্ষ ও স্মার্ট প্রতিনিধি। তিনি বলেন, “যারা জানেন না কীভাবে কথা বলতে হয়, তাদের উচিত মাঠ পর্যায়ে সাংগঠনিক কাজে যুক্ত থাকা, গণমাধ্যমে নয়।”
তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের কথা। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত একাধিক কর্মকর্তা ছিলেন সাবেক সাংবাদিক, যারা জানতেন কীভাবে জনসমক্ষে দলের বক্তব্য তুলে ধরতে হয়।
স্ট্যাটাসের শেষাংশে শফিকুল আলম সতর্ক করেন, “এই গতিময় এবং আক্রমণাত্মক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যুগে একটি দলের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে তাদের যোগাযোগ কৌশলের ওপর। এই কৌশল একটি দলকে যেমন গড়ে তুলতে পারে, তেমনি ধ্বংস করতেও পারে।”
তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানান, সময়ের চাহিদা অনুযায়ী যোগাযোগ ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে এবং কথা বলার ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে। না হলে অনিয়ন্ত্রিত বক্তব্যই হয়ে উঠতে পারে দলের আত্মঘাতী অস্ত্র।