ঢাকা ০৯:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে তিন পরিবর্তন বিএনপিকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না: মির্জা ফখরুল প্রধান বিচারপতির বাসভবনের আশপাশে সভা-সমাবেশে ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা বড় শয়তান এখনো আমাদের কাঁধে শ্বাস ফেলছে: তথ্য উপদেষ্টা কসবায় সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ১ কোটি ২০ লাখ টাকার ভারতীয় শাড়ি উদ্ধার মাগুরা-ঝিনাইদহ সড়কে বাস-ভ্যান সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১০ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, একদিনে হাসপাতালে ৪২০ জন মানিকগঞ্জে নিজের মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড মাদারগঞ্জে কলেজ ছাত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, চাচা লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে ‘নৌকা’ বাদ দিয়ে শাপলা প্রতীক তালিকাভুক্ত করার দাবি এনসিপির

চলতি সপ্তাহের আলোচনায় বড় ধরনের অগ্রগতি আনতে চায় কমিশন: আলী রীয়াজ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪০:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
  • / 2

ছবি সংগৃহীত

 

 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহে টানা তিন দিন আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে এবং এই সময়ের মধ্যেই কমিশন বড় ধরনের অগ্রগতি আনতে চায়।

রোববার (১৩ জুলাই) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফার আলোচনার ১২তম দিনে সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আলোচনার শুরুতেই ড. রীয়াজ জানান, কমিশন দ্রুততার সঙ্গে একটি জাতীয় সনদের খসড়া প্রণয়নের দিকে এগিয়ে যেতে চায়। তিনি বলেন, “আমরা চাই আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যেই একটি যৌক্তিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে। তবে প্রয়োজনে এটি ৩১ জুলাই পর্যন্ত গড়াতে পারে।”

ড. আলী রীয়াজ জানান, সপ্তাহজুড়ে তিন দিনের আলোচনায় গুরুত্ব দেওয়া হবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর। আজকের আলোচনার সূচিতে রাখা হয়েছে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু: প্রধান বিচারপতি নিয়োগ পদ্ধতি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রস্তাব এবং জরুরি অবস্থা জারির বিধান।

তিনি বলেন, “এই তিনটি বিষয় দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে আমরা এগিয়ে যেতে চাই, যাতে করে একটি সর্বসম্মত মতামত গঠনের দিকে পৌঁছানো যায়।”

কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আলোচনায় অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা ও মতপার্থক্য থাকলেও একটি সমঝোতার জায়গায় পৌঁছাতে তারা আশাবাদী। আলোচনার পরিবেশকে ইতিবাচক এবং ফলপ্রসূ বলেও মন্তব্য করেছেন উপস্থিত অনেকেই।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এই আলোচনা সঠিক পথে এগোয় এবং একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় সনদ প্রণয়ন সম্ভব হয়, তবে তা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য এক নতুন দিক উন্মোচন করবে।

উল্লেখ্য, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, পেশাজীবী সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে একটি ব্যাপক ভিত্তিক জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা সম্ভব হয়।

চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এমন একটি উদ্যোগ দেশের স্থিতিশীলতা ও সুশাসনের পথ প্রশস্ত করবে বলে আশা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

চলতি সপ্তাহের আলোচনায় বড় ধরনের অগ্রগতি আনতে চায় কমিশন: আলী রীয়াজ

আপডেট সময় ০১:৪০:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

 

 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহে টানা তিন দিন আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে এবং এই সময়ের মধ্যেই কমিশন বড় ধরনের অগ্রগতি আনতে চায়।

রোববার (১৩ জুলাই) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফার আলোচনার ১২তম দিনে সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আলোচনার শুরুতেই ড. রীয়াজ জানান, কমিশন দ্রুততার সঙ্গে একটি জাতীয় সনদের খসড়া প্রণয়নের দিকে এগিয়ে যেতে চায়। তিনি বলেন, “আমরা চাই আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যেই একটি যৌক্তিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে। তবে প্রয়োজনে এটি ৩১ জুলাই পর্যন্ত গড়াতে পারে।”

ড. আলী রীয়াজ জানান, সপ্তাহজুড়ে তিন দিনের আলোচনায় গুরুত্ব দেওয়া হবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর। আজকের আলোচনার সূচিতে রাখা হয়েছে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু: প্রধান বিচারপতি নিয়োগ পদ্ধতি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রস্তাব এবং জরুরি অবস্থা জারির বিধান।

তিনি বলেন, “এই তিনটি বিষয় দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে আমরা এগিয়ে যেতে চাই, যাতে করে একটি সর্বসম্মত মতামত গঠনের দিকে পৌঁছানো যায়।”

কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আলোচনায় অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা ও মতপার্থক্য থাকলেও একটি সমঝোতার জায়গায় পৌঁছাতে তারা আশাবাদী। আলোচনার পরিবেশকে ইতিবাচক এবং ফলপ্রসূ বলেও মন্তব্য করেছেন উপস্থিত অনেকেই।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এই আলোচনা সঠিক পথে এগোয় এবং একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় সনদ প্রণয়ন সম্ভব হয়, তবে তা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য এক নতুন দিক উন্মোচন করবে।

উল্লেখ্য, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, পেশাজীবী সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে একটি ব্যাপক ভিত্তিক জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা সম্ভব হয়।

চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এমন একটি উদ্যোগ দেশের স্থিতিশীলতা ও সুশাসনের পথ প্রশস্ত করবে বলে আশা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।